<p>আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যু পুরো বিশ্বকে শোকাহত করেছে। ম্যারাডোনা ছিলেন ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থক। </p> <p>গত বুধবার (২৫ নভেম্বর) হার্টঅ্যাটাকে তাঁর মৃত্যুর খবরে ভক্তরা তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।<br /> ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে তার কোনো দ্বিধা ছিল না। বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবল তারকা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। </p> <p>২০১২ সালে ফিলিস্তিনিদের ‘এক নম্বর ভক্ত’ হিসেবে নিজেকে আখ্যায়িত করেন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, আমি তাদের সম্মান করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কোনো ভয় ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাই।</p> <p>এর দুবছর পর ২০১৪ সালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিমান হামলায় দুই হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তখন এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করেন ম্যারাডোনা। এ ঘটনাকে তিনি ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।</p> <p>২০১৮ সালে মস্কোয় এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন ম্যারাডোনা। আব্বাসকে বুকে ঝাপটে ধরে তিনি বিখ্যাত উক্তিটি বলেন, ‘অন্তরে আমি, আমি ফিলিস্তিনি।’ </p> <p>২০১৫ সালে এএফসি এশীয় কাপের সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন ম্যারাডোনা।</p> <p>ফুটবলকে ‘আরব গণতন্ত্রের অন্ধকার গুহার মধ্যে...অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষেত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবিশ।</p> <p>১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার এই খেলোয়াড়কে নিয়ে এক নিবন্ধে তিনি লেখেন, ফুটবল হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের জায়গা, যা একটি স্বাভাবিক জায়গায় ভেঙে পড়া জাতিকে সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দেয়।</p> <p>ম্যারাডোনাকে ফিলিস্তিনের ফুটবলারদের জার্সি প্রদানের ছবি প্রকাশ করে একটি টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ জামাল মাহমুদ। </p> <p>ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি শোক জানিয়ে এক টুইট বার্তা লেখেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি। আবু জুহরি বলেন, আমরা ফুটবলের একজন কিংবদন্তিকে হারালাম, যিনি ফিলিস্তিনের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন।’</p> <p>সূত্র : মিডলইস্ট আই ও আল-জাজিরা।</p> <p> </p>