বর্তমান সময়ে খাবার গরম করতে এখন সবার ভরসা মাইক্রোওয়েভ। সব খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে আপনার নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি হয়ে উঠে বিষাক্ত।
বর্তমান সময়ে খাবার গরম করতে এখন সবার ভরসা মাইক্রোওয়েভ। সব খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে আপনার নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি হয়ে উঠে বিষাক্ত।
চলুন, জেনে নিই খাবারগুলো সম্পর্কে।
পিৎজা
এটি এমনই একটি খাবার, যা গরম না খেলে ভালো লাগে না। তবে পিৎজা দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে পুরনো স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পিৎজার রুটি এবং পিৎজাতে থাকা চিজ, অলিভ, মাংস সব কিছুর স্বাদই নষ্ট হয়।
ডিম
ডিমের তৈরি জিনিস গরম করার আগে সাবধান। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে কেক গরম করতে পারেন। কিন্তু এগরোল বা ডিম ভুনা কখনোই মাইক্রোওভেনে গরম করবেন না।
বার্গার
বার্গার একবার তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা বাড়িতে এনে যদি আবার গরম করা হয় তাহলে তা শক্ত হয়ে যায়।
মাছ
মাছের ক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, মাছ যেদিন রান্না করবেন সেদিনই খেয়ে নেওয়া উচিত। সেদিন না খাওয়া হলেও গ্যাসে গরম করতে পারেন তবে মাইক্রোওভেনে কখনোই নয়। এর ফলে মাছের খাদ্যগুণ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। টাটকা মাছ রান্না করে খেয়ে ফেলুন।
মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার
দুধের কোনো খাবার যেমন পায়েস, মিল্ক শেক ইত্যাদি মাইক্রোওভেনে গরম করবেন না। এতে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সূত্র : নিউজ ১৮
সম্পর্কিত খবর
শৃঙ্খলা একটি ধারাবাহিক অভ্যাস। যা জীবনকে সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনশীল করতে সাহায্য করে। সুশৃঙ্খল জীবন গড়তে প্রথম প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। চলুন জেনে নেই কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আপনাকে সুশৃঙ্খল জীবন গড়তে সহায়তা করবে।
নির্দিষ্ট রুটিন
জীবনে শৃঙ্খলা আনতে প্রথমে একটি রুটিন তৈরি করুন। কোন কাজ কখন করবেন, তা দিনের শুরুতেই নির্ধারণ করে নিন। যেমন- শরীরচর্চা, পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ।
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং চারপাশের নানা বিপদজনক প্রলোভন আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
কঠিন কাজ আগে করুন
গবেষণা বলছে, কঠিন কাজগুলো আগে করে ফেললে পরবর্তী কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। যার ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
শৃঙ্খলায় বিশ্বাস
গবেষণায় জানা গেছে, অনুপ্রেরণা বা সিদ্ধান্ত দীর্ঘ সময় টেকে না। তবে সঠিক কাজগুলো নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করলে শৃঙ্খলা সহজেই আসবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
স্পষ্ট লক্ষ্য
একটি স্পষ্ট লক্ষ্য থাকা শৃঙ্খল জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লক্ষ্যগুলি তালিকাভুক্ত করুন এবং এক এক করে সেগুলি অর্জন করতে শুরু করুন। এতে আগ্রহও বাড়বে এবং ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
বিরতি নিন
একটানা কাজ করার ফলে মন এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, যা উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া খুবই জরুরি।
সূত্র: এই সময়
সবুজ শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কাঁকরোল একটি এমন সবজি যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
কাঁকরোলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁকরোল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।
এছাড়া কাঁকরোলে থাকে ভিটামিন সি যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঁকরোলের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুটিন এবং জেক্সানথিন ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে।
সূত্র: নিউজ ১৮
রমজান মাসে অনেকেই পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকেন। সচেতনভাবে পানি বা পানীয় পান না করলে খুব সহজেই আপনি মৃদু থেকে বিপজ্জনক পানিশূন্যতার কবলে পড়তে পারেন। আবার মৃদু পানিশূণ্যতার লক্ষণগুলো এমন যে গুরুতর সমস্যা না হলে অনেকে খেয়ালই করবেন না।
তাই লক্ষণগুলো জানা খুব জরুরি, যেন বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই আপনি তা সমাধান করে ফেলতে পারেন।
বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া
মুখের ভেতর অতিরিক্ত শুকনো লাগা। পানি খেলেও তৃষ্ণা বোধ হওয়া। এমন হলে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন খেলে অল্প সময়েই উন্নতি অনুভব করতে পারবেন।
মাথা ব্যথা করা
মাথা ব্যথা আসলে অনেক ধরনের সমস্যাকেই নির্দেশ করতে পারে।
মাথা ঘোরা ও ক্লান্ত বোধ হওয়া
খুব বেশি পরিশ্রম না করেও অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা এবং মাথা ঘোরা পানিশূন্যতার লক্ষণ।
চোখ বসে যাওয়া
চোখে নিচে বসে গেলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কালো মনে হলে দ্রুত শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার দিকে খেয়াল করুন।
প্রস্রাবের অস্বাভাবিকতা
কম প্রস্রাব হওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় গাঢ় রঙের প্রস্রাব হওয়া এবং তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের অর্থ হলো- শরীরের বর্জ্য বের করার জন্য কিডনি যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না।
এ ছাড়া ডিহাইড্রেশন কিডনিকে আরো তরল ধরে রাখতে উদ্দীপিত করতে পারে। যার ফলেও প্রস্রাব কম হয়। যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড থাকেন তখন আপনার প্রস্রাবে বেশি পানি থাকে এবং এটি হালকা রঙের দেখায়। ডিহাইড্রেশন হলে আপনার প্রস্রাব বেশি ঘন হয়ে যায় এবং গাঢ় রঙের হয়।
শরীরে পানির অভাব হলে টিস্যুগুলোতে প্রয়োজনীয় তরলের পরিমাণ কমে যায়, যা আপনাকে ক্লান্ত অনুভব করাতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী পানিশূন্যতা ফলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি থেকে শুরু করে আরো নানান জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।
আমরা প্রায়ই হাতের সামনে যা পান তা দিয়েই চশমা মুছে ফেলি। সেটি হোক জামার কাপড় কিংবা তুলো। অনেকে আবার চশমা নোংরা হলে শুধু ফুঁ দিয়ে ধুলো উড়িয়ে দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চশমা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এভাবে হেলাফেলা করা উচিত নয়।
চশমা মোছার ক্ষেত্রে সব সময়ই পাতলা টিস্যু ব্যবহার করুন। কাপড় দিয়ে মুছলে কাপড়ের সুতো থেকে লেন্সে আঘাত পড়তে পারে। ব্যাপারটা আরেকটু ভালো করে বোঝানো যাক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে পানি দিয়ে হালকা করে চশমার কাচ ধুয়ে নিন।
টিস্যু না থাকলে একটা খবরের কাগজের টুকরো পানিতে ভিজিয়েও মুছে নিতে পারেন। দেখবেন এর ফলে চশমার কাচ ঝকঝকে হবে। বাজারে চশমা পরিষ্কার করার সলিউশনও পাওয়া যায়। সেটি কাচে লাগিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
কখনোই মুখের ভাপ দিয়ে চশমা পরিষ্কার করবেন না। এতে কাচ নষ্ট হতে পারে।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা