<p>বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে তৃতীয় ধাপের আরো ২৭ জন মুসল্লির কাফেলা দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভোর রাত চারটা ৪ টা ২৫ মিনিটে বাহরাইন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এই মুসল্লিরা। </p> <p>বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর নিজস্ব অর্থায়নে এই ওমরাহ করার সুযোগ করে দেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের এই মুসল্লিরা ওমরাহ করতে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সৌদি আরবে রওনা দেন। ওমরাহ পালন শেষে দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন মুসল্লিরা। ওমরাহ পালনের সুযোগ করে দেওয়ায় তাঁরা সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।</p> <p>ওমরাহ কাফেলায় ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘অনেক ইচ্ছা থাকলেও মক্কা ও মদিনা যেতে পারবো কখনো ভাবিনি। আল্লাহ সহায় হয়েছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের মাধ্যমে সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন। সেখানে গিয়ে মনে হলো মুসলমান হিসেবে সকলেরই সেখানে যাওয়া উচিত। সেখানে দুই হাত তুলে দোয়া করেছি যেন আল্লাহ হজ কবুল করে এবং বসুন্ধরা গ্রুপের যেন উন্নতি করেন। </p> <p>ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে ২৭ জনের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে কাফেলার আরেক মুসল্লি ঘড়ি দোকানি জাঙ্গাগীর চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ। আমাকে ওমরাহয় পাঠাতে তারও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ বসুন্ধরার এমডির কারণে সে সুযোগ হলো। এ জন্য উনার ও পরিবারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তারা যেন এই  উদ্যোগ চালু রাখেন এই প্রত্যাশা রইল।</p> <p>কাফেলার অন্য সদস্য আব্দুল মান্নান ও মাঈন উদ্দিন জানান, এমন একটি সুযোগ পেয়ে তাঁরা সত্যিই আনন্দিত। এই ১৪ দিনে তারা ইসলামের অনেক কিছু শেখেছেন। যা সেখানে না গেলে কখনো সম্ভব হতো না। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান তারা।</p> <p>বিমানবন্দরে ওমরাহ করে আসা মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মানিক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. নাজমুল হুদা।</p> <p>তাঁরা জানান, গত রমজানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর ১০০ জন সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে মোট ১০৪ জনের ব্যবস্থা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে ২৬ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন ও শুক্রবার ভোরে ২৭ জনসহ মোট ৮৬ জন মুসল্লি ওমরাহ পালন করে এসেছেন।</p> <p>চতুর্থ কাফেলায় আরো ১৮ জন মুসল্লি ওমরাহ পালনের জন্য চলতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবেন।</p>