ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

হাতের তালু চুলকালে কি আসলেই টাকা আসে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হাতের তালু চুলকালে কি আসলেই টাকা আসে?
সংগৃহীত ছবি

অনেক আগে থেকেই একটা কথা বেশ প্রচলিত, ডান হাতের তালু চুলকালে নাকি টাকা আসে, আর বা হাতের তালু চুলকালে টাকা গায়েব। হাতের তালু চুলকালেই আমাদের মধ্যে কমবেশি সবাই এ কথা বিশ্বাস করে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ডান কিংবা বাঁ হাতের তালু চুলকায় কেন, জানেন?

হাতের তালু চুলকায় কেন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতের তালু চুলকানোর নেপথ্যে টাকা আসা বা খরচ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। পুরোটাই একটা কুসংস্কার।

তবে হাতের তালু চুলকালে একটু চিন্তারই ব্যাপার। তা ডান হাত হোক, কিংবা বা হাত। এর নেপথ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া। যে ব্যাকটেরিয়া খুব আমাদের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে এবং খুব সহজেই সেই ব্যাকটেরিয়া আমাদের কাবু করে ফেলছে।

ব্য়াপারটা একটু বিশদে বলা যাক। সারা দিন আমরা নানা জায়গায় কাজের প্রয়োজনে হাত দিই। কখনো বাস, রিকশা, সিএনজি কিংবা ট্রেন। অথবা পাবলিক টয়লেট।

এমনকি আপনি যে অফিসে কাজ করেন, সেই ডেস্কেও থাকে এই ব্যাকটেরিয়া।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

শুধু তা-ই নয়, সারা দিন ধরে যে মোবাইলে খুটখাট করতে থাকেন, সেই মোবাইলের স্ক্রিনেও বাসা বাঁধে এই ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া আপনার অজান্তেই হাতের ত্বকে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার ফলে শুরু হয় এই চুলকানি।

কিভাবে দূর করবেন

  • প্রথমেই হাতের তালু চুলকালে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
এ ক্ষেত্রে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করুন।
  • বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। এতে হাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারবে না।
  • যখনই বাইরে বের হবেন সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন। প্রয়োজনে সেটা ব্যবহার করুন।
  • আপনার ল্যাপটপ, ডেস্কটপের কি-বোর্ড এবং মোবাইলের স্ক্রিন মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করুন। বাজারে বিশেষ ক্লিনার পাওয়া যায়।
  • হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না। এতে আরো সমস্যা বাড়তে পারে।
  • আরো পড়ুন
    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

     

    সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন
    সংগৃহীত ছবি

    ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন রোজা ভাঙার জন্য ইফতারে সবার আগে কেন খেজুরই খাওয়া হয়? মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় খাবারের একটি ছিল খেজুর। তিনি নিজেও ইফতার করতেন খেজুর দিয়েই। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।

     

    রোজায় দীর্ঘসময় আমরা খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকি। এতে পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে অনেকেই ইফতারে খেজুর খান। সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের এমন কিছু খাবারের প্রয়োজন হয়, যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে।

    সেই সঙ্গে জোগাবে কর্মশক্তিও। এ কারণেই রোজার সময় খেজুরের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়।

    আরো পড়ুন
    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

     

    নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরে আছে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ নানা প্রাকৃতিক উপাদান। এ ছাড়া আর কী উপকারে আসে এই খেজুর।

    চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

    হৃদরোগের ঝুঁকি 

    খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

    ক্যান্সার প্রতিরোধ 

    পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

    আরো পড়ুন
    ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

    ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

     

    উচ্চ রক্তচাপ

    খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

    প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায় খেজুর থেকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। 

    এনার্জি

    খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়।

    এসিডিটি

    দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে সাধারণত এসিডিটি হয়। যার থেকে অস্বস্তি হতে থাকে। খেজুর শরীরে এসিডের মাত্রা বশে রেখে অস্বস্তি কমায়।

    আরো পড়ুন
    আমলকী চায়ের যত গুণ

    আমলকী চায়ের যত গুণ

     

    বেশি খাওয়া

    সারা দিন না খেয়ে থাকলে খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এর মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা লাগে। তাই বেশি খাওয়ার আগেই পেট ভরে যায়। 

    হজম

    অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা পৌষ্টিকতন্ত্রের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। খেজুর শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে হজম ভালো হয়।

    খেজুর হলো রোজা ভাঙার সর্বোত্তম উপায়। তবে ইফতারে যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি  পান করা উচিত। কারণ উভয়ই বিশুদ্ধ ও নিরাময়কারী।

