জনপ্রিয় খল নায়িকা নাগমা আর নেই

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
জনপ্রিয় খল নায়িকা নাগমা আর নেই

জনপ্রিয় খল নায়িকা নাগমা আর নেই। ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর দক্ষিণখানের নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার বাদ আসর জানাজা শেষে ইব্রাহিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।



এদিকে অভিনেত্রী নাগমার অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির পক্ষে সহসভাপতি ওমর সানি নাগমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

স্বামী কেন আসামী, মেয়েরাও মানুষ, আখেরী জবাব, সাহেব নামে গোলাম, আসামী গ্রেপ্তার, স্বামী হারা সুন্দরী, বিষে ভরা নাগিন, ডাইনী বুড়ি, খুনের বদলা, শক্তির লড়াই প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছিলেন নাগমা। এর মধ্যে অধিকাংশ ছবিতেই তিনি ছিলেন খল নায়িকা।
নাগমার ভালো নাম সালমা আক্তার লিনা। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
 

মন্তব্য

বুয়েটে চান্স পাওয়া শান্ত বিশ্বাসের পাশে তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বুয়েটে চান্স পাওয়া শান্ত বিশ্বাসের পাশে তারেক রহমান
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বুয়েটে চান্সপ্রাপ্ত সিরাজগঞ্জের কামাখন্দ উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী শান্ত বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল। 

সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন— সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক রুমানা মাহমুদ, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি জামিল হোসেন ও মিরপুর থানা বিএনপি নেতা শাকিল মোল্লা প্রমুখ।

এসময় আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শান্ত বিশ্বাস ও তার বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি।

তারেক রহমান আজ বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় শান্ত বিশ্বাসের সংবাদ পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে ও শুভকামনার বার্তা পৌঁছে দিতে শান্ত বিশ্বাসের পরিবারের কাছে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেধাবী ছাত্র শান্ত বিশ্বাসের ভবিষ্যৎ আরো সাফল্য কামনা করেছেন। প্রতি মাসে মাসিক শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দরিদ্র পরিবারের সন্তান শান্ত বিশ্বাস।

তার বাবা বাড়িতে শিঙাড়া তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। মা বাড়িতে সুতা কেটে যে টাকা আয় করেন, তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাদের সংসার। অভাবের সংসারে কষ্ট করে পড়ালেখা করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শান্ত। কিন্তু অর্থাভাবে তার ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

শান্ত বিশ্বাস সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কল্পনা বিশ্বাস ও জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস দম্পতির ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে শান্ত বড়। ছোট বোন তৃষ্ণা বিশ্বাস স্থানীয় চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

‘৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার ও রায় বাস্তবায়ন করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার ও রায় বাস্তবায়ন করতে হবে’
প্রতীকী ছবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে শুধু বিচার সম্পন্ন নয় বরং ৯০ দিনের মধ্যে রায়ের বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগের দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।

মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, গতকাল আইন উপদেষ্টা যা বলেছেন তা অস্পষ্ট।

৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে এর অর্থ কি? ৯০ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালত রায় দিলে সেই রায় উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ হয়ে কার্যকর হতে বছরের পর বছর পেরিয়ে যাবে। আর যদি সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে তার বাস্তবায়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যায়।

তিনি বলেন, এখানে তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অনেক মামলার ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তদন্তের দুর্বলতা ও প্রতিবেদনের ভাষার মারপ্যাচে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে আর বহাল থাকে না।

এর সঙ্গে ধর্ষকের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপ তো থাকেই। যার ফলে ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে এমন নজীর কম। এ কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে। ইসলামী বিচার ব্যবস্থায় ধর্ষণের জন্য দ্রুত, প্রকাশ্য ও কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
সেটা প্রয়োগ করা গেলে সমাজে ধর্ষণের ব্যাপারে ভয় তৈরি হতো, হাজারো নিরপরাধ শিশু ও নারী রক্ষা পেত।

মন্তব্য

ভাসমান গুদাম রোধে তৎপরতা, এক মাসে ১০৮৫ জাহাজে অভিযান

মোবারক আজাদ, চাঁদপুর থেকে
মোবারক আজাদ, চাঁদপুর থেকে
শেয়ার
ভাসমান গুদাম রোধে তৎপরতা, এক মাসে ১০৮৫ জাহাজে অভিযান
ছবি: কালের কণ্ঠ

রমজানে ভাসমান গুদাম করে দ্রব্যমূল্যের অস্থিতিশীলতা রোধে তৎপর হয়েছে কোস্ট গার্ড। গেল এক মাসে ১০৮৫টি জাহাজে যৌথ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে কোস্ট গার্ড। সেই সঙ্গে নৌযানে রাত্রিকালীন নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টহল দল নিয়োজিত রেখেছে তারা।

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ রূটে চলাচলকারী যাত্রিবাহী জাহাজের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে কোস্ট গার্ড।

যার ফলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া ঢাকা-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম নৌ রূটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায়ও কাজ করছে তারা।

এদিকে, বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি, ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সেবাপ্রত্যাশীরা।

কোস্ট গার্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠী তথা দেশের আপামর জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

মৎস্য সম্পদ রক্ষা, জলদস্যুতা ও বনদস্যুতা দমন, চোরাচালান, মাদক পাচার ও মানবপাচার রোধ, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে নিবেদিত প্রাণ কোস্ট গার্ডের প্রতিটি সদস্য।

কোস্ট গার্ড সদরদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সমুদ্র বন্দর, বহিঃনোঙরে অবস্থানরত বৈদেশিক বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত নৌযান সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৭ খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল প্রদানের ফলে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে চলাচলরত নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করা হচ্ছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ লাইটার/ট্যাংকারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ও ভোজ্য তেলবাহী জাহাজ সমূহকে নোঙ্গর এলাকায় ৭২ ঘণ্টার বেশি অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ সকল জাহাজ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করতে কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। 

বহিঃনোঙ্গরে ছিঁচকে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার এবং বাণিজ্যিক জাহাজে অবৈধভাবে ক্রয় বিক্রয় বন্ধের নিমিত্তে বছরব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বহিঃনোঙ্গর এবং বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ হতে চোরাইকৃত মালামাল বিক্রয়ের স্থানে নিয়মিত যৌথ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এসকল অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

এ ছাড়াও কোস্ট গার্ড, সুন্দরবন ও সেন্ট মার্টিনে ট্যুরিস্ট জাহাজের নিরাপত্তায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।

গহীন সুন্দরবনে ট্যুরিস্টদের জরুরি সেবা প্রদান এবং অসুস্থ ট্যুরিস্টদের দ্রুততার সাথে হাসপাতালে প্রেরণের মাধমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত কল্পে অবদান রেখেছে কোস্ট গার্ড। যার ফলে পর্যটকরা সুস্থ ও নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারছেন।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ঢাকা জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাকিউল আহসান বলেন, ‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে কিছু কুচক্রিমহল ভাসমান গুদাম যাতে না করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।’

তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে বর্তমান সময়ে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রেখে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, লাইটার কোস্টারসহ অন্যান্য নৌযানে রাত্রিকালীন নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টহল টিম নিয়োজিত রয়েছে।’

সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (এক মাস) ১০৮৫টি বাণিজ্যিক ও লাইটার জাহাজে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযানের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মতো ভোজ্য তেলের সংকট ও বাজার মূল্য হ্রাস পাবে বলে মনে করছে কোস্ট গার্ড।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাকিউল বলেন, ‘কোস্ট গার্ডে সীমিত জনবল থাকলেও দেশের কল্যাণ ও দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে। মোটকথা বর্তমানে কোস্টগার্ড নিরলসভাবে এবং নিঃস্বার্থভাবে দিবারাত্রি জনগণের জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের সাথে সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করছে। আর এ কারণেই অতি অল্প সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত এই বাহিনীকে অনতিবিলম্বে ন্যূনতম পক্ষে ১০ হাজার সদস্য উন্নীত করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১০ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সর্বশেষ সংবাদ