<h4>ঢাকার সুস্বাদু ও সেরা পুরির খেতাব বুদ্ধুর পুরিরই প্রাপ্য। বুদ্ধুর পুরি স্বাদে সেরার স্থান দখল করে আছে, সে-ও প্রায় শত বছর। মূলত পুরান ঢাকায় বসবাসরত আদিবাসীদের হাত ধরেই এই পুরির প্রচলন শুরু। বুদ্ধুর পুরির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘ্রাণ। একবার নাকে গেলে স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছা দমন করা কঠিন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল দুই বেলা হাজার হাজার পুরি বানিয়ে পুরিপ্রেমীদের চাহিদা মেটায় ডালপট্টিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই দোকান। ডালপট্টির বুদ্ধুর পুরির সঙ্গে অন্যান্য সাধারণ দোকানের পুরির ব্যবধান আকাশ-পাতাল। বুদ্ধুর দোকানের অতিসাধারণ পরিবেশে যুগ যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে তৈরি হচ্ছে এই পুরি। এখানে মূলত ডালপুরি বানানো হয়। এ ছাড়া এখানকার শিঙাড়াও চলে বেশ। আছে ডালপুরি, ডিমপুরিসহ আরো অনেক আয়োজন। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা ও দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে বুদ্ধুর পুরির স্বাদ নিতে। সকাল ৭টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকানটি। ঠিকানা : ৩৫ হেমন্ত দাস রোড, ডালপট্টি, সূত্রাপুর, ঢাকা।</h4> <p style=\"text-align:center\"><strong>লালবাগ চৌরাস্তার খেতাপুরি</strong></p> <p style=\"text-align:justify\"><strong><img alt=\"\" src=\"https://www.kalerkantho.com/ckfinder/userfiles/images/print/2021/Mgazin%202021/01.junuary/1-3-2021/kalerkontho-1-3-2021-em19.jpg\" style=\"border:0px; box-sizing:border-box; height:auto !important; max-width:640px !important; vertical-align:middle\" /></strong></p> <p style=\"text-align:justify\"> খেতাপুরির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যান্য পুরিতে আটা ব্যবহার করা হলেও এটা বানাতে ময়দা ব্যবহার করা হয়। হালকা তেলে তাওয়ায় ভেজে তৈরি করা হয় পুরি। চালের গুঁড়ির ডো থেকে ছোট ছোট রুটি (পুরির সাইজ) বেলে তৈরি করা হয়। এভাবে অনেক রুটি তৈরি হলে একটি রুটির ওপর ঠেসে ডাল দিয়ে তার ওপর আরেকটি রুটির টুকরো দিয়ে রুটি বানানো হয়। রুটির পুরুত্ব বেশ মোটা হয়। একটা রুটির ভেতরে ডালের পুর দিয়েও তৈরি করা যায়। তাওয়া গরম করে আবার হালকা আঁচে সব রুটি সেঁকে নিতে হয়।</p> <p style=\"text-align:center\"><strong>হোটেল খানের টাকি মাছের পুরি</strong></p> <p style=\"text-align:justify\"><strong><img alt=\"\" src=\"https://www.kalerkantho.com/ckfinder/userfiles/images/print/2021/Mgazin%202021/01.junuary/1-3-2021/kalerkontho-1-3-2021-em20.jpg\" style=\"border:0px; box-sizing:border-box; height:auto !important; max-width:640px !important; vertical-align:middle\" /></strong></p> <p style=\"text-align:justify\">রাজধানীর ওয়ারীর ৮ নম্বর জোড়পুল লেন, টিপু সুলতান রোডে গেলেই দেখা মিলবে টাকি মাছের পুরি। দোকানের মালিক বিল্লাল হোসেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই টাকি মাছের পুরি বানাচ্ছেন। আশপাশের এলাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে এই পুরির স্বাদ নিতে আসে। বিল্লাল হোসেন নিজের বাসায় টাকি মাছের ভর্তা বানিয়ে গরম মসলা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা মিশিয়ে নেন। পরে দোকানে এনে টাকি মাছের ভর্তার সঙ্গে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, ধনেপাতা, শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয় পুরির পুর। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি টাকি মাছের পুরি তৈরি হয়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই পুরি পাওয়া যায়। প্রতিটি টাকি মাছের পুরির দাম ১০ টাকা। পুরির সঙ্গে দেওয়া হয় চাটনি।</p>