<p>মঙ্গলবার বর্ষীয়াণ রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৭৯তম জন্মদিন। ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ড. মোশাররফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, গবেষক, প্রথিতযশা ভূ-বিজ্ঞানী, লেখক ও কলামিস্ট। তিনি তিন মেয়াদে মন্ত্রী ও চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। </p> <p>নিজ জন্মদিনে দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা ও হোমনা উপজেলাবাসী, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে বিপর্যস্ত দেশকে রক্ষার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি, অনেক নির্যাতিত হয়েছি। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মাঝে আমি অসুস্থ ছিলাম, সবার দোয়ায় আল্লাহ আমাকে সুস্থ করেছেন। রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার এই পরিবর্তন দেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি।’ </p> <p>সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’</p> <p>ড. মোশাররফ কুমিল্লার দাউদকান্দি হাই স্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে আইএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে জুনিয়র প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং একই বছর কলম্বো-প্ল্যান স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করার জন্য লন্ডন (বিলেত) গমন করেন তিনি। ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি, ১৯৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা এবং ১৯৭৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।<br />  <br /> ১৯৭৫ সালে বিলেত থেকে দেশে ফিরে ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন ড. মোশাররফ। ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।</p> <p>১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এজিএস এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন মোশাররফ। </p> <p>মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য ১৯৭১ সালে বিলেতে প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন খন্দকার মোশাররফ।</p>