খুন হয়েছেন পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি তরুণ ফাহিম, সেদিন তিনি যা বলেছিলেন ...

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
খুন হয়েছেন পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি তরুণ ফাহিম, সেদিন তিনি যা বলেছিলেন ...

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ। নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও এমন আরো দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কম্পানির মালিক তিনি। আজ দু:সংবাদ এসেছে মর্মান্তিকভাবে ফাহিম খুন হলেন যুক্তরাষ্ট্রে। কালের কণ্ঠকে দেওয়া বিশদ সাক্ষাতকারে ফাহিম কী বলেছিলেন-

১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের।

তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে। মেধাবী, স্বপ্লবাজ তরুণ ফাহিম আর নেই।
কিন্তু কালের কণ্ঠকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফাহিম যে কথাগুলো বলেছিলেন তা আবারও আমরা তুলে ধরতে চাই এই প্রতিবেদনে:

(পড়ুন সর্বশেষ খবরটি:

পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন

https://www.kalerkantho.com/online/national/2020/07/15/935011)

 

পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

পাঠাওয়ের সিইও হুসেইন মো. ইলিয়াসের তৈরি করা একটি IGqemvBGUi (istomorrowhartal.com) মাধ্যমে প্রথম যোগাযোগ হয়। আমার কাছে সাইটটি আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। পরের দিন হরতাল আছে কী নেই সে বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলত সাইটটি। আমি এর পেছনের মানুষটিকে জানতে আগ্রহী ছিলাম।

যোগাযোগ করি ইলিয়াসের সঙ্গে। বলি, হ্যাকহাউসের বিজ্ঞাপন দিতে চাই তাঁর সাইটে। তার পর থেকে আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। একপর্যায়ে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলি। তাঁরা (ইলিয়াস ও সিফাত আদনান) এর মধ্যে অল্প পরিসরে একটি আইটি বিজনেস চালু করেছিলেন।
তাই হুট করেই নতুন কিছুতে যেতে চাইছিলেন না। একপর্যায়ে আমার অনুরোধে তাঁরা হ্যাকহাউসে যোগ দেন। আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছিলাম। এর মধ্যে পাঠাওয়ের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রথম দিকে পাঠাও দিয়ে ডিজিটাল ডেলিভারির কথা ভেবেছিলাম আমরা। আমার একটি রেজিস্টার্ড ডোমেইন ছিল এবং সেটি ডেলিভারি বিজনেসের জন্য পারফেক্ট ছিল; কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বুঝতে পারলাম দেশে চাহিদা সরবরাহের বাজার বেশি বড় নয়। তাই একপর্যায়ে পাঠাওকে রাইড শেয়ারিং কম্পানি করার কথা ভাবা হলো। আর তৈরি হতে থাকল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ।

 

নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়ায় আপনার আরো দুটি বাইক শেয়ারিং কম্পানি আছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।

পাঠাওয়ের সাফল্য দেখে আমি নাইজেরিয়ায় ওকাডা নামের একটি বাইক শেয়ারিং কম্পানি চালু করি। ফেসবুক আর লিংকডইনে বন্ধু ও সহকর্মীদের বলি, আমার সঙ্গে এমন একজন মানুষের পরিচয় করিয়ে দিতে যে নাইজেরিয়ায় বিলিয়ন ডলারের কম্পানি চালু করতে আগ্রহী। দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি ১০০টি সাড়া পাই এবং একটি ওকাডা টিম গঠন করি। অল্প পরেই আমি নাইজেরিয়া যাই এবং টিমের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপে বসি। সে সময় দলের সবাই আমরা এক বাসায় থাকতাম, খেতাম ইত্যাদি। এখন ওকাডা নাইজেরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ। আর কলম্বিয়ায় রাইড শেয়ারিং কম্পানি করার ব্যাপারটি চলে এসেছিল হঠাৎই। সেখানে একটি অ্যাপ আগে থেকেই চালু ছিল। আমি সেটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি আর প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। একসময় কলম্বিয়া যাই আর প্রধানের সঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করি।