    আরো পড়ুন
    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

     
    মন্তব্য

    দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ
    সংগৃহীত ছবি

    সকাল বা বিকেলের নাশতায় অনেকে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তবে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন এখন ওট্স, চিয়া সিড, কিনোয়াসহ বিভিন্ন খাবারে ভরসা রাখেন।

    ব্যস্ত জীবনে রকমারি খাবারের ঝক্কি এড়াতে ওট্স, ফল, দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় স্মুদি।

    তাতে বাদাম, রকমারি বীজ যোগ করলে পুষ্টিগুণ যেমন বাড়ে, স্বাদও বৃদ্ধি পায়।

    কিন্তু বানানো সহজ হলেও এই যে সব রকম খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা, তা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ওট্‌সে ফাইবার থাকে, চিয়া সিডও ফাইবার সমৃদ্ধ, আবার আপেলসহ ফলেও থাকে ডায়েটরি ফাইবার। এত ফাইবার একসঙ্গে খাওয়া কি ভালো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

    আরো পড়ুন
    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

     

    পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবারের অনুপাত ঠিক রেখে ওট্স ও চিয়া সিড খাওয়া যেতেই পারে।

    তবে সকলের ক্ষেত্রে এক নিয়ম চলবে না। ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ৩৫ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম ওটসে ফাইবার আছে ৯ থেকে ১০ গ্রাম। কেউ যদি ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খান তাহলে ১০০ গ্রাম ওটসের সমতুল্য ফাইবার পাবেন।

    পুষ্টিবিদরা আরো বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার কিংবা ভিটামিন— সবটাই খেতে হবে প্রয়োজনমতো, শরীর বুঝে। যেমন চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তবে ভালো মানেই যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। কিংবা ফাইবার সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান লাভজনক না-ও হতে পারে।

    হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে বেশি ফাইবার খাওয়া ঠিক হবে না।

    আরো পড়ুন
    আমলকী চায়ের যত গুণ

    আমলকী চায়ের যত গুণ

     

    ওট্স-চিয়ার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উপযোগিতা

    ওট্‌সে থাকে বিটা গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ওট্স। অন্যদিকে চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। ফলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওট্স, পরিমিত চিয়া সিড, বাদাম মিলিয়ে খেলে পেট ভরা খাবার হতে পারে।

    দুধের সঙ্গে কি চিয়া বীজ খাওয়া ভালো?

    দুধে অনেকেই চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। পানি বা দুধে বীজ ভিজিয়ে নিলে সেটি নরম হয়ে যায়। চিবাতেও সুবিধা হয়। একই সঙ্গে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা রকম পুষ্টিগুণ চিয়া সিডের সঙ্গে যুক্ত হয়।

    আরো পড়ুন
    ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

    ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

     

    তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেলে যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চিয়া সিডের ডায়েটরি ফাইবার দুধের পুষ্টিগুণ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধু দুধের ভিটামিন, খনিজ পেতে হলে তার সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ না করাই ভালো।

    যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।

    আরো পড়ুন
    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

     

    সূত্র : আনন্দবাজার

    মন্তব্য

    ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ
    সংগৃহীত ছবি

    বাজারে এখন মিষ্টি ও তাজা আঙুর পাওয়া যায়। এই তাজা আঙুর দিয়ে আপনি চাইলে সহজেই ঘরে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ খেতে খুবই সুস্বাদু। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর।

    এই ঈদে সবার ঘরের সেমাই, ফিরনি, পায়েশসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এসবে ব্যবহার হয়ে থাকে কিশমিশ।

    কালো বা সবুজ যেকোনো আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।

    আজ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন সুস্বাদু কিশমিশ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

    আরো পড়ুন
    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

     

    বাড়িতে আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরির পদ্ধতি

    প্রথম ধাপ : আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে প্রথমে তাজা, রসালো ও মিষ্টি আঙুর বেছে নেওয়া উচিত। প্রথমে আঙুরগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ২-৩ বার ভালো করে ধুয়ে নিন।

    এবার আঙুরের সব ডাঁটা তুলে আলাদা করে নিন।

    দ্বিতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি ঢেলে গ্যাসে গরম করার জন্য রাখুন। পাত্রে যতটা সম্ভব আঙুর দিন। এবার ছাঁচটি কুকারে সেট করুন এবং আঙুরগুলোকে হালকা হলুদ ও নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাপে রাখুন। এটি করতে আপনার ৫ মিনিট সময় লাগবে।

    তৃতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে সমস্ত আঙুর রাখুন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় রোদে বিছিয়ে দিন। চাইলে কাপড়ের নিচে খবরের কাগজও রাখতে পারেন। এবার সব আঙুর একটু ফাঁক ফাঁক করে রোদে শুকাতে দিন।

    আরো পড়ুন
    আমলকী চায়ের যত গুণ

    আমলকী চায়ের যত গুণ

     

    চতুর্থ ধাপ : আঙুর শুকাতে সময় নেয়। আঙুর কিশমিশে পরিণত হতে প্রায় ২-৩ দিন সময় লাগে। প্রতিদিন উজ্জ্বল রোদে শুকাতে হবে। তিন দিনের মধ্যে একেবারে তাজা ও হলুদ কিশমিশ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আপনি এই কিশমিশ এমনি খেতে পারেন বা যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।

    এভাবে সহজে বাড়িতেই আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। কম দামে ভাঙা আঙুর কিনুন, আর সেগুলোই তাজা কিশমিশ তৈরিতে ব্যবহার করুন। প্রস্তুত কিশমিশগুলো একটি কাচের জারে সংরক্ষণ করুন। এই কিশমিশগুলো বেশিদিন নষ্ট হবে না।

    আরো পড়ুন
    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

    আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

     

    সূত্র : আজতক বাংলা

    মন্তব্য

    যেভাবে সালাদ খেলে বিপদের ঝুঁকি

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    যেভাবে সালাদ খেলে বিপদের ঝুঁকি
    সংগৃহীত ছবি

    রঙিন সালাদ মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর, তা কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সালাদ তৈরির নিয়ম, খাওয়ার সময় ও ধরন না জেনে খেলে শারীরিক নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। সালাদ একটি জনপ্রিয় মিশ্র খাবার, যা প্রধানত ফল এবং কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে সালাদ তৈরি করা হলেও পৃথিবীজুড়ে সালাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

    ভিটামিন, মিনারেল, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে সালাদের জুড়ি নেই। নিয়মিত রঙিন সালাদ গ্রহণে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, ওজন ও উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাসসহ নানান উপকারিতা রয়েছে।
     
    কিন্তু সামান্য কিছু ভুলের কারণে সালাদের উপকারিতা না পেয়ে বরং খারাপ ফল পাবেন। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, কিছু বিষয় খেয়াল না রেখে সালাদ তৈরি করলে উপকারের চেয়ে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে সালাদ।

    যেমন—
     
    ১. প্রথমেই ডায়েটিশিয়ানরা গুরুত্ব দিয়েছেন সালাদ তৈরি করার বিষয়টিতে। কারণ, ঠিকমতো সালাদ তৈরি করতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! এ বিষয়ে তারা বলেন, সালাদ তৈরির সময় অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই উপাদান খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
     
    ২. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল, সবজি কিংবা মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার সালাদে স্বাস্থ্যহানির উপাদান প্রবেশ করছে।
    তাই সালাদ তৈরিতে মেয়োনিজ পরিহার করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এ ক্ষেত্রে টকদই বা গ্রিক ইয়োগার্ট ব্যবহার করতে পারেন।
     
    ৩. এ ছাড়া সালাদে সাদা লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। কেননা, সাদা লবণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সাদা লবণের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করাই ভালো।
    সালাদের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত লবণ, চিনিযুক্ত সেসব ড্রেসিং-এ ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয় সতর্ক থাকুন।
     
    ৪. অনেকেই সবজির সালাদ তৈরির সময় সিদ্ধ করে নেন কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে সালাদের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
     
    ৫. সালাদের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। এতে সালাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ হয়, যা না করাই ভালো। স্বাদ বাড়াতে সালাদে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
     
     ৬. সালাদের ড্রেসিংয়ে অলিভ অয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। সালাদ সুস্বাদু করতে অতিরিক্ত অলিভ অয়েল ব্যবহার না করে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হার্বস ব্যবহার করতে পারেন।
     
    ৭. সালাদ নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব খাবারের সঙ্গে সব রকম সালাদ খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের সঙ্গে সালাদ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
     
     ৮.  দিনের কোন সময়ে সালাদ খাচ্ছেন সেটিও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। সালাদের পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো দুপুরবেলা। তাই দুপুরের খাবারের সঙ্গেই সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
     
    ৯. খাওয়ার অনেক আগে সালাদ তৈরি করে রাখবেন না। এতে সালাদে পানির পরিমাণ বেড়ে সালাদের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন খাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে সালাদ তৈরি করার।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