শীত এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ে অনেকের লেপ-কম্বলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। আর এই শীতের ভারী লেপ-কম্বল ধোয়া কোনো সহজ বিষয় নয়।
শীত এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ে অনেকের লেপ-কম্বলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। আর এই শীতের ভারী লেপ-কম্বল ধোয়া কোনো সহজ বিষয় নয়।
আপনার লেপ-কম্বলগুলোও যদি নোংরা হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়, আর আপনি যদি পানিতে ভেজানো ছাড়াই এগুলো পরিষ্কার করতে চান তাহলে এই সহজ টিপসগুলো জেনে নিন।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
শীতে অত্যধিক ব্যবহৃত কম্বল প্রায়ই খুব নোংরা হয়ে যায়।
ক্লিনিং স্প্রে
শীতকালে নোংরা কম্বল ধোয়ার জন্য বাজার থেকে ক্লিনিং স্প্রেও কিনে নিতে পারেন। নোংরা কম্বল পানি ব্যবহার না করেই ক্লিনিং স্প্রে দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। পাশাপাশি শুকাতেও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। আর এতে পরিশ্রমও কম হবে।
রোদে দিয়ে পরিষ্কার
যদি কোনোভাবেই কম্বল পরিষ্কার করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো দড়িতে ঝাঁকিয়ে পরিষ্কার করা। কম্বলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ময়লা বা ধুলাবালি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন। কম্বলগুলোও পরিষ্কার করা যেতে পারে এই কৌশলের সাহায্যে।
বেকিং সোডা ও শ্যাম্পু
বেকিং সোডা ও শ্যাম্পু ব্যবহারেও কম্বলের ময়লা দূর হবে। কমফোর্ট ব্যবহারে সুগন্ধ থাকবে এবং স্যাভলন ব্যবহারে জীবাণু মুক্ত হবে কম্বল। প্রথমে হালকা গরম পানিতে এসব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। কম্বলে ব্রেকিং সোডা ছড়িয়ে দেওয়ার পর ভালো করে ঝেড়ে ফেলুন। পানিতে উপকরণ মেশানো হলে পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিন। তারপর কম্বল একটি সমান জায়গায় পেতে তার ওপর ভিজে তোয়ালে এদিক ওদিক করে টেনে পরিষ্কার করে নিন।
বেকিং সোডা
শীতকালে কম্বল ধোয়ার পর শুকানোর ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। কম্বলের ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে আলতো করে কম্বল পরিষ্কার করুন। এটি কম্বলের চকচকে ভাব ও সতেজতা বজায় রাখবে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সম্পর্কিত খবর
মিষ্টি খাবারের ভক্তদের জন্য চকোলেট মুজ কেক হতে পারে এক দুর্দান্ত উপহার। নরম, মসৃণ আর মাখনের মতো মোলায়েম এই মুজ তৈরি করতে সময় লাগে খুব কম, কিন্তু স্বাদে এটি অসাধারণ। চকোলেট প্রেমীদের জন্য এটি এক অবিস্মরণীয় মিষ্টান্ন, যা খেতে যেমন মজাদার, তৈরি করতেও তেমনই সহজ। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করলে এর স্বাদ হয়ে ওঠে আরও উপভোগ্য।
উপকরণ
চকোলেট প্লেন কেক ৪ টুকরা, ফ্রেশ ক্রিম ১০০ গ্রাম, চকোলেট ২০০ গ্রাম, গুঁড়া চিনি ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চকোলেট টুকরা করে ভাপের সাহায্যে গলিয়ে নিন। চকোলেট গলে গেলে ভালো করে ফেটে নিন।
২. চকোলেট ঠাণ্ডা হলে ফ্রেশ ক্রিম ও চিনি চকোলেটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
৩. ডেজার্ট কাপে একবার কেক, একবার মুজ এভাবে লেয়ার করে সাজিয়ে ফ্রিজে রাখুন দুই ঘণ্টা।
৪. একদম ওপরের লেয়ারে চকোলেট পাউডার ও চকোলেট চিপস দিয়ে সাজিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
পড়ার টেবিল সাজানো, বই খোলা, কিন্তু মন সেখানে নেই। মোবাইল ফোনে একবার ‘নোটিফিকেশন’ এলেই চোখ চলে যায় স্ক্রিনে। এরপর সময় কোথায় হারিয়ে যায়, বোঝাই যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গেম, ভিডিও কিংবা মেসেজিং—ফোন যেন এক নেশায় পরিণত হয়েছে অনেকের জন্য।
কেন হয় এই আসক্তি?
