<p>গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ে করা দুই সমকামি যুবতীর একজন বাঙালি বংশোদ্ভূত। যার নাম ইয়াশরিকা জাহরা হক। অপরজন জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক এলিকা রুথ কুকলি (৩১)।</p> <p>তাদের এই বিয়ে আমেরিকায় হলেও বিয়ের সমস্ত আয়োজনেই ছিলো বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। ২০১৯ এর ৬ জুন তারা বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন।</p> <p>২০১৫ সালে একটি এলজিবিটি মার্চে তাদের প্রথমবারের মত দেখা হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে পরিণয়। </p> <p>নিজেদের প্রেমের কথা জানাতে গিয়ে ইয়াশরিকা বলেন, কুকলিকে প্রথম দেখার পর আমার যে কেমন লেগেছিল তা বলতে পারব না। তখন সে একা ছিল। আমিও তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। পরেরবার দেখা হবার পর আমাদের কথা হয়।</p> <p>কয়েকমাস পর তাদের আবার দেখা হয় এক বন্ধুর পার্টিতে। কুকলি বলেন, আমি ততদিনে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে ইয়াশরিকা পছন্দ করে। সেদিন আমরা সারারাত একসঙ্গে গল্প করেছিলাম। কুকলি আরো বলেন, সে খুবই মায়াবী আর যত্মশীল একটি মেয়ে। যা-ই হোক না কেন সে আমার পাশেই থাকবে।  </p> <p>ইয়াশরিকা বলেন, এই বিয়ের মাধ্যমে আমার তো মনে হয় যে এতদিনে দুটো চুম্বক জোড়া লাগল। আমি খুবই খুশি।</p> <p>ইয়াশরিকার বাবা ইয়ামিন হক, মা ইয়াসমিন হক। ইয়াশরিকা জাহরা হক ওয়াশিংটনের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ইলিনয়েসের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে একটি ল ফার্মে এসোসিয়েট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন</p> <p>তাদের বিয়ের সম্পূর্ণ আয়োজনটি  ব্রুকলিনের ২৪০ কেন্ট এভিনিউতে হলেও আয়োজনটি ষোলো-আনাই ছিলো বাঙ্গালীত্বে ভরা। ঐতিহ্য অনুযায়ী ইয়াশরিকা হকের পরনে ছিল লাল টুকটুকে বেনারসি। দু হাতের কনুই থেকে হাতের তালু পর্যন্ত মেহেদির আলপনা।</p> <p>এলিকা রুথের পরনে ছিল অফ হোয়াইট কালার শেরওয়ানি, লাল পাজামা। দু হাতে মেহেদির নকশা। গলায় মুক্তার মালা। এলিকা পেশাগতভাবে একজন অডিওলজিস্ট।</p> <p>নিউইয়র্ক টাইমসে তাদের বিয়ে নিয়ে একটি বিশেষ আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। নিউইয়র্ক টাইমসে উল্লেখ করা ছিল, এই বিয়েতে আনুমানিক ৫ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছিল।</p>