<p style="text-align: justify;">সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের চাঁদা অফিসভিত্তিক সংগ্রহ