শীতের এই সময়ে প্রায় সবা ঘরে ফুলকপি থাকেই। রান্না হয় এই পদের যেকোনো সবজিই। স্বাস্থ্যকর এই সবজি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
শীতের এই সময়ে প্রায় সবা ঘরে ফুলকপি থাকেই। রান্না হয় এই পদের যেকোনো সবজিই। স্বাস্থ্যকর এই সবজি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
স্বাস্থ্যসচেতনতায় ফুলকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, কোলিন ও ফোলেটসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ আছে। তবে ফুলকপি ডেকে আনতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। এর ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
ক্রুসিফেরাস সবজি হজম করা কঠিন, বিশেষ করে যখন আধা সেদ্ধ বা অবস্থায় কাঁচা খাওয়া হয়। গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ান যেসব নারী তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফুলকপি খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ সবজি কিছু কিছু ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন কে রক্ত পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
ফুলকপি খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। এটিও ফুলকপির একটি সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনযুক্ত সবজি ও ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কিছু শাক-সবজি ও ফলে অ্যালার্জিসৃষ্টিকারী প্রোটিনই মূলত এ ধরনের অ্যালার্জির জন্য দায়ী।
এ ছাড়া ফুলকপি খাওয়ার পর অনেকেই গন্ধযুক্ত ঢেকুর ওঠে। ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার বলছে, শুধু ফুলকপি নয় মটরশুঁটি, গোটা শস্য, বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রোকলি, অ্যাসপারাগাসসহ বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়ার ফলে রাফিনোজ গ্যাস হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রুসিফেরাসযুক্ত শাক-সবজি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ছাড়া এসব সবজি ও আয়োডিনের প্রাপ্যতার ওপর থাইরয়েড ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া হলে ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে অনেক উপকারী। সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন অল্প পরিমাণে এটি খেতে পারেন। ফুলকপি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা থাকলে রান্না করে তবেই ফুলকপি খাবেন। তবে পানিতে সেদ্ধ করলে ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়।
সম্পর্কিত খবর
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসবে। আপনার আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় সংকল্প আপনার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হবে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): আজকে দিনটি নতুন শুরু ও উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগে ভরা। আপনি প্রেম এবং ক্যারিয়ারের নতুন পথ খুঁজে পাবেন, যা দীর্ঘমেয়াদি সুবিধার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): আজ এমন সুযোগ আসতে পারে, যার জন্য দ্রুত চিন্তা-ভাবনা ও সঠিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। আপনার ধারণাগুলো ভাগ করে নেওয়া থেকে দূরে সরে যাবেন না। অন্যের অবদান স্বীকার করুন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আজ আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত এবং পেশাদার প্রবৃত্তিকে বিশ্বাস করুন। খোলা হৃদয় এবং আশাবাদী মানসিকতা দিয়ে প্রেম, ক্যারিয়ার, অর্থ এবং স্বাস্থ্যের সুযোগগুলো আলিঙ্গন করুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজ আপনার নেতৃত্বের গুণাবলি দিয়ে অন্যদের উজ্জ্বল ও অনুপ্রাণিত করতে পারেন। আপনার সাহসী মনোভাব আপনাকে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা এবং সুযোগের দিকে পরিচালিত করবে।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ভালোবাসার মানুষের কাছে গুরুত্ব পাবেন। অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্যগুলো সেট করে সামনের দিকে এগোবেন। বাড়তি খরচ নিয়ে চিন্তা থাকলে সঠিক পরিকল্পনায় তা সমাধা করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): যৌথ উদ্যোগে কোনো কাজের অগ্রগতি হতে পারে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার এবং আপনার সর্বজনীন ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য এটি একটি ভালো সময়। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে পেশাগত কাজে বিকল্প পথে অগ্রসর হবেন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। অতিরিক্ত আবেগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেকোনো কাজের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে নিজেকে জাহির করার জন্য তাগিদ অনুভব করতে পারেন। আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা বজায় রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): মন প্রফুল্ল থাকবে। কোনো ভালো কাজের অফার পেতে পারেন। সামাজিক কাজে সুনাম হবে। কোনো ঘটনায় কিছু তীব্র আবেগ এবং ক্ষমতার লড়াই সামনে আনতে পারে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কিত।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): আজ বেশ কিছু সময় ভালোবাসাপূর্ণ থাকবে। কোনো প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা আপনাকে খুশি করবে। জীবনের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। একজন বিজয়ী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ আপনার ইচ্ছাশক্তির দ্বারা অনেক কাজে অগ্রসর হতে পারবেন। দ্রুত পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত সহায়ক ফলাফল নিয়ে আসবে। পুরনো সমস্যার জট খুলবে। কল্যাণকর কাজে যুক্ত হলে ভালো হবে। ভ্রমণ শুভ।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): প্রত্যাশা পূরণে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। নতুন কিছু করার সুযোগ আসতে পারে। প্রিয়জনের মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাবেন। কর্মক্ষেত্রে যে কঠিন কাজ করেছেন, এখন তা ফিরে পাওয়ার সময়।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭. ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
একটা কুকরছানার ভিডিও, তারপর পুরনো এক বন্ধুর সমুদ্রপাড়ে তোলা ছবি, তারপর একটা ভিডিও মিম, তারপর একটা খবরের ভিডিও, তা-ও পৃথিবীর অন্য প্রান্তের...পছন্দ হলে দেখো, ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাও। স্ক্রিনজুড়ে আঙুল চালিয়ে যাওয়া আমাদের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের অংশ। হয়তো লিফটে নামতে নামতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য কিংবা ঘুমানোর আগে একবার হাতে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার। কিন্তু স্ক্রলিং এমন আসক্তিকর কেন? স্নায়ুর ওপর এটা কী প্রভাব ফেলে? কিভাবে এই সমস্যা ঠেকানো যায়?
