দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর ইফতার করতে বসলে খাবার বাছাইয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। খালি পেটে কিছু বিশেষ খাবার খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার আছে যা খালি পেটে গ্রহণ করলে তাৎক্ষণিক অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা কিংবা বুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এসব অভ্যাস শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ইফতারে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। চলুন জেনে নিই, কোন খাবারগুলো ইফতারে না খাওয়াই উত্তম—
সাইট্রাস ফল ও ঠাণ্ডা শরবত
ইফতারে ফল খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে, তবে খালি পেটে সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন কমলা, মুসুম্বি ইত্যাদি খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো পেটে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন করে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া এসব ফলে থাকা ফ্রুক্টোজ হজম-প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
সাইট্রাস ফলের তৈরি ঠাণ্ডা শরবতও ইফতারে না খাওয়াই ভালো, কারণ ঠাণ্ডা পানীয় সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়াতে পারে এবং হজমের গতি মন্থর করে।
তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার
ইফতারে সমসাময়িক ট্রেন্ড অনুযায়ী বিভিন্ন ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, আলুর চপ ইত্যাদি খাওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার পর এ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস, অস্বস্তি এবং পেটের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে মেদের পরিমাণ বাড়তে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে এটি অন্ত্রের সমস্যা, আলসার এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই ইফতারে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
চা ও কফি
ইফতারের পর অনেকেই চা বা কফি পান করতে অভ্যস্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারী খাবারের পর চা বা কফি পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এটি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
পাশাপাশি, অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ইফতারের পরপরই চা বা কফি পান না করাই ভালো।
ইফতারে কী খাবেন?
ইফতারে স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। খেজুর, দই, ইসবগুলের শরবত, শাকসবজি এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোজার পর পেটের কোনো সমস্যা হবে না।