Teenhangout.com (টিনহ্যাংআউটডটকম) সাইটটি আপনি তৈরি করেছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। এটি এক মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। আমাদের একটু বিস্তারিত বলুন। Teenhangout.com আমার প্রথম ওয়েবসাইট। তখন আমার বয়স ১৫ বা ১৬ হবে। এরপর আমি কিশোরদের জন্য আরো কিছু ওয়েবসাইট তৈরি করি। সাইটগুলো থেকে ছবি ডাউনলোড করা যেত। গুগল অ্যাডের মাধ্যমে প্রচারও চালাতে থাকি। একটা সময়ে আমার বয়সী একজনের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয়। সে-ও একই রকম ওয়েবসাইট চালাচ্ছিল। সে থাকত ওহাইওতে, আমি নিউ ইয়র্কে। আমরা একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখাই। দুই বছরে আমরা ২০টি ওয়েবসাইট তৈরি করি কিশোরদের জন্য। একটা সময়ে আমরা বছরে তিন লাখ ইউএস ডলার আয় করা শুরু করি। হ্যাঁ, এ পর্যন্ত এক মিলিয়ন ডলার আয় হয়ে গেছে আমাদের কিশোর ওয়েবসাইট থেকে।

 

PrankDial.com নামে আপনার আরেকটি মজার ওয়েবসাইট আছে। এর গল্পটি বলুন।

২০০৯ সালের কথা। আমি তখন সবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছি। চাকরি পাওয়া তখন কঠিনই ছিল। আমি নিউ ইয়র্ক আর বোস্টন শহরের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনপত্র পাঠালাম। একসময় বোস্টন থেকে একটা চাকরির অফার এলো; কিন্তু আমি আসলে নিউ ইয়র্ক ছাড়তে চাইছিলাম না। তাই বললাম, দুই সপ্তাহ পরে জানাব। PrankDial.com ওই দুই সপ্তাহেই তৈরি হয়েছিল। এর মাধ্যমে কণ্ঠস্বরে বদল এনে নানা রকম মজা করতে পারেন, মানে বন্ধুদের বোকা বানাতে পারেন। অল্প দিনের মধ্যেই এটি জনপ্রিয়তা পায়। সে সময় আমি এর জন্য অ্যাডও তৈরি করিয়েছিলাম। লোকে প্রাংক কল কেনার জন্য শত ডলারও খরচ করতে রাজি ছিল। তাই আমাকে আর চাকরি করতে হয়নি। আমি নিউ ইয়র্কে থেকেই কম্পানিটিকে আরো বড় করি।

পাঠাও নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

এখন আমি পাঠাওয়ের শুধুই পর্যবেক্ষক উপদেষ্টা। তবে ইলিয়াসদের দারুণ সব পরিকল্পনা আছে। আশা করা যায় ইন্দোনেশিয়ার ওজেকের মতো এটি একদিন সুপার অ্যাপ হয়ে উঠবে। পাঠাওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট, ই-কমার্সও করা যাবে।

 

বাংলাদেশে আর কোনো ব্যবসার কথা ভাবছেন?

দেশে একটা বড় অফিস নেওয়ার চিন্তা আছে আমার। বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি, তবে এখনই প্রকাশ করতে চাইছি না। এটুকু বলি, বিনোদন মাধ্যমে কাজ করব।

 

এত অল্প বয়সে আপনি এতগুলো আইটি কম্পানির মালিক। অবাক করার মতো ব্যাপার।

আমার পরিবার অভিবাসী পরিবার। আমরা আমেরিকায় টিকে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বাবা আমেরিকায় এসে একটি চাকরির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমার পরিবারের কাছে মাত্রই ১০ হাজার ডলার ছিল। অথচ বাবার চাকরি হচ্ছিল না। তাই জমানো টাকা কমছিল আর সবার চিন্তা বাড়ছিল। একটা সময়ে আমাদের দেশে ফিরে আসার কথাও ভাবতে হয়েছিল। যাহোক একপর্যায়ে বাবা একটি স্কুলে টিচার হওয়ার সুযোগ পেলেন। শেষমেশ আমরা বেঁচে গেলাম। নিজেদের ভাগ্যবান ভাবলাম। এখনো সে কষ্টের দিনগুলোর কথা আমরা ভুলতে পারি না।

 

বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তিতে কেমন সম্ভাবনা আছে?

এখানে অনেক সম্ভাবনা আছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়ছে। এ দেশের অনেক সমস্যা প্রযুক্তি মারফত সমাধান করা সম্ভব। আমার মনে হয় দিন দিন এ দেশ উন্নতি করবে। আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ একদিন আইফোনের মতো ফোন তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করবে।

 

পড়ুন সর্বশেষ খবরটি:

পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন

https://www.kalerkantho.com/online/national/2020/07/15/935011

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

আন্তঃধর্ম সংলাপবিষয়ক বিভাগের (ডিকাস্টেরি) কার্ডিনাল প্রিফেক্ট জর্জ জ্যাকব কুভাকাড ইতালির রাজধানী রোমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন। এ ছাড়া এদিন রোমে উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিও লুবেটকিনও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মন্টেনেগ্রো, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী,আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাজা ও রানি, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় অ্যালবার্ট, নরওয়ের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লিচেনস্টাইনের প্রিন্স ও প্রিন্সেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিয়ন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