লিডস বেকেট ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার এইলিশ ডিউকের মতে, ‘প্রথমে যেটা বুঝতে হবে, ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিন অন করা, তারপর স্ক্রলিং চালিয়ে যাওয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে একের পর এক ঘটে যায়।
‘কয়েক বছর আগে আমরা একটা গবেষণা চালিয়েছিলাম।
স্ক্রিনের আলোটা জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেলফোন অ্যাপ্লিকেশনগুলোর অত্যাধুনিক ডিজাইন আর আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটা মেলবন্ধন রচিত হয় যেন, যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে। এন ওয়াই ইউ ল্যাঙ্গনের সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক আরিয়েন লিংয়ের মতে, স্ক্রলিংয়ের মতো অভ্যাসের জন্য আমরা মানুষের স্বভাবকে দায়ী করি বটে, কিন্তু পরিবেশগত কারণেও এই অভ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অধ্যাপক লিংয়ের ব্যাখ্যা, মানুষ স্বভাবগত কারণেই কৌতূহলী। চারপাশে কী ঘটছে, জানার আগ্রহ প্রবল তার। সেই কারণেই মানুষ খবর পড়ে, রাস্তায় দুর্ঘটনা দেখলে থামে। এটা বিবর্তনেরই অংশ, যার কারণে মানবজাতি টিকে আছে। আর সেলফোন নির্মাণই করা হয়েছে এমনভাবে, যেন আমাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করে যেতে পারে।
অবিরাম সুখানুভূতির খোঁজে
আমাদের মস্তিষ্ক পুরস্কারপ্রিয়। স্নায়ুতন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু স্থানের কাজই যৌনতা, মাদক, জুয়ার মতো আনন্দের অনুভূতি নিয়ে। একবার তেমন সুখানুভূতি পেলে বারবার মস্তিষ্ক এটা পেতে চায়। অধ্যাপক ডিউক ব্যাখ্যা করেন, ‘আমরা যদি কিছু সত্যিই উপভোগ করে থাকি, আমাদের মস্তিষ্ক সেই অভিনব অনুভূতিটা চায়, সেই সুখের অনুভূতি চায়।’
এটি মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেম (পুরস্কারব্যবস্থা) নামে পরিচিত। ঠিক এই প্রক্রিয়াটিই কোনো ব্যক্তিকে অ্যালকোহলের মতো দ্রব্যে আসক্ত করে তোলে।
‘অনেকের ক্ষেত্রেই, ফোন তেমন অভিনবত্ব নিয়ে আসে।’ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব সময়ই কিছু না কিছু সুখদায়ী উপাদান থাকে : একটি ছবি, ভিডিও, টুইট বা মেসেজ।
কিন্তু মস্তিষ্কের আরেকটা অংশ আছে, যে সুখানুভূতি ও তাৎক্ষণিক পুরস্কারের এই প্রবণতা ঠেকাতে চায়। সামনের দিকের এই অংশের নাম প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই অংশটি আবেগপ্রবণতাকে রুখে দিয়ে, ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভূমিকা রাখে। এর কারণেই আপনি স্ক্রলিং থামাবেন কিংবা চেয়ারে অলস বসে না থেকে ঘরদোর পরিষ্কারের মতো কাজ শুরু করবেন।
এই যে মস্তিষ্কের দুই ধরনের ক্রিয়াকর্ম, এগুলোর মধ্যে সব সময় ভারসাম্য বজায় থাকে না। অধ্যাপক ডিউকের ভাষ্য, যারা মোবাইল স্ক্রিনে ডুবে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ‘মস্তিষ্কের যুক্তিনির্ভর অংশ যেটা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে, সেটা ঠিকঠাক কাজ করে না। সুখানুভূতির আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।’ তরুণদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়।
অধ্যাপক এইলিশ ডিউক বলেন, ‘কিশোর-তরুণদের রিওয়ার্ড সার্কিট সব সময় প্রস্তুত হয়ে থাকে, যেন একটা সতর্কাবস্থা। কিন্তু ২৩-২৪ বছরের আগে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স অপরিণত অবস্থায় থাকে। ফলে কিছু আবেগ সামাল দিতে পারে না। যেমন ফোনের নেশা।’
সময় জ্ঞানের বিলোপ
স্ক্রলিংয়ের সময় মানুষ একটা প্রবাহর মধ্যে ঢুকে যায় বলে মনে করেন অধ্যাপক ডিউক। সাইকোলজিতে ‘ফ্লো’ বা ‘ফ্লো স্টেট’ বলতে এমন অবস্থা বোঝায়, যখন কেউ কোনো কাজে পুরোপুরি মগ্ন হয়ে যেতে পারে। টিকটকের মতো অ্যাপগুলোর অ্যালগরিদমে ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ব্যবহারকারীর আগ্রহ অনুযায়ীই তাতে কন্টেন্ট দেওয়া হয়। ফলে তার মনোযোগ পুরোপুরি এতে নিবদ্ধ হয়ে পড়ে।
