অল্প বয়সে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কেন বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অল্প বয়সে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কেন বাড়ছে
প্রতীকী ছবি

বর্তমানে অল্প বয়সে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ভারতে এমন বহু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের বয়স ৪০-এর নিচে বা তার চেয়েও অনেকটা কম। 

মুম্বাইয়ের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সুমিত শাহ বলেছেন, আগে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিভাগই পঞ্চাশ বা ষাটোর্ধ নারীদের দেখা যেত। কিন্তু এখন সেই বয়সসীমা অনেকটাই কমে এসেছে।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে অনেকেই ৪০ বছরের নীচে। আবার তার চাইতে কম বয়সের অনেক নারীও এতে আক্রান্ত।

প্রায় দশ বছর আগে তার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন দিল্লির বাসিন্দা নীদা সরফরাজ। তিনি বলেন, রাগ হচ্ছিল…ভীষণ রাগ।

ভেবেই পাচ্ছিলাম না কেন! কেন এমনটা হলো। মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল যে, কীভাবে আমার স্তন ক্যান্সার হতে পারে? সবে তিরিশে পা দিয়েছি। আমি ভেবেছিলাম ছোট একটি সার্জারি করলেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার স্তনের একটা বড় অংশ বাদ দিতে হয়।

সরফরাজ একা নন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন আরো এক নারী। যে স্টেজে তার স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছিল, সেই সময় সার্জারির মাধ্যমে স্তন অপসারণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।

ভারতীয় অভিনেত্রী হিনা খানও গত বছর মাত্র ৩৬ বছর বয়সে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

কলকাতার চিকিৎসক ডা. ঋতুপর্ণা চতুর্বেদী বলেন, অল্পবয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার বৃদ্ধি পাওয়া একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে তিরিশের ঘরে থাকা নারী দেখেছি, আবার তার চাইতে অনেকটা কম বয়সী রোগীও পেয়েছি। আমার অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে কম বয়সে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর বয়স ছিল ১৭ বছর।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি ২০ জন নারীর মধ্যে অন্তত একজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে নতুন স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছরের হিসেবে ৩২ লাখেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা।

ভারতে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের বয়সসীমার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে ভারতে ৪০-৫০ বা তার বেশি বয়সের নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঘটনা রিপোর্ট করা হলেও, ৪০-এর কম বয়সের নারীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। 

অ্যাপোলো রিসার্চ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেড় লাখ ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখেছে, কমবয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । অ্যাপোলোর স্ক্রিনিং থেকে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ২৫ শতাংশের বয়স ৩৯ বছর বা তারও কম।

দিল্লির অ্যাপেলো হসপিটালের সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট রোকেয়া আহমেদ মীর বলেছেন, ভারতে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার গত পাঁচ বছরে বেশ বেড়েছে এবং এটা উদ্বেগজনক বিষয়।

আরো পড়ুন
রেড কার্পেটে ‘ভুল’ ইংরেজি বলায় শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ!

রেড কার্পেটে ‘ভুল’ ইংরেজি বলায় শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ!

 

কম বয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে।

ক্যান্সার গবেষক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'অনকোলিঙ্ক ইন্ডিয়া'র প্রতিষ্ঠাতা ড. অমিত কান্তি সরকার বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ার কারণে ওবেসিটি, ধূমপান, পরিবেশ দূষণের মতো একাধিক ফ্যাক্টর এই প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি জেনেটিক ফ্যাক্টর তো আছেই।

জীবনযাত্রাকে একটা বড় ফ্যাক্টর বলে উল্লেখ করেছেন ডা. রোকেয়া আহমেদ মীর বলেন, জাঙ্কফুড নির্ভর ডায়েট, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ধূমপানের মতো ফ্যাক্টর যা ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য অনেক ধরনের রোগ এবং ক্যান্সারের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়।

অন্যদিকে, ডা. প্রভাকর বলেন, আগে মনে করা হতো স্তন ক্যান্সারের ঘটনা শহরে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এখন তা নয়। যেমন উত্তরাখণ্ডের গ্রামেও কমবয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার লক্ষ্য করা গিয়েছে।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই রোগ দ্রুত শনাক্ত হওয়া দরকার। ডা. গৌতম মুখার্জী বলেন, আর্লি ডিটেকশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে একাধিক ফ্যাক্টর থাকে। রোগের ধরন এবং স্টেজের ওপর নির্ভর করে কী চিকিৎসা হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং সম্ভাব্য আউটকাম কী হতে পারে, তা বলা যেতে পারে।

আরো পড়ুন
বিচ্ছেদের পরও ছায়াসঙ্গী সুস্মিতার প্রাক্তন!

বিচ্ছেদের পরও ছায়াসঙ্গী সুস্মিতার প্রাক্তন!

 

কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই ব্রেস্ট ক্যান্সার যতদিনে শনাক্ত হয়, ততদিনে ক্যান্সার অ্যাডভান্স স্টেজে চলে যায়।

ডা. চতুর্বেদী বলেন, আমরা সব সময় মেয়েদের এই বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করি যে, স্তনে কোনোরকম অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কিন্তু অনেক সময়ই মেয়েরা দেরি করে ফেলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্তনের আকারের পরিবর্তন, স্তন বা বগলে ব্যথাহীন পিণ্ড, স্তনের ত্বকের পরিবর্তন, স্তনবৃন্ত থেকে নিঃসরণ ইত্যাদি ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন ফখরুল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন ফখরুল

 

এ কারণে সচেতনতা বৃদ্ধি, সেল্‌ফ এগজামিনেশন, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, অবহেলা না করা মতো খুঁটিনাটি বিষয় এই রোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জীবনযাত্রার পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম আহার অনেক রোগের সম্ভাবনাই কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু একইসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, রোগ ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই আগে চিকিৎসা শুরু হলে অ্যাডভান্স স্টেজের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চুলের যত্নে সরিষার তেল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চুলের যত্নে সরিষার তেল
সংগৃহীত ছবি

