<p>অকারণে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নানা কৌশলে প্রাণীর প্রতি ঘাতক আচরণ, নির্যাতন করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই এটাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতে নারাজ। আবার এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। কারণ প্রাণীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে প্রচলিত আইন যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে প্রাণী অধিকার রক্ষা ও আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে প্রাণী অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার সোসাইটি।</p> <p>আজ বুধবার প্রাণী অধিকার রক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার সোসাইটি'র সদস্যরা ছাড়াও এ সময় আরো অনেক প্রাণীপ্রেমী উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>তারা বলেন, প্রাণীর প্রতি সহিংসতা পূর্ণ আচরণ করতে করতেই মানুষ আরো অমানবিক হয়ে উঠছে। পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রে সহিংসতা বাড়ছে। যে মানুষগুলো নিরীহ প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে পারে না, তারা মানুষের প্রতি কিভাবে সদয় হবে? </p> <p>মানববন্ধনে সোসাইটির চেয়ারম্যান আফজাল খান বলেন, “প্রায় প্রতিদিন ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় প্রাণীর ওপর নির্যাতন করা হয়। মানুষ সব সময় বিনা কারণে তাদের লাথি মারে, ইট মারে, গরম তেল ও পানি মারে, চোখ উঠিয়ে ফেলে, এ ছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করে। এমনকি কিছু অসুস্থ মানুষের দ্বারা ধর্ষণেরও শিকার হয়। এসব অপরাধ রোধে দেশের প্রচলিত ‘প্রাণী কল্যাণ আইন’ যথার্থ নয়। আইনে অনেক ফাঁক রয়েছে। এ আইনে প্রাণীদের ওপর অনেক ধরনের নির্যাতন অপরাধ হিসেবে ধরা হয়নি। যার সংশোধন প্রয়োজন।”</p> <p>প্রাণী রক্ষায় শক্ত আইন হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি বিনা কারণে কোনো প্রাণীকে হত্যা বা আঘাত করে ও ধর্ষণ করে, অবশ্যই এর জন্য শক্ত আইন হওয়া উচিত এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। নয়তো তারাই সমাজে মানুষের ওপরও ঝাঁপিয়ে পড়বে। কারণ তাদের চিন্তা তো পশুর চাইতেও নিচে। অথচ পশু আমাদের ক্ষতি করে না।’</p> <p>‘যারা প্রাণীদের সহায়তা করতে যাচ্ছে তাদেরও নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে’ উল্লেখ করে আফজাল খান বলেন, ‘আমাদের সমাজে বা শহরের আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় কেউ ক্ষুধার্ত প্রাণীকে খাওয়াতে গেলে সে ক্ষেত্রে তাদের ওপর বাধা সৃষ্টি করে লোকজন। আবার কেউ যদি ঘরের ভেতরে প্রাণী পুষতে চায় এবং সেটা যদি কারো ক্ষতি না করে তবুও তাকে বিভিন্ন লোকজন চাপ সৃষ্টি করে।’</p> <p>জানা যায়, রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাণী সচেতনতা, পুনর্বাসন ও উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।</p>