অধ্যাপক ডিউক যোগ করেন, ‘ওরা আপনার পুরো মনোযোগটা কেড়ে নেবে। আর আপনি একটা সময়-জ্ঞানহীন দশায় পড়ে যাবেন। দুই ঘণ্টা ধরে যে জড় পদার্থের মতো বসে আছেন, বুঝতেও পারবেন না। হয়তো কুকুরের ভিডিও দেখেই সময়টা অপচয় হয়ে গেছে।’
মানুষ কিভাবে মস্তিষ্ক স্ক্রলিংয়ে তীব্রভাবে আসক্ত হতে শুরু করে, সেটা একটা রূপকের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ড. আরিয়েন লিং। ‘কোনো পথে অনেকবার আসা-যাওয়া হলে, পথটা আমাদের কাছে সহজ হয়ে যায়। আমরা অনায়াসেই হেঁটে চলে যাই। যদি কেউ টানা স্ক্রলিং করতে থাকে, ব্যাপারটা তার কাছে হয়ে যায় ‘ডিফল্ট এক্সপেরিয়েন্স’ (অনায়াস অভিজ্ঞতা)। ফলে অন্যদিকে সময় আর মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
মনোরোগ বিজ্ঞানের রোগনির্ণয়ের বইয়ে সেলফোন আসক্তি বলে কিছু নেই। তাই ফোনের কোন মাত্রার ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত সেটারও কোনো মানদণ্ড নেই। ব্যক্তির জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কি না, সেটা দিয়েই সীমারেখাটা মাপা হয় বলে জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডিউক।
১. নির্দিষ্ট সময় স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা
অধ্যাপক লিং বলেন, ‘ফোন থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা বেশ কাজে দেয়।’ ফোন ছাড়া হাঁটতে বের হওয়ার ব্যাপক উপকারিতা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক ডিউকও একমত, ‘ফোনটা সরিয়ে রেখে একটা বিরতি নিতে পারলে দারুণ হয়। সেই সময়টা হাঁটতে কিংবা জিমে যেতে পারেন।’
২. বাস্তব দুনিয়ায় মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো
ফোন দিয়ে করা হয়—এমন কাজগুলো ফোন ছাড়াই করার চেষ্টা করলে, স্ক্রলিং অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর উপায়ে করা সম্ভব। এইলিশ ডিউক বলেন, ‘কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় আমরা দেখেছি, যারা সাধারণ ঘড়ি পরেন আর যারা সেলফোনে সময় দেখেন তাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক।’
অনিচ্ছায় হলেও যারা সেলফোনে সময় দেখেন, তারা স্ক্রলিংয়ে আটকে পড়েন। যেমন ‘কিছু একটা পড়ার সময় অনলাইনে না থেকে যদি পড়া যায়, সেটা অসাধারণ ব্যাপার।’
৩. গতিপথ পরিবর্তন করা
কোনো অ্যাপে ঢোকা বা সেটা ব্যবহারের সময় কি আমরা ভাবি কেন এটা করছি? এসব ক্ষেত্রে আরো সচেতন হতে পারলে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। লিং বলেন, ‘ফোন হাতে নেওয়ার তাড়না অনেকটা ক্ষুধার মতো। আপনি বুঝতে পারেন যে খিদেটা পেয়েছে। মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে। অনেকক্ষণ হলো ডোপামিন নিঃসরণ হয়নি, চলো শুরু করা যাক। তারপর খিদেটা ঢেউয়ের মতো বাড়তে পারে। কিন্তু আপনি সেই তাড়নাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। নিজেকে বলতে পারেন, বুঝতে পারছি ফোনটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু না দেখলেও তো পারি।’
আয়ুর্বেদিক মূল যষ্টিমধুর কথা অনেকে শুনেছেন। গলা ব্যথা ও কাশির জন্য এটিকে কার্যকর ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। আয়ুর্বেদে এর অনেক উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। যষ্টিমধু খাওয়া কেবল কাশি নিরাময়েই সাহায্য করে না, বরং আরো অনেক সমস্যায়ও সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর উপকারিতা
আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর অনেক উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ ও জীবাণুবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুধু গলার সংক্রমণ দূর করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
