শীতে পানি ছাড়াই ময়লা কম্বল পরিষ্কার করুন সহজে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শীতে পানি ছাড়াই ময়লা কম্বল পরিষ্কার করুন সহজে
সংগৃহীত ছবি

শীত এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ে অনেকের লেপ-কম্বলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। আর এই শীতের ভারী লেপ-কম্বল ধোয়া কোনো সহজ বিষয় নয়।

তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সহজেই শীতের লেপ-কম্বলের ময়লা ও দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন। কিভাবে করবেন, চলুন জেনে নিই।

আপনার লেপ-কম্বলগুলোও যদি নোংরা হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়, আর আপনি যদি পানিতে ভেজানো ছাড়াই এগুলো পরিষ্কার করতে চান তাহলে এই সহজ টিপসগুলো জেনে নিন।

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার

শীতে অত্যধিক ব্যবহৃত কম্বল প্রায়ই খুব নোংরা হয়ে যায়।

যা অনেক পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য। তবে এর জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিয়ে নোংরা কম্বল সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এর মাধ্যমে ধুলো সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
এর জন্য খুব বেশি পরিশ্রমেরও প্রয়োজন হয় না।

আরো পড়ুন
বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

 

ক্লিনিং স্প্রে

শীতকালে নোংরা কম্বল ধোয়ার জন্য বাজার থেকে ক্লিনিং স্প্রেও কিনে নিতে পারেন। নোংরা কম্বল পানি ব্যবহার না করেই ক্লিনিং স্প্রে দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। পাশাপাশি শুকাতেও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। আর এতে পরিশ্রমও কম হবে।

রোদে দিয়ে পরিষ্কার

যদি কোনোভাবেই কম্বল পরিষ্কার করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো দড়িতে ঝাঁকিয়ে পরিষ্কার করা। কম্বলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ময়লা বা ধুলাবালি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন। কম্বলগুলোও পরিষ্কার করা যেতে পারে এই কৌশলের সাহায্যে।

আরো পড়ুন
‘সুপার ফুড’ শজনেপাতা থেকে দূরে থাকবেন যারা

‘সুপার ফুড’ শজনেপাতা থেকে দূরে থাকবেন যারা

 

বেকিং সোডা ও শ্যাম্পু

বেকিং সোডা ও শ্যাম্পু ব্যবহারেও কম্বলের ময়লা দূর হবে। কমফোর্ট ব্যবহারে সুগন্ধ থাকবে এবং স্যাভলন ব্যবহারে জীবাণু মুক্ত হবে কম্বল। প্রথমে হালকা গরম পানিতে এসব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। কম্বলে ব্রেকিং সোডা ছড়িয়ে দেওয়ার পর ভালো করে ঝেড়ে ফেলুন। পানিতে উপকরণ মেশানো হলে পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিন। তারপর কম্বল একটি সমান জায়গায় পেতে তার ওপর ভিজে তোয়ালে এদিক ওদিক করে টেনে পরিষ্কার করে নিন।

বেকিং সোডা

শীতকালে কম্বল ধোয়ার পর শুকানোর ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। কম্বলের ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে আলতো করে কম্বল পরিষ্কার করুন। এটি কম্বলের চকচকে ভাব ও সতেজতা বজায় রাখবে।

আরো পড়ুন
শীতের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন

শীতের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াবে যেসব ‘সুপার ফুড’

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াবে যেসব ‘সুপার ফুড’
সংগৃহীত ছবি

মা হওয়ার অনুভূতি নারীদের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। এই সময়টি একজন নতুন মায়ের জন্য আনন্দপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জও জড়িত থাকে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করানো।

মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো কেবল শিশুর পুষ্টির সর্বোত্তম উৎসই নয়, এটি মা ও শিশুর মধ্যে একটি বিশেষ মানসিক সংযোগও তৈরি করে।

তবে অনেক সময় নতুন মায়েদের মাতৃদুগ্ধের অভাবের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক খাদ্য গ্রহণ মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ ও গুণমান উভয়ই বৃদ্ধিতে সহায়ক। জেনে নিন, কোন কোন খাবার মাতৃদুগ্ধের পরিমাণকে ঠিক রাখে।

ওটস

ওটস একটি পুষ্টিকর ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা একজন নতুন মায়ের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ওটসে উপস্থিত বিটা-গ্লুকান উপাদান প্রোল্যাকটিন হরমোনকে সক্রিয় করে, যা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সহায়ক। নতুন মায়েরা তাদের খাদ্যতালিকায় ওটস, খিচুড়ি বা স্মুদির আকারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আরো পড়ুন
পেট খারাপ হলে কী করবেন, কী করবেন না

পেট খারাপ হলে কী করবেন, কী করবেন না

 

মেথি বীজ

মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে মেথি বীজ শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই বীজগুলোতে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন ও ডায়োসজেনিনের মতো যৌগ থাকে, যা দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে চা তৈরি করে অথবা খাবারে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস বা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তিল

তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা একজন নতুন মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এই বীজগুলো মাতৃদুগ্ধের মান উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শিশুর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তিলের বীজ লাড্ডু, চিক্কি বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া তিলের তেল স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

সবুজ শাক-সবজি

পালং শাক, মেথি, সরিষার শাক ও ব্রকলির মতো সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট ও ভিটামিন এ থাকে। এই সবজিগুলো নতুন মায়ের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এগুলোতে উপস্থিত ফাইটোয়েস্ট্রোজেন দুধ উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। সবুজ শাক-সবজি স্যুপ, সবজি বা পরোটা আকারে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন
সবজি কাটার চপিং বোর্ডও হতে পারে বিপদের কারণ

সবজি কাটার চপিং বোর্ডও হতে পারে বিপদের কারণ

 

বাদাম ও ড্রাই ফ্রুট

বাদাম, কাজু, আখরোট ও খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট একজন নতুন মায়ের জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার হতে পারে। এই বাদামগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা বুকের দুধের গুণমান উন্নত করে। বাদামে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও উপকারী। এগুলো সরাসরি খাওয়া যেতে পারে অথবা দুধে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। রাতভর পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

রসুন

রসুন কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং এটি মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতেও সহায়ক। রসুনে উপস্থিত গ্যালাকট্যাগ নামক উপাদান দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। এ ছাড়া রসুনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নতুন মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। রসুন সবজি, স্যুপ বা ডালে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন
ঘুরতে গিয়ে খরচ কমাবেন যেভাবে

ঘুরতে গিয়ে খরচ কমাবেন যেভাবে

 

এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যগুলো শুধু ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে। এগুলো অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি আগে থেকেই কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে।

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর
সংগৃহীত ছবি

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, যা অজান্তেই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এই অভ্যাসগুলোর ফলে আমরা শুধু নিজেদেরই অসুস্থ করি না, বরং বাড়িতে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছি। তাই সুস্থ থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে নিজের কাজ করা খুবই জরুরি।

ছোট ছোট সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণগুলোর ঝুঁকি কমাতে পারি।

জেনে নিন, আমাদের কোন কোন অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়—

বাইরের পোশাক পরে বিছানায় শোয়া

সারা দিন ব্যবহারের পর আমাদের পোশাকে ধুলো, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে। আর যদি আমরা এই পোশাকগুলো না পরিবর্তন করেই বিছানায় শুয়ে পড়ি, তাহলে এই ময়লা ও জীবাণু বিছানায় স্থানান্তরিত হতে পারে। যা পরবর্তীতে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

বাইরে থেকে আসার পর হাত না ধোয়া

বাইরে থাকার সময় আমরা অনেক জায়গা স্পর্শ করি, যার কারণে আমাদের হাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জমে।

বাড়ি ফিরে আসার পর যদি আমরা অন্য জিনিস স্পর্শ করি বা হাত না ধুয়েই খাবার খাই, তাহলে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি ফিরে আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

বাড়ি ফিরে বিছানার ওপর ব্যাগ রাখা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণে বা বাইরে থাকার সময় অনেক ধরনের জীবাণু ব্যাগ বা স্যুটকেসের বাইরের অংশে লেগে থাকতে পারে।

যখন আমরা বাড়িতে এসে সেটি সরাসরি বিছানার ওপর রাখি, তখন এই জীবাণুগুলো বিছানার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

 

টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া

টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। তা না হলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে অনেক রোগ হতে পারে। 

ঘরের ভেতরে বাইরের জুতা পরা

রাস্তায় হাঁটার সময় জুতার মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা আমাদের সঙ্গে ঘরে আসে।

যদি আমরা ঘরের ভেতরে এই জুতা পরে থাকি, তাহলে এই ব্যাকটেরিয়া মেঝেতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।

এই অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে আমরা নিজেদের এবং আমাদের পরিবারের স্বাস্থ্যের আরো ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে ফেলা, হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সর্দি-কাশি ছাড়া আর কী উপকারে আসে তুলসী পাতা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সর্দি-কাশি ছাড়া আর কী উপকারে আসে তুলসী পাতা
সংগৃহীত ছবি

তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে সর্দি-কাশি দূর হবে খুব তাড়াতাড়ি। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে আরো ভালো। চায়ের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন তুলসী পাতা। তবে সর্দি-কাশির সমস্যা কমানো ছাড়াও আরো অনেক গুণ রয়েছে তুলসী পাতার।

সেগুলো কী কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ভরসা রাখুন তুলসী পাতায়। বুকে জমা কফ কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতা। কমায় শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।

তুলসী পাতা খেলে বদহজম, গ্যাস, পেট ফেঁপে যাওয়া, এসিডিটি- এসব সমস্যা দূর হয়। তাই নিয়মিত খেতে হবে তুলসী পাতা।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেই হবে। এক্ষেত্রে সাহায্য করে তুলসী পাতা।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখে এই পাতা। ডায়াবেটিক রোগীরা তুলসী পাতা খেয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। উপকার পাবেন।

আজকাল প্রায় সবার জীবনেই রয়েছে নানা রকম স্ট্রেস, উদ্বেগ। তুলসী পাতার রস খেলে এই স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানো সম্ভব।

তুলসী পাতা যে আমাদের ইমিউনিটি আরো মজবুত করে, সেকথা সকলেই জানেন। তাই দিনে একবার অন্তত তুলসী পাতা কিংবা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

শুধু ব্লাড সুগার নয়, ব্লাড প্রেশারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতা। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ থেকে ৩টি তুলসী চিবিয়ে খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
রাতভর ফোন চার্জে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

রাতভর ফোন চার্জে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

যেসব নিয়ম মানলে কমবে চুল পড়া

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব নিয়ম মানলে কমবে চুল পড়া
সংগৃহীত ছবি

চুল ঝরার কোনো নির্দিষ্ট মৌসুম নেই। যেকোনো মৌসুমেই চুল পড়তে পারে। আর সেটা হয় সঠিক যত্নের অভাবে। সেটা খুব ভালো করে জানেন ভুক্তভোগীরা।

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই চুল কমবেশি পড়তে থাকে। শত চেষ্টাতেও এই সমস্যা থেকে সব সময় রেহাই পাওয়া যায় না।

নামি-দামি কম্পানির তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার করেও ব্যর্থ হন অনেকে। আবার ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেও সুফল মেলেনি, এমন উদাহরণও রয়েছে।

শুধু ঝরে পড়ে না, নিষ্প্রাণও হয়ে পড়ে চুল। যদি কোনো চেষ্টা কাজে না আসে, তাহলে কিভাবে করবেন চুলের পরিচর্যা, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

ময়েশ্চারাইজিং

শুধু যে ত্বকেরই ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয়, তা কিন্তু না। চুলের চাই আর্দ্রতা।

আর তার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি। মাথার ত্বকে আর্দ্রতার ঘাটতি চুল ঝরার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই অলিভ অয়েল, কাঠবাদামের তেল ভালো করে মালিশ করা জরুরি। তাতে অনেক সুবিধা হবে।

আরো পড়ুন
ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

 

স্টিম

মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ফেরাতে গরম ভাপ নেওয়া জরুরি।

বাড়িতেই সেটা নেওয়া সম্ভব। শ্যাম্পু করার পর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন অল্প সময়। মাঝেমাঝে এই স্টিম নিলে মাথার ত্বকে তেল পৌঁছবে ভালোমতো। সেই সঙ্গে আর্দ্রও থাকবে মাথার তালু।

তেলের ব্যবহার

চুল ভালো রাখতে চাইলে তেল দূরে সরিয়ে রাখলে চলবে না। তেলের গুণেই চুল থাকবে ঝলমলে, মসৃণ ও কোমল। তা ছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতেও তেলের ভূমিকা অনবদ্য। নিয়মিত তেল না মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হবে না।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