মন্তব্য

নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ গেল ২৩ লাখ মৃত ভোটার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ গেল ২৩ লাখ মৃত ভোটার
সংগৃহীত ছবি

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২৩ লাখ মৃত ভোটারের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। আর তালিকায় নতুন ভোটার যোগ হয়েছে ৬৩ লাখ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল মমিন সরকার স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ জন, নারী ভোটার ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৯৪ জন। এঁদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এসব ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ চার হাজার ৭২ জন, নারী ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৩২৬ জন।

 

মন্তব্য

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে পুলিশের জন্য নতুন নির্দেশিকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে পুলিশের জন্য নতুন নির্দেশিকা
প্রতীকী ছবি

‘পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২২’ এর সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও সময়োপযোগী করে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা- ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। 

জানা যায়, পুলিশ সদস্যদের অবাধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া, স্পর্শকাতর ও গোপনীয় তথ্য প্রচার ও পাচার এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারের লাগাম টানতে সম্প্রতি এ নির্দেশিকা জারি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। 

ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করা এবং ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।

আরো পড়ুন
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা

 

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ব্যক্তি, বাহিনী বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট গোপনীয় তথ্য ও দলিল, অস্ত্র-গোলাবারুদ, স্পর্শকাতর স্থাপনার ছবি/ভিডিও বিনা অনুমতি এবং বিনা প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অযাচিত, দৃষ্টিকটু ও আপত্তিকর পোস্ট, কনটেন্ট, ছবি-ভিডিও আপলোড, শেয়ার, লাইক ইত্যাদি পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তির পাশাপাশি বাহিনীর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য/ছবি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং নিরাপত্তা সেটিংসগুলো ঠিক মতো জানা না থাকলে অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্নিত (কম্প্রোমাইজড) হতে পারে।

ডিউটি/কর্তব্যরত অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকা কর্তব্যে অবহেলার শামিল, যা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিটগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম মানতে হবে। ইউনিটের অ্যাকাউন্ট বা পেজের নাম ব্যক্তি বা পদবির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নামে হবে। ইউনিটের অ্যাকাউন্ট বা পেইজের কাভার ফটো হিসেবে ইউনিটকে সুস্পষ্টভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এ ধরনের ছবি ব্যবহার করতে হবে।

ইউনিটের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩/৫ সদস্যের একটি টিম ইউজার অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন বা মডারেটর বা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এক্ষেত্রে ইউনিট প্রধান/মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। দাপ্তরিক পেজের ব্যানার বা প্রোফাইল পিকচারে কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ছবি ব্যবহার করা যাবে না। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যাডমিন/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুদিন পরপর তা পরিবর্তন করবেন।

সদর দপ্তর আরো জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিবেচনায় এবং ইউনিটের সিদ্ধান্তের আলোকে এর কনটেন্ট প্রদর্শন, মন্তব্য/মতামত, সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, প্রবেশাধিকার, প্রাইভেসি ইত্যাদি বিষয়ের সেটিংস সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিন/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচন করা হবে।

পুলিশ সদস্যরা যেভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবেন : নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল নাগরিকসুলভ আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কনটেন্ট ও ফ্রেন্ড সিলেকশনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ারিং পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। সেজন্য প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তা নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে।

নিজের নামে সিম না হলে ব্যবহার করা যাবে না : পুলিশ সদস্যরা নিজ নামে রেজিস্ট্রি করা সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রচলিত আইন মেনে পুলিশ সদস্যদের সিম কিনতে হবে। হারানো বা সিম চূড়ান্তভাবে অচল ও অকার্যকর করে একই নম্বরের বা ভিন্ন নম্বরের নতুন সিম কেনা যাবে। বাহিনীর জন্য বরাদ্দ করা নম্বরের সিম কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে অবশ্যই একই নম্বরের নতুন সিম তুলতে হবে।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও, ছবি, অডিও এবং অন্যান্য তথ্যাদি সহজেই আদান-প্রদান করা যায় বিধায় এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত গুরুত্বপূর্ণ পেশাগত তথ্যাদি অননুমোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর না হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষণস্থলে কোনো প্রশিক্ষণার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। সরকারি মোবাইল ফোন থেকে দাপ্তরিক যোগাযোগ ছাড়া ব্যক্তিগত কল করা যাবে না। দায়িত্বরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হলো।

কনটেন্ট শেয়ার ও কমেন্ট নিয়ে যে নির্দেশনা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি অ্যাকাউন্টে প্রদত্ত কনটেন্ট কিংবা কমেন্ট অবশ্যই বাহিনী অথবা বাহিনী সংশ্লিষ্ট ইউনিটের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। নিজস্ব পোস্টে কনটেন্ট ও কমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে তা যথার্থ ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। এ প্রসঙ্গে স্পর্শকাতর কনটেন্ট ও কমেন্ট সচেতনভাবে পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্ট ও কমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠানের গাইডলাইন, আইনগত বাধ্যবাধকতা, গোপনীয়তা প্রভৃতি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট কোনো কনটেন্ট দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টে/চ্যানেলে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দাপ্তরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট আর্কাইভিং, পুনঃপ্রদর্শন ও শেয়ারিং উৎসাহিত করতে হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর আরো জানায়, রাষ্ট্র, সরকার বা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, ট্যাগিং, রেফারেন্সিং বা শেয়ার করা যাবে না।  জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো রকম কমেন্ট করা কিংবা কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না।

এ ছাড়া নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড করতে পারবে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ, জঙ্গি কর্মকাণ্ড অথবা ধর্মীয় উগ্রবাদ সংশ্লিষ্ট কোনো কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে পারবেন না পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক, বিদ্বেষমূলক বা হেয় প্রতিপন্নকারক কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না।

নির্দেশিকায় বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণামূলক কমেন্ট বা কনটেন্ট প্রদান করা যাবে না।  জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো লেখা, অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না।

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, চিহ্নিত অপরাধী বা বিতর্কিত কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে পারবে না পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা ইউনিট প্রধানের অনুমতি ছাড়া তদন্তাধীন ও বিচারাধীন বিষয়ে কোনো ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন না। ভিকটিমের প্রাইভেসি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।  সর্বোপরি ভিকটিমের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরায় যথেচ্ছভাবে অপারেশনাল কার্যক্রমের ভিডিও, স্থিরচিত্র বা অডিও ধারণ করতে পারবে না। তবে অবৈধ মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি উদ্ধার এবং ক্রাইমসিনের ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ করা যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া এ সকল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা পোস্ট করা যাবে না। গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ বা কর্মকৌশলের সঙ্গে সম্পর্কিত স্পর্শকাতর স্থাপনা ও সরঞ্জামাদি সংক্রান্ত (যেমন- অস্ত্রাগার ও অস্ত্রশস্ত্র) ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। 

আরো বলা হয়েছে, অননুমোদিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এ ধরনের কৌশলগত কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে না। কারণ, অসাধু ব্যক্তি কর্তৃক এ সকল স্পর্শকাতর ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ইউনিফর্ম পরিহিত কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় অথবা সাদা পোশাক পরিধান করে টিকটক বা লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নাচ, গান, অভিনয় ইত্যাদি উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশ সদস্যদের।

অন্যদিকে, ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করার সময় অপ্রীতিকর কোনো কিছু সার্চ করা বা নিষিদ্ধ কোনো সাইটে প্রবেশ  করা (বিশেষ করে অফিশিয়াল ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে), ডার্ক ওয়েভ ব্যবহার করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে বলে নতুন নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে।

নির্দেশিকা পালন হচ্ছে কি না মনিটরিং করা হবে : পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিট প্রধানরা অথবা তার মনোনীত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ নিজ ইউনিটে কর্মরত সকল পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্য এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা সদস্য কর্তৃক ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২৫’ যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কি না তা নিয়মিতভাবে মনিটর করবেন। কোনো সদস্য এ নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণপূর্বক তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২২’ এর সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও সময়োপযোগী করে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা- ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তাই পুলিশ সদস্যরা যাতে ঝুঁকিতে না পড়েন তাই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব পুলিশ সদস্যকে নির্দেশিকা প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভ্যাটিকান সিটিতে গারো ধর্মযাজকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

বাসস
বাসস
শেয়ার
ভ্যাটিকান সিটিতে গারো ধর্মযাজকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের এক গারো ধর্মযাজক আজ শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ময়মনসিংহের গারো সম্প্রদায়ের তরুণ ক্যাথলিক ধর্মযাজক ফাদার প্রিন্স হেনরি স্নাল আজ পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার করিডোরের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।’

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা আজ ভ্যাটিকান সিটিতে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অধ্যাপক ইউনূস সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রবেশের সময় ভ্যাটিকানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

সেখানে পোপের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা ছিল।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন যাদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী, আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাজা ও রানি, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট, নরওয়ের রাজপুত্র ও রাজকুমারী, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লিচেনস্টাইনের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