মাছ বা মাংসে রেসিপিতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ অনেক মজাদার হয়। সরিষার তেলের ঝাঁঝালো গন্ধ ও স্বাদ অনেকের প্রিয়।  
রান্নার পাশাপাশি চুলের যত্নেও সরিষার তেল উপকারী। এ তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি ও কে।

যা চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। বাইরের ধুলাবালির কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরিষার তেলের সঠিক ব্যবহারে চুলের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

সরিষার তেল ও কারিপাতা
আধা কাপ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েকটি কারিপাতা ফুটিয়ে নিন।

তেল ঠাণ্ডা হলে এটি মাথার ত্বক এবং চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়ে চুল ঘন, কালো ও লম্বা হবে।

সরিষার তেল ও আমলকী
সরিষার তেলের সঙ্গে ২ চা চামচ আমলকীর পাউডার মিশিয়ে মাথায় মাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুলে লাগিয়ে রাখুন।

সপ্তাহে দুই-তিন দিন ব্যবহারে চুলের ঘনত্ব বাড়বে এবং পাকা চুলের সমস্যাও কমে যাবে।

সরিষার তেল ও নারকেলের দুধ
দুই চামচ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েক চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে চুলে ভালো করে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল নরম ও ঝলমলে করবে।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গোলাকার পিৎজার বাক্স চারকোনা কেন হয়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গোলাকার পিৎজার বাক্স চারকোনা কেন হয়?
সংগৃহীত ছবি

বেশ কিছু বছর ধরে পিৎজা আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে অনেক ধরনের পিৎজা পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন গোলাকার পিৎজা পাওয়া যায় চারকোনা বাক্সে? 

চলুন জেনে নেওয়া যাক।  

সাধারণত পিৎজার বাক্স তৈরি করতে পিচবোর্ড কেটে গোল আকৃতি দেওয়া তুলনামূলকভাবে বেশি খরচসাপেক্ষ।

এর বদলে বর্গাকার বা চারকোনা আকারের বাক্স তৈরি করা অনেক কম খরচে হয়। সময়ও কম লাগে। 

আরেকটি কারণ হলো, গোলাকার বাক্স হোম ডেলিভারির জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। পিৎজা ডেলিভারি করতে যেসব বাক্স বা ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে চারকোনা বাক্স রাখা সুবিধাজনক।

অন্যদিকে দোকানে পিৎজার বাক্স সঠিকভাবে রাখতে চারকোনা বাক্স সুবিধাজনক। কারণ এটিকে সহজে রাখা যায় এবং জায়গা সাশ্রয় করে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবারগুলো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবারগুলো
সংগৃহীত ছবি

খারাপ জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল মানুষ নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে একটি হল উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের নানা কারণ থাকতে পারে। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ ও কম শারীরিক পরিশ্রমই এর মূল কারণ।

উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের কারণ হতে পারে। যদিও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে আপনি সহজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। 

চলুন জেনে নেওয়া উচ্চ রক্তচাপে কোন খাবারগুলো আপনার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। 

লবণ
রক্তচাপ বেশি হলে লবণ পরিহার করা উচিত বা কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

বিশেষ করে কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ডাল, সবজি, স্যুপ ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ না ব্যবহার করাই ভাল। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
 

কফি
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের কফি পানের পরিমাণ কমানো উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত কফি পান রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। কফি বেশি খেলে, রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই এটি সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত।

ফাস্টফুড
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের ফাস্ট ফুড পরিহার করা উচিত।

এই ধরনের খাবার দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ফাস্টফুড হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বাড়িতে রান্না করা হালকা খাবার খান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অ্যালকোহল
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অ্যালকোহল খুবই ক্ষতিকর। অ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক। তাই অ্যালকোহল পরিহার করা উচিত।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

কম তেল ও মসলায় মুরগির সহজ রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কম তেল ও মসলায় মুরগির সহজ রেসিপি
সংগৃহীত ছবি

গরম বাড়ছে। এই সময় কম তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে কম মসলা দিয়ে খাবার তৈরি করা উচিত। 

অনেকেই ঝাল ঝাল করে মুরগি খেতে ভালোবাসেন।

তবে কম মসলাতেও মুরগি রান্না সুস্বাদু হতে পারে। যদি সঠিক উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতি জানা থাকে। চলুন রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ :

৫০০ গ্রাম চিকেন,                                                                                                                                   

অর্ধেক পেঁয়াজ (কাটা) ও ১ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা,                                                                                                 

১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা,

১টি টমেটো (কুচি)                                                                                                   

হাফ কাপ টক দই,

৪-৫টি গোটা গোলমরিচ,

১ চা চামচ তেল,

পরিমাণমতো লবণ ও

পরিমাণমতো ধনেপাতা কুচি।

যেভাবে প্রস্তুত করবেন :

১। প্রথমে চিকেন ভালোভাবে ধুয়ে নিন। চিকেন যদি ম্যারিনেট করা থাকে, তবে তা দ্রুত রান্না হবে এবং স্বাদও ভালো হবে। অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ১ চামচ পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা ও টক দই দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন।

৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখলে রান্না ভালো হবে।

২। এরপর কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে এতে গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এরপর এতে ম্যারিনেট করা চিকেন ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে কশাতে থাকুন। টমেটো কুচি মিশিয়ে দিন।

৩। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে মাংস কশাতে থাকুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।

৪। চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। আপনার কম মসলা দিয়ে মুরগি রান্না প্রস্তুত। এটি ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারবেন।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