<p>[ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে হৃৎপিণ্ডের কথা উল্লেখ আছে]<br /> <br /> হৃৎপিণ্ড দেহের গুরুত্বপূর্ণ পেশিবহুল একটি অঙ্গ। এটি বারবার সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে রক্তনালির ভেতর দিয়ে সারা দেহে রক্ত প্রবাহিত করে। হৃৎপিণ্ড শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ কার্ডিয়া থেকে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রতি মিনিটে হৃৎপিণ্ড সংকুচিত ও প্রসারিত হয় ৬০ থেকে ১০০ বার এবং গড় হিসাবে ৭২ বার। হৃৎপিণ্ডের এই সংকোচন ও প্রসারণকে হৃৎস্পন্দন বা হার্টবিট বলে। মানবদেহে হৃৎপিণ্ড বক্ষগহ্বরের মাঝ বরাবর অবস্থিত, যার একটি বড় অংশ কিছুটা বাঁ দিকে স্ফীত। বাঁ নিলয় অন্যান্য প্রকোষ্ঠ থেকে শক্তিশালী বলে হৃৎপিণ্ড সাধারণত বাঁ দিকে অনুভূত হয়। মানব হৃৎপিণ্ড ডান অলিন্দ ও ডান নিলয় এবং বাঁ অলিন্দ ও বাঁ নিলয় এই চারটি মূল প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। অলিন্দদ্বয় আন্ত অলিন্দ দেয়াল এবং নিলয়দ্বয় আন্ত নিলয় দেয়াল দ্বারা পৃথক থাকলেও উভয় অলিন্দ এবং নিলয়ের মাঝে যে ছিদ্রপথ আছে, তা খোলা বা বন্ধ করার জন্য ভালভ বা কপাটিকা থাকে। ডান অলিন্দ এবং ডান নিলয়ের মধ্যবর্তী ছিদ্রপথ তিন পালাবিশিষ্ট ট্রাইকাসপিড ভালভ দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। একইভাবে বাঁ অলিন্দে এবং বাঁ নিলয় দুই পালাবিশিষ্ট বাইকাসপিড ভালভ দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। মহাধমনি ও ফুসফুসীয় ধমনির মুখে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা থাকে। এদের অবস্থানের ফলে পাম্প করা রক্ত একই দিকে চলে এবং এক ফোঁটা রক্ত উল্টো দিকে ফিরে আসতে পারে না।</p> <p>স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের ওজন ২৫০-৩৫০ গ্রাম; কিন্তু একটি অসুস্থ হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখা জরুরি। হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণ ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। এ ছাড়া শারীরিক পরিশ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।       </p>