রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।
রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।
হলুদ গুঁড়া
হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন।
মরিচের গুঁড়া
আজকাল মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
ধনে গুঁড়া
অনেক সময়ে ধনে গুঁড়াতে কাঠের গুঁড়া, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়া নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
জিরা গুঁড়া
জিরার গুঁড়াতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা জিরা ফেলুন। যদি কিছু অংশ পানিতে ভেসে থাকে বা পানির রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।
গোলমরিচ
গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা পানির নিচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ ওপরে ভেসে উঠবে।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
পবিত্র ঈদুল ফিতর মানেই আনন্দ, উৎসব আর প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর এক অনন্য উপলক্ষ। এবারের ঈদ আরও একটু বিশেষ, কারণ অনেকে পাচ্ছেন দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি। ব্যস্ত শহুরে জীবনে এমন ছুটি পাওয়া সত্যিই বিরল। তাই এই সময়টাকে শুধু বিশ্রামে কাটিয়ে দেওয়া নয়, বরং স্মরণীয় করে তোলার জন্য একটু পরিকল্পনা করা জরুরি।
নাড়ির টানে শেকড়ে ফেরা
ঈদ মানেই তো শেকড়ের টান! কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে যারা গ্রামে ফেরা হয়ে ওঠে না, ঈদের ছুটিতে তারা ছুটবেন জন্মভূমির পথে। ট্রেন, বাস, লঞ্চের জানালায় মুখ রেখে শৈশবের স্মৃতিচারণ, পথের ধুলোয় খুঁজে ফেরা হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো—সবই যেন এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, খেলার মাঠ, নদীর ধারে বসে গল্প করা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হওয়া—সবকিছুতেই থাকে এক অন্যরকম উষ্ণতা।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বিশেষ সময়
যারা ঈদের পরের দিনগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্যও এই ছুটিটা দারুণ সুযোগ। দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র যেমন কক্সবাজার, বান্দরবান, সেন্ট মার্টিন, সুন্দরবন বা সিলেটের চা-বাগান—সব জায়গাতেই এখন ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হবে। আবার যারা শহর ছাড়তে চান না, তারা ঢাকার আশেপাশে সাভার, মধুপুর, পদ্মার পাড়, বা কোনও রিসোর্টে গিয়ে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি নিতে পারেন।
শহরের নীরব রূপের আনন্দ
অনেকেই ব্যস্ত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, ঈদের ছুটিতে তাই আর কোথাও যেতে চান না।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো—সবচেয়ে বড় আনন্দ
বছরের অনেক সময় আমরা কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় দিতে পারি না। এই ছুটিটা হতে পারে সেই শূন্যতা পূরণের মোক্ষম সুযোগ।
সামাজিক দায়িত্ব ও আত্মার প্রশান্তি
ঈদ শুধু আনন্দের জন্য নয়, বরং এটি আত্মার প্রশান্তিরও উপলক্ষ। ঈদের ছুটিতে যদি সম্ভব হয়, আশেপাশের অসহায় মানুষদের খোঁজ নেওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো কিংবা কাউকে একবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করাও হতে পারে সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎস। এতিমখানা বা বৃদ্ধাশ্রমে কিছু সময় কাটানো, পথশিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করলেও ঈদের আনন্দ অন্য মাত্রা পাবে।
শেষ কথা
ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি কেবল বিশ্রামের সময় নয়, বরং এটি হতে পারে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার, নতুন জায়গা আবিষ্কারের, মনের প্রশান্তি খোঁজার এক দুর্দান্ত সুযোগ। পরিকল্পনাহীনভাবে সময় পার না করে বরং এমন কিছু করুন যা আপনার হৃদয়ে দীর্ঘদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। ঈদের আনন্দ হোক সবার জন্য, প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই হোক সবচেয়ে দামী উপহার।
ঈদ মোবারক!
রমজান মাসে পুষ্টিকর সাহরি সারা দিনের রোজার শক্তি জোগায়। তাই সাহরিতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যা রোজার সময় অস্বস্তি, পানিশূন্যতা ও শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
চলুন, জেনে নিই কোন ধরনের খাবার সাহরিতে এড়িয়ে চলা জরুরি।
তীব্র মসলাদার খাবার
সাহরিতে তীব্র মসলাদার খাবার খেলে সারা দিন তৃষ্ণা অনুভব হতে পারে।
ভাজা খাবার
ভাজা খাবার সাহরিতে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি অতিরিক্ত তৃষ্ণা সৃষ্টি করে।
চকোলেট বা চিনিযুক্ত খাবার
সাহরিতে বেশি মিষ্টি বা চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো শরীরকে পানির ঘাটতি অনুভব করাতে সক্ষম।
দুধের সঙ্গে সাইট্রাস বা লবণাক্ত খাবার
দুধের সঙ্গে সাইট্রাস বা নোনা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সাহরিতে এসব খাবার এড়িয়ে চললে আপনার রোজা রাখা আরো সহজ ও আরামদায়ক হবে।
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র মাস। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য রোজা রাখার প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক কঠিন।
ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা স্তর স্বাভাবিক রাখতে হয়। যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া (নিম্ন রক্ত শর্করা) এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্ত শর্করা) না হয়।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক রমজানে ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না।
যারা নিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, ইনসুলিন ব্যবহার করেন না এবং যাদের রক্তে শর্করা স্তর স্বাভাবিক। তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে পারবেন। এ ছাড়া যাদের তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা (যেমন কিডনি বা হার্টের রোগ) নেই তারাও রোজা রাখতে পারবেন।
অন্যদিকে যারা নিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রোজা রাখার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছেন। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলারা যারা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের ডায়াবেটিসের জটিলতা রয়েছে, রোজা রাখতে চাইলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : সার্কেল ডিএনএ
মাছ বা মাংসে রেসিপিতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ অনেক মজাদার হয়। সরিষার তেলের ঝাঁঝালো গন্ধ ও স্বাদ অনেকের প্রিয়।
রান্নার পাশাপাশি চুলের যত্নেও সরিষার তেল উপকারী। এ তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি ও কে।
সরিষার তেল ও কারিপাতা
আধা কাপ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েকটি কারিপাতা ফুটিয়ে নিন।
সরিষার তেল ও আমলকী
সরিষার তেলের সঙ্গে ২ চা চামচ আমলকীর পাউডার মিশিয়ে মাথায় মাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুলে লাগিয়ে রাখুন।
সরিষার তেল ও নারকেলের দুধ
দুই চামচ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েক চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে চুলে ভালো করে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল নরম ও ঝলমলে করবে।
সূত্র : এই সময়