<p>শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়ে যায় নানা সমস্যা। বলা যায়, শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জের রূপও পরিবর্তিত হতে থাকে। লালনপালন তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও চরিত্র গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিশুদের জেদ ও রাগ তখনই সামলানো যায়, যখন বাবা-মা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। শিশুর শৈশব অটুট থাকে তা নিশ্চিত করেন। তবে শিশুরা অনেক সময় একগুঁয়ে আচরণ করে, যা ভীষণভাবে প্রভাবিত করে মা-বাবাকে।</p> <p>শিশুদের এই একগুঁয়ে মনোভাব বা জেদ তাদের বিকাশে বাধা দিতে পারে। মা-বাবার কথা শোনা তো দূরের কথা, শিশুরা ক্লান্তি ও বিভ্রান্তির সঙ্গে অনুভূতির কথা বলতে অক্ষম হয়। এমতাবস্থায় বাবা-মায়ের উচিত জেদি শিশুকে সামলানোর সঠিক উপায় জানা। তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার শিশুর একগুঁয়েমি দূর করবেন।</p> <p><strong>ভাষাকে ইতিবাচক রাখুন </strong></p> <p>আপনার শিশুর সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলুন। তাদের ভয় দেখানো, মারধর ও তাদের সঙ্গে তর্ক করার পরিবর্তে তাদের ভুল জিনিসের জন্য জেদ ধরার পরিণাম ব্যাখ্যা করুন। সঙ্গে তাদের সীমা নির্ধারণ করে দিন। তাদের এটাও উপলব্ধি করুন যে আপনি প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে আছেন। কিন্তু আপনি কখনোই তাদের জেদ পূরণ করবেন না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুমানোর সময় মোবাইল কাছে থাকলে কী হয়" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/10/1733812798-f2b5da49a31b11f8d851ce40aa8a3314.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুমানোর সময় মোবাইল কাছে থাকলে কী হয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/10/1455890" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>শান্ত থাকুন </strong></p> <p>রাগ বা হতাশার মধ্যে আবেগপ্রবণ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। এর ফলে শিশুর জেদ আরো বাড়বে। তাই শান্ত থাকুন। </p> <p><strong>অনুপ্রাণিত করুন </strong></p> <p>নিছক নিয়ম আরোপ করে শিশুদের কিছু কাজের চাপে ফেলবেন না। এতে তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই সময়ে সময়ে শিশুকে অনুপ্রাণিত করুন, তার প্রশংসা করুন। তাকে উপহার দিন এবং তাকে বলুন, সে তার ভালো আচরণের জন্য এটি পেয়েছে। </p> <p><strong>বাধা দেবেন না </strong></p> <p>ছোট ছোট বিষয়ে শিশুদের বাধা দেওয়া বন্ধ করুন। আপনার এই ভুলে তারা আপনার আনুগত্যের গুরুত্ব দেখতে পাবে না এবং তারা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কথা না মানতে জেদ করবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শক্ত নাকি নরম, কোন বিছানা শরীরের জন্য ভালো" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/12/1734021995-4be119845337f8a8fae35c7511a864a2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শক্ত নাকি নরম, কোন বিছানা শরীরের জন্য ভালো</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/12/1456807" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>অপশন দিন</strong></p> <p>অপশন পেলে শিশুরা নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি পায়। ফলে তারা কম জেদি হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, তাদের জুতো পরার আদেশ দেওয়ার পরিবর্তে, বিকল্প দিন। এর সঙ্গেই মনে রাখবেন, আপনি যে নিয়মগুলো তৈরি করেছেন তা মেনে চলার। একবার না বলার পর যদি আপনি শিশুর জেদের কাছে মাথা নত করেন, তাহলে এটি তাদের জেদ করে আপনার নাকে হ্যাঁ-তে পরিবর্তন করার অনুমতি দেয়। তাই সতর্ক থাকুন।</p> <p>সূত্র : বোল্ডস্কাই</p>