<p>ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় না থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু তা-ই নয়, এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো বড় ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমনকি আপনি যদি প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান, তা-ও এ সমস্যাটি হতে পারে।</p> <p>সম্প্রতি এমন এক গবেষণার এ কথা জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত সময়ের চেয়ে ঘুমের নিয়মিততা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ঘুমের নিয়মিততা যথেষ্ট ঘুমের সময়ের চেয়েও বেশি প্রাসঙ্গিক।’</p> <p>গবেষণায় ৪০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৭২ হাজার ২৬৯ জনকে স্যাম্পল হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার ব্যবহার করে তাদের ঘুমের ধরন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের কারো ইতোপূর্বে হার্টের রোগ বা স্ট্রোকের ইতিহাস ছিল না।</p> <p>তাদের ঘুমের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি ইনডেক্স স্কোর তৈরি করা হয়েছে। যারা ৮৭ বা তার বেশি স্কোর অর্জন করেছেন, তাদের ঘুমের ধরন নিয়মিত বলে বিবেচিত হয়েছে। স্কোর ৭২-এর নিচে থাকা ব্যক্তিদের ঘুম অনিয়মিত এবং মাঝামাঝি স্কোরধারীদের ‘মডারেটলি রেগুলার’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ না করে পানি পান করলে কী ঘটে?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731418642-ae566253288191ce5d879e51dae1d8c3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ না করে পানি পান করলে কী ঘটে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/11/12/1445838" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পরবর্তী আট বছরে এই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর এবং স্ট্রোকের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা গেছে, যারা অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাসে অভ্যস্ত, তাদের বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেশি। তুলনামূলকভাবে মাঝারি নিয়মিত ঘুমধারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি ৮ শতাংশ বেশি।</p> <p>গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যারা নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলেন, তাদের অধিকাংশই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সাত থেকে আট ঘণ্টা এবং ১৮ থেকে ৬৪ বছরের ব্যক্তিদের জন্য সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম সুপারিশ করা হয়।</p> <p>গবেষণাটি জানিয়েছে, ‘যারা পূর্বের নির্ঘুমে কাটানো সময়কে পুষিয়ে নিতে চান, অনিয়মিত ঘুমের কারণে তারা সৃষ্ট হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন না।</p> <p>যদিও গবেষণাটির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেমন এক সপ্তাহের ঘুমের তথ্য সংগ্রহ, ন্যাপিং বা চোখ বন্ধ করে বিশ্রামকে বিবেচনায় না নেওয়া ইত্যাদি। তবুও এটি অনিয়মিত ঘুম এবং কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ নির্দেশ করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুমের অভাবে স্বাস্থ্যহানি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/01/07/1704631518-7ebef1f290289cc5cb26104a84fc866f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুমের অভাবে স্বাস্থ্যহানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/prescription/2024/01/07/1352888" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গবেষণাটি সম্প্রতি জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, জনস্বাস্থ্য নীতিমালা এবং ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসে ঘুমের নিয়মিততার ওপর আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত।</p>