স্মার্টফোন ব্যবহারের পেছনে কয়েকটি সাধারণ কারণ রয়েছে, যা ধীরে ধীরে এটি আসক্তিতে পরিণত করে।
ডোপামিন রিওয়ার্ড সিস্টেম : ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউবে স্ক্রল করলে মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা আনন্দ দেয়। ফলে মানুষ বারবার ফোন ব্যবহার করতে চায়।
পড়াশোনার প্রতি অনীহা : কঠিন পড়াশোনার তুলনায় বিনোদনমূলক কনটেন্ট সহজেই আকর্ষণ করে।
ফোকাসের অভাব : দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহারের ফলে মনোযোগের স্থায়িত্ব কমে যায়, ফলে বইয়ে মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব : কেউ অনলাইনে সক্রিয় থাকলে তাকে ‘মিস’ করতে ইচ্ছা হয়, যার ফলে ফোন হাতছাড়া করা কঠিন হয়ে যায়।
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
স্মার্টফোনের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ কমাতে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
স্টাডি প্ল্যান তৈরি করুন : নির্দিষ্ট সময়ে ফোন রেখে শুধু পড়াশোনায় মনোযোগ দিন। ২৫-৩০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের ব্রেক নিতে পারেন।
ফোন দূরে রাখার অভ্যাস করুন : পড়ার সময় ফোন সাইলেন্ট বা অ্যারোপ্লেন মোডে রেখে দূরে রাখুন।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করুন : ফোনের ‘স্ক্রিন টাইম’ অপশন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য সময় বেঁধে দিন।
সঠিক বিনোদন বেছে নিন : পড়াশোনার ফাঁকে বই পড়া, হালকা ব্যায়াম বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্মার্টফোন ডিটক্স করুন : সপ্তাহে অন্তত একদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোন ব্যবহার একেবারে বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
এটি শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নয়, বরং সামগ্রিক মনোযোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন। তবে এটি যাতে আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং আমরাই এর সঠিক ব্যবহার করতে পারি, সেটি নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সৌন্দর্য ধরে রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে কিছু সঠিক অভ্যাস এবং নিয়ম মেনে চললে আপনি বয়সের সঙ্গে সাথে আরও সুন্দর হয়ে উঠবেন। আপনি যদি অভ্যাসগুলি অনুসরণ করি, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আভা আরও ফুটে উঠবে। আপনি কি কখনও এমন কাউকে দেখেছেন যিনি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন? সেরকম মানুষদের বেশ কিছু অভ্যাস থাকে, যা তাদের এই বিশেষ সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এখানে ৮টি অভ্যাস দেওয়া হলো, যা আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ—
১. আত্মবিশ্বাস ও মননশীলতার চর্চা করুন : বয়স বাড়লে আমরা অনেকসময় নতুন বলিরেখা দেখতে পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, কিন্তু যারা বয়স বাড়তে বাড়তে সুন্দরী হয়ে উঠেন, তারা সেসব ছোটখাটো ব্যাপারে না গিয়ে নিজেদের মানসিক বিকাশে মনোযোগ দেন। বই পড়া, নতুন কিছু শেখা এবং ইতিবাচক চিন্তা করা তাদের নিয়মিত অভ্যাস।
২. পর্যাপ্ত ঘুমান : যারা সুন্দরভাবে বয়স বাড়ান, তারা ঘুমকে সেরা সৌন্দর্য উপকরণ মনে করেন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৩. শরীরচর্চা করুন : বয়স বাড়লেও যারা সুন্দর থাকেন, তারা নিয়মিত শারীরিক গতিবিধি যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা ছোট ছোট নাচের মাধ্যমে শরীরকে সক্রিয় রাখেন। এটি তাদের মন ও শরীরকে সতেজ রাখে।
৪. মানুষের সঙ্গে সৎ ও আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখুন : বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মনের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যারা অন্যদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে সম্পর্ক রাখেন, তাদের মধ্যে এক বিশেষ আলোকিত ভাব থাকে যা তাদের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়।
৫. স্ট্রেস কম রাখুন : স্ট্রেস আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। যারা বয়স বাড়ানোর সঙ্গে আরও সুন্দর হয়ে ওঠেন, তারা মানসিক চাপ কমাতে সচেতন থাকেন, যেমন মেডিটেশন বা সুষম জীবনযাপন।
৬. নিয়মিত পানি পান করুন : পানি শরীরের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং ত্বককে সতেজ রাখে। যারা নিয়মিত পানি পান করেন, তাদের ত্বক আরও উজ্জ্বল ও কোমল থাকে।
৭. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন : ধন্যবাদ জানানো শুধু মনকে শান্ত রাখে না, বরং এটি আমাদের চোখ ও মুখের সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে দেয়।
৮. বয়সকে উপভোগ করুন : বয়স বাড়ানো কোনো শাস্তি নয়, বরং একটি বিশেষ উপহার। যেভাবে জীবন কাটানো যায়, সেই অভিজ্ঞতাকে মূল্য দিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করলে সুন্দর হতে থাকে।
আধুনিক জীবনযাত্রার বেড়াজালে আটকে গেছেন সবাই। অনিয়মিত খাদ্যাভাস, সঠিক জীবনধারা না মানার কারণে শরীরে বাড়ছে মেদ। অসময়ে হানা দিচ্ছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ক্রনিক রোগ। আর এসবের চক্করে প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে বিভিন্ন খাবার।
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই কুসুম খেতে চান না। কিন্তু সত্যি কি ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ডিমের দুটি অংশ।
লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলে ধরা হয়। যার থেকে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল ‘ভালো’ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। ডিমের কুসুম এলডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বলে প্রচলিত ধারণা রয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় অন্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা হলো, ডিমের কুসুম কোলেস্টেরলের ওপর সামান্য প্রভাব ফেলে। তাই সীমিত পরিমাণে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা তেমন থাকে না। বরং ডিমের কুসুম ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং বি১২-এর পুষ্টিতে ভরপুর।
একইসঙ্গে এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা সার্বিকভাবে শরীরে পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। যদিও কারো কারো ক্ষেত্রে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে তা সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়।
তাই আপনি যদি কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিংবা হার্টের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সীমিত পরিমাণে ডিম খেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষের দিনে একটি ডিম খাওয়া নিরাপদ বলেই গণ্য হয়। সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সড ডায়েটের ওপর বেশি নজর দিন।
খাদ্যতালিকায় সবজি, গোটা শস্য এবং লিন প্রোটিন বেশি রাখুন। যা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে ভাজার বদলে সেদ্ধ কিংবা পোচ করে ডিম খান। এতে অতিরিক্ত ফ্যাট যোগ হবে না। তবে মনে রাখবেন, সকলের শরীর এক রকম নয়। তাই যে কোনো বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
সূত্র : আজকাল