<p>নানা ধরনের ভুলে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় বা হারিয়ে যায়। কিছু উপায় মেনে পুষ্টি বজায় রাখা যায়। ফল ও সবজি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ না করে যতটা সম্ভব তাজা থাকতে খেয়ে ফেলুন। সংরক্ষণ করলে ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ কমতে থাকে। পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো। লিখেছেন আতিফ আতাউর।</p> <p>* সব সময় টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। প্রতি বেলার রান্না খাবার প্রতি বেলা খেয়ে শেষ করা ভালো। খাবার বাসি হলে, পুনরায় গরম করলে পুষ্টিগুণ কমে যায়।</p> <p>* ফলমূল ও সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিন। কেটে ধুলে অনেকটা পুষ্টি পানির সঙ্গে ধুয়ে যায়। পানিতে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ হ্রাস পায়। ফল বা সবজি কেটে বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না।</p> <p>* সবজি বড় বড় টুকরা করে কেটে রান্না করুন। সবজির খোসা পুরু করে না কেটে হালকা ছিলে বা চেঁছে নিন। সবজি কাটার সময় যতটা সম্ভব খোসাসহ কাটতে হবে। কারণ খোসার নিচেই বেশির ভাগ ভিটামিন থাকে। এতে পুষ্টি অপচয় কম হয়।</p> <p>* খাবার অতিরিক্ত সিদ্ধ করা উচিত নয়। হালকা সিদ্ধ বা কম তাপে ভাপে সিদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।</p> <p>* উচ্চ তাপে খাবার রান্না করবেন না। কম তাপে রান্না করুন। ভিটামিন ‘সি’ ও কয়েকটি ভিটামিন ‘বি’, যেমন থায়ামিন, ফোলেট উচ্চ তাপমাত্রায় হ্রাস পায়।</p> <p>* দীর্ঘ সময় সিদ্ধ করা বা ভাজার ফলে খাবারের সামগ্রিক পুষ্টি উপাদানের অপচয় হয়।</p> <p>* বসা ভাত রান্না করলে মাড় ফেলার প্রয়োজন হয় না, এতে অনেক পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়।</p> <p>* তাপে দুধের পুষ্টিমান নষ্ট হয় না। দুধ সহজেই নানা রকম জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এ জন্য দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে খাওয়া দরকার।</p> <p>* শাক-সবজির সিদ্ধ করা পানি কোনোমতেই ফেলা উচিত নয়। এ পানি ডাল বা অন্য তরকারির সঙ্গে ব্যবহার করা অথবা শাকের সঙ্গেই শুকিয়ে নেওয়া যেতে পারে।</p> <p>* রান্নায় সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করলে ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ অনেকটা রক্ষা পায়।</p> <p>* ফল ও সবজি খোসাসহ খাওয়ার চেষ্টা করুন। খোসাতে অনেক পুষ্টি থাকে।</p> <p>* রান্নার ঠিক আগে তাজা শাক-সবজি বেছে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর কাটতে হবে। কাটা শাক-সবজি পুনরায় ধোয়া বা পানিতে রাখা যাবে না।</p> <p>* পাত্র ঢেকে রেখে খাবার রান্না করুন। প্রেসার কুকার বা সরু গলার পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।</p> <p>* খাবার সিদ্ধ করার পর অবশিষ্ট পানি ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান। খাবারের অনেকটা পুষ্টি এই পানিতে মিশে থাকে।</p> <p>* ভাজাভুজির পরিবর্তে খাবার গ্রিলড করে খাওয়া বেশি ভালো।</p>