কাশি ও গলা ব্যথা : যষ্টিমধুর রসে ব্রঙ্কোডাইলেটর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যায় সাহায্য করে। কাঁচা যষ্টিমধু চিবিয়ে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যষ্টিমধুর পানি পান করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : যষ্টিমধুতে কিছু এনজাইম থাকে, যা শরীরে লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ তৈরিতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের ব্যথায় : নারীদের পিরিয়ডের সময় খিঁচুনি এবং মেনোপজের সময় ঘটে যাওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই যষ্টিমধু রস। শুধু তা-ই নয়, অনেক সময় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পিসিওএস এবং পিসিওডি-তে যষ্টিমধুর রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি শরীর থেকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য : ত্বকের অ্যালার্জি ও ফোলাভাব কমাতে যষ্টিমধুর রস অনেক সাহায্য করে। যষ্টিমধুর রসের সাহায্যে ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমানো যায়।
এসিডিটি ও বদহজম : যষ্টিমধুর শিকড় চুষলে এসিড রিফ্লাক্স, বুকজ্বালা ও বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন যষ্টিমধুর রস খাওয়া এসিড রিফ্লাক্সের জন্য বেশি কার্যকর।
ক্যান্সারবিরোধী বৈশিষ্ট্য : ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, যষ্টিমধুর মূল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর।
হাঁপানি : ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, যষ্টিমধুর মূলে গ্লাইসাইরিজিন পাওয়া গেছে, যা হাঁপানিতে উপশম দিতে পারে।
দাঁত ক্ষয় : প্রতিদিন যষ্টিমধুর পানি দিয়ে দাঁত ধুয়ে ফেললে অথবা যষ্টিমধুর মূল চুষলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এটি দাঁতের ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধও দূর করে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
শীতে পিপাসা কম লাগে বলে অনেকেই পানি কম খান। কিন্তু পরিমাণ মতো পানি না খেলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। এ ছাড়া কিডনি ভালো রাখার জন্য পরিমাণ মতো পানি খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই সময় খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন, যা বিকল্প পথে শরীরে পানির জোগান দেবে। কী সেই খাবার, চলুন, জেনে নিই।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে।
রসুন
যেকোনো খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা যথেষ্ট।
পালং শাক
আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামসহ আরো নানা খনিজে সমৃদ্ধ পালং শাক। তাই যাদের কিডনিতে স্টোনের সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্য পালং শাক থাকা প্রয়োজন। চচ্চড়ি কিংবা সেদ্ধ বা ভাজি করে পালং শাক খেতে পারেন।
বিট
শীতকালে বাজারে কমবেশি বিট নজরে পড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালীন খাদ্যতালিকায় বিট থাকা খুব ভালো। কারণ, বিটের খাদ্যগুণ অনেক। বিট খুব দ্রুত হজম হয়। তেমনই আবার রক্ত পরিশুদ্ধ করার কাজেও শীতকালীন এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। হাই ফাইবার যুক্ত বিটকে তাই সালাদ কিংবা স্যুপ হিসেবে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্র্যানবেরি
প্রস্রাবে সংক্রমণ মূলত কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এ সমস্যা রুখতে খাদ্যতালিকায় ক্র্যানবেরি রাখা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন এক গ্লাস করে ক্র্যানবেরির জুস খেতে পারেন। আর নয়তো ক্র্যানবেরি ফল হিসেবে চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে অনেকটাই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন