শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। খসখসে ত্বকের সঙ্গেই বাড়ে চুলকানির সমস্যা। চুলকানির অন্যতম কারণ ভিটামিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তত চারটি ভিটামিনের ঘাটতির কারণে চুলকানি ও শুষ্ক ত্বকের মতো সমস্যা হতে পারে।
শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। খসখসে ত্বকের সঙ্গেই বাড়ে চুলকানির সমস্যা। চুলকানির অন্যতম কারণ ভিটামিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তত চারটি ভিটামিনের ঘাটতির কারণে চুলকানি ও শুষ্ক ত্বকের মতো সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন এ
কোথাও কোনো সংক্রমণের লক্ষণ নেই, অথচ অনবরত শরীর-হাত-পা চুলকাচ্ছে। এই উপসর্গ দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। বিশেষ করে শীতে বাড়ে এই সমস্যা।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক থেকে পানির ক্ষয় বেড়ে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। নিয়মিত সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, ব্রকলি খেলে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটবে।
ভিটামিন ডি
ত্বকের এপিডার্মিসে ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকে।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই একটি অপরিহার্য ভিটামিন যা ত্বককে হাইড্রেটেড ও ময়শ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই-এর অভাব ত্বকে শুষ্কতা ও ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়া, গোলমরিচ, কুসুম ও সয়াবিন তেল খেলে ভিটামিন ই পাবেন।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
তরমুজের রস তৈরি করা খুবই সহজ এবং সতেজকর। গ্রীষ্মের দিনে এটি খুবই উপকারী। এ ছাড়া ইফতারে তরমুজের রস পান করলে কেবল শরীর ঠাণ্ডা হবে না, এতে থাকা পুষ্টিগুণও সমহারে পাওয়া যাবে। গরমের সময় পান করলে শরীরকে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে।
উপাদান
পদ্ধতি
তরমুজটি ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। বীজগুলো তুলে ফেলুন। যদি বীজ থেকে যায়, তাহলে শরবতের স্বাদ তেতো হতে পারে। তরমুজের টুকরোগুলো ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
ছেঁকে নেওয়া তরমুজের রসে চিনি ও ঠাণ্ডা পানি যোগ করুন। ভালো করে মেশান যাতে চিনি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়।
আপনি চাইলে এতে লেবুর রসও যোগ করতে পারেন, এতে শরবতের স্বাদ আরো বাড়বে।
তরমুজের উপকারী দিক
তরমুজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানির উপাদান। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। তরমুজ খাওয়ার সময় শুধু মনোযোগ দিন, এটি অতিরিক্ত খাবেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৬.২ গ্রাম চিনি থাকে। চিনি কম থাকার কারণে ওজন কমাতে সহায়তা করে। তা ছাড়া এতে ক্যালরি কম থাকে তাই ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।
তরমুজে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিশেষজ্ঞরা জানান, তরমুজে থাকা লাইকোপিন কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কোষের গঠন ও ক্ষত নিরাময়ের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বক ও চুলকে সুন্দর করতে সহায়তা করে।
সূত্র : ইটিভি
অনেকেই চুল ভালো রাখতে নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার শুষ্কতা দূর করার জন্য নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখেন। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারকেল তেল নয়, পানিতেও রয়েছে ম্যাজিক উপাদান। যা চুল ও ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
মুখে যদি বসন্তের দাগ বা ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে নারকেল পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। এক মাস এটা করলেই দেখবেন দাগ একেবারে চলে যাবে।
তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক ত্বক। নারকেল পানি যেকোনো ত্বকের জন্যই ভীষণ উপকারী।
বর্ষাকালে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। নারকেলের পানি হালকা গরম করে তা দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে নিন।
বেসনের সঙ্গে নারকেল পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। তার মধ্যে অল্প মধুও মেশাতে পারেন।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব ও গেঁটেবাতের মতো সমস্যা হতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু জিনিস শরীরে ইউরিক এসিড বাড়ায়। বিশেষ করে কিছু ডাল খাওয়া এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিকারক হতে পারে।
ইউরিক এসিড ও পিউরিনের মধ্যে সম্পর্ক
শরীরে পিউরিনের ভাঙনের মাধ্যমে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। পিউরিন হলো এক ধরণের যৌগ, যা কিছু খাবারে পাওয়া যায়। যখন পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকে, তখন এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
উচ্চ ইউরিক এসিডে ক্ষতিকারক ডাল
মসুর ডাল
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যদিও এটি প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস, তবে যাদের ইউরিক এসিড বেশি তাদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
বিউলি ডাল
অড়হর ডালে উচ্চ পরিমাণে পিউরিন থাকে।
ছোলার ডাল
ছোলা ডালে মাঝারি পরিমাণে পিউরিন থাকে। যদিও এটি পুষ্টিকর, উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া এড়ানো উচিত।
রাজমা
রাজমায় প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে।
ইউরিক এসিডের জন্য নিরাপদ ডাল—
মুগ ডাল : মুগ ডাল হালকা এবং হজম করা সহজ। এতে পিউরিনের পরিমাণ কম, যা উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি নিরাপদ বিকল্প করে তোলে।
অড়হর ডাল : অড়হর ডাল সীমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে কারণ এতে পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে।
এ ছাড়া এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন—
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন : ডালের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারেরও যত্ন নিন। সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানি খান।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন : শারীরিক কার্যকলাপ ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সূত্র : নিউজ ১৮
একে তো রমজান মাস, তার ওপর গরম পড়তে শুরু করেছে। এ সময় প্রায় সবারই ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার কারণে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। এতে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গ্রীষ্মকালে আমাদের প্রচুর ঘাম হয় এবং এর ফলে আমাদের এনার্জি লেভেল কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালে সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু সুপারফুড সম্পর্কে বলব, যা এই সময়ে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত। এগুলো আপনাকে সতেজতা দেবে।
শসা
আপনার খাদ্যতালিকায় সালাদ হিসেবে শসা ও খরমুজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। পেটের তাপও ঠাণ্ডা করে। রায়তা ও পানির সঙ্গে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
ছাতুর শরবত
ভাজা ছোলার গুঁড়ো অর্থাৎ ছাতু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ। ছাতুর শরবত পান করলে শরীরে শক্তি আসে এবং এটি সুস্বাদুও বটে। এটি শরীরকে সতেজ করে।
পুদিনা ড্রিঙ্ক
গ্রীষ্মকালে পুদিনা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
লেবু পানি
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য লেবু পানি পান করা ভালো। এতে ভিটামিন সি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে।
তরমুজ
গ্রীষ্মে তাজা ও রসালো ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই তরমুজ খাওয়া উচিত। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এগুলো খুব বেশি পাওয়া যায়। তরমুজে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত পানি থাকে। এটি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজতক বাংলা