<p>স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্নীতি করিনি। আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ, সফল এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারা জীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহংকার এবং অহমিকামুক্ত, সরল এবং সজ্জন ব্যক্তি।’</p> <p>মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল বুধবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করে।</p> <p>সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, ‘করোনাকালে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। আমার করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগদান করি। সব সময় দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছি।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু জায়গা থেকে আমার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা শুরু হয়। সে জন্য আমি পদ আঁকড়ে না থেকে দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমি চাই অনিয়মের বিচার হোক। আমাকে এখানে ডাকা হয়েছিল। মাস্ক ও পিপিই দুর্নীতির বিষয়ে ডিজি হিসেবে দুদকের কাছে বক্তব্য দিয়েছি।’</p> <p>মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।</p> <p>স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে।</p>