<p>‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের চেতনাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাগ্রত হয়েছে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের চেতনা।’</p> <p>আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।</p> <p>বক্তারা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন তখন প্রকৃতি ও মানুষ তাকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিল। তিনি সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে মানুষের অধিকার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। শেখ হাসিনা তার কয়েকটি কাজের জন্য ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তার মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরায় পুনর্বাসন করা।’</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস কারো পক্ষে বলে আবার কারো বিপক্ষে বলে। ইতিহাসের নায়ক যারা তারা সকল বাধা পেরিয়ে নিজেকে সেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। আর যারা ইতিহাসের খলনায়ক তারা সর্বদা আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকে। শেখ হাসিনা ইতিহাসের তেমনি একজন নায়ক যিনি দেশে ফিরে আসায় সকলেই বুঝতে পেরেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা আবারও চলবে।’</p> <p>আলোচনাসভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। এ সময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের বাঙালি জাতির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি, রাস্তাঘাট, মানুষের মাথাপিছু আয়, সংবিধানসহ সব ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো করেই আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। তিনি ফিরে না আসলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে ধারণ করে দেশকে বর্তমানে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।’</p> <p>আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে শেখ হাসিনা পথ হেঁটে যাচ্ছেন। তাই সবাইকে আগামীতে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে হলে দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।’</p> <p>আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। এ ছাড়া আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।</p>