<p>যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার সেন্ট ক্লাউড হাসপাতালের খাদ্য তালিকায় মুসলিম রোগী ও দর্শনার্থীদের জন্য ‘হালাল ফুড’ যুক্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।</p> <p>কমুনিটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হানি জেকবসন বলেন, ‘খাদ্য সরবরাহও সেবার অন্যতম অংশ। এ বিশ্বাস থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের জন্য ‘হালাল ফুড’ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর আগে মুসলিমদের বাসা কিংবা কোনো হালাল রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনতে হত। ফলে অনেক সময় তাঁদের ভোগান্তিতেও পড়তে হত।’</p> <p>গত জুলাই মাস থেকে হাসপাতালে খাদ্য তালিকায় ‘হালাল ম্যানু’ চালু করেন সুস শেফ কাইল ওয়েজেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় মুসলিমদের সহযোগিতা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। হাসপাতালে এসে তাঁরা পছন্দ মতো খাবার গ্রহণ করতে পারছে।’</p> <p>কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসেবার তথ্য মতে, মিনেসোটার অধিকাংশ হাসপাতালের খাদ্য তালিকায় ‘হালাল ম্যানু’ অন্তর্ভূক্ত আছে। আর হালাল বলতে মুসলিমদের জন্য খাওয়া বৈধ এমন খাবার বোঝানো হয়। কারণ শূকর কিংবা তা দিয়ে তৈরি কোনো খাবার মুসলিমদের জন্য বৈধ নয়।</p> <p>ওয়েজেনবার্গ বলেন, ‘হালাল ফুড’ হিসেবে হাসপাতালে ভাত, রুটি এবং ছাগল, মুরগি ও গরুর গোশত দিয়ে তৈরি নানা প্রকারের খাবার সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া খাওয়ার উপযুক্ত পশুকে হালাল খাবার খাওয়ানো ও হারাম পশু থেকে পৃথক রাখাও জরুরি। এসব খাবার প্রস্তুত করতে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাধ্যমে পৃথক পাত্রে রান্না করতে হয়।</p> <p>সূত্র : এসসি টাইমস</p>