এসএ পরিবহনের কুরিয়ারে ইয়াবা, এক লাখসহ গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এসএ পরিবহনের কুরিয়ারে ইয়াবা, এক লাখসহ গ্রেপ্তার ২
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলে বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে লুকিয়ে ইয়াবা আনা হচ্ছে ঢাকায়। নজরদারির কারণে এই অপকর্ম কিছুটা কমে আসলেও ফের শুরু হয়েছে। ইয়াবা কারবারিরা বেশি পার্সেল পরিবহন করা এসএ পরিবহনকে বেছে নিয়েছে। র‍্যাবের নজরদারিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ রবিবার রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউ এলাকার ২০ নম্বর বাড়িতে এসএ পরিবহনের অফিস থেকে এক লাখ পিস ইয়াবার চালান জব্দ করেছে র‍্যাব-৩। এ সময় কাশেম (৩১) ও মোরশেদ আলী (৩৩) নামে দুই কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
এ ঘটনায় এস এ পরিবহনের নির্বাহী পরিচালক, উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিকাটুলীর র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ঝিনুকের তৈরি অংলকার সামগ্রীর মধ্যে করে এক লাখ ইয়াবা আনা হয়।
ইয়াবা কারবারিরা কক্সবাজার থেকে ভুয়া নামে পার্সেল পাঠিয়ে দেয়। ঢাকায় এসে তাদের দলের লোকজনই সেই চালান গ্রহণ করে।
 
র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। ওই তথ্যের ভিত্তিতে এসএ পরিবহনের অফিসে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়।
এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অপর ব্যক্তিদেরও শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘এ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে এসএ পরিবহনের কোনো ব্যক্তি জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 
 
র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজারের লাবনী বিচ শাখা থেকে ইয়াবাসহ পার্সেলটি পাঠানো হয়। কাশেম ও মোরশেদের বাড়ি কক্সবাজার সদরে। তারা চালানটি গ্রহণ করতে উত্তরার এসএ পরিবহনের অফিসে যায়।
সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে র‍্যাব তাদের আটক করে।
 
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র‍্যাবকে জানায়, আগেও কয়েকবার কক্সবাজার থেকে বড় কার্টুনে করে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর আড়ালে ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান এসএ পরিবহনসহ বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় পাঠানো হয়। তারা আকাশ পথে ঢাকায় এসে এসব পার্সেল নিজেরাই গ্রহণ করে। কক্সবাজারে তাদের আরো সহযোগী আছে।
 
এসএ পরিবহনের নিজস্ব সিন্ডিকেটে ইয়াবা চালান পাচার করছিল তারা। এ কারণে এ কুরিয়ার সার্ভিসের কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে র‍্যাব। রবিবার রাতে এসএ পরিবহনের নির্বাহী পরিচালক, উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপককে র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। 
 
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে এসএ পরিবহনে মাদক চোরাচালানের তথ্য পেয়ে পথে তল্লাশি শুরু করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় হয়রানির অভিযোগ তুলে আদালতে যায় এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এতে উচ্চ আদালত পথে এসএ পরিবহনে তল্লাশি না করার আদেশ দেন। পরবর্তীতেও এসএ পরিবহনে আসা চালান জব্দ করা হয়।
 
সুন্দরবন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসেও আসা চালান জব্দ করে পুলিশ, র‍্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সংস্থাগুলো গোয়েন্দা নজরদারি করে পার্সেল খালাশের সময় অফিসে অভিযান চালিয়েই এসব মাদক জব্দ করে। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকার কারণে গোপনে মাদক পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন অনেক অভিযানকারী।
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইজতেমায় চলছে বয়ান, ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি (গাজীপুর)
আঞ্চলিক প্রতিনিধি (গাজীপুর)
শেয়ার
ইজতেমায় চলছে বয়ান, ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর সকল বাধা ও সংকাকে পেছনে ফেলে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ নদের (টঙ্গী নদী) তীরে বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের (যোবায়ের) অনুসারী তাবলীগের সাথীরা এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করছেন।

বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত শুরু হয়। বয়ানের অনুবাদ করছেন বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়ের।

আর বয়ানে মশগুল হয়ে ইবাদত করছেন মুসল্লিরা।

আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বলেন, ‘মনকে আল্লাহর দিকে একাগ্র করার জন্য এবং আমাদের ওপর আল্লাহর যেই হক আছে তা শেখার জন্য ও আমার ওপর আল্লাহর কি হক আছে তা শেখার জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হতে হবে।’

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বী ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী সাথীরা।

মন্তব্য

রাতে আধা ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে জরুরি সেবা ৯৯৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাতে আধা ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে জরুরি সেবা ৯৯৯
সংগৃহীত ছবি

কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩০ মিনিটের জন্য বিঘ্নিত হতে পারে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর সেবা।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য দেন।

তিনি জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। 

৯৯৯ হল জাতীয় জরুরি নম্বর।

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯। এই নম্বরটি 
৯৯৯ নম্বরে কল করা কলারকে একজন অপারেটরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যিনি ফোনকারীকে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি জাতীয় জরুরি হেল্প ডেস্কের অধীনে পরিষেবাগুলো প্রদান করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (৩০ জানুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

হাতাহাতির এই ভিডিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাতাহাতির এই ভিডিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সমন্বয়কদের কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম মাটির সাথে মিশে গেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সশস্ত্র সমারিক পোশাক পরিহিত কিছু ব্যক্তি ও সামরিক পোশাকবিহীন (পরনে সামরিক প্যান্ট দেখা যায়) ব্যক্তি মারপিট বা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশের সুনাম ধন্য এক বাহিনীর নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছিল। সেই সেনাবাহিনী সম্মান মাটির সাথে গেছে অবৈধ সরকার ইউনূস গং এবং সমন্বয়ক নামের কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতায়।

ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নয়। বরং, মায়ানমারের কাচিন ইনডিপেডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এর সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

415874

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে  ‘စစ်ရူံးဘဘမင်းအောင်လိူင်’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ জানুয়ারী ‘Part 1 အချင်းချင်းချကုန်ပီဟ #army #military #myanmar’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত ভিডিওর সাথে এই ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে #army #military #myanmar হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া, ‘Arakha Youtube Channel’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ জানুয়ারী ‘KIA ၊ TNLA တပ်ဖွဲ့ဝင်များ မြေပြင်မှာ တင်းမာနေမှု။’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত উক্ত ঘটনার একটি দীর্ঘ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এটা নিশ্চিত যে, এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কোনো ঘটনা নয়। এছাড়া ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি KIA এবং TNLA এর সৈন্যদের উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা।

পরবর্তীতে, ওই তথ্যগুলোর সূত্র ধরে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা মিয়ানমার নাউ (Myanmar NOW) এর ওয়েবসাইটে গত ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটি মিয়ানমারের কেআইএ (KIA) ও টিএনএলএ (TNLA) সসস্ত্র গোষ্ঠির সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার।

উত্তর শান রাজ্যে কুতকাই টাউনশিপের নাম ফাত কার শহরে বা তার কাছাকাছি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। টিএনএলএ (TNLA) সদস্যরা একটি কেআই (KIA) চেকপয়েন্ট জোর করে অতিক্রম করার চেষ্টা করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সুতরাং, মিয়ানমারের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে সাধারণ মানুষের হাতাহাতির ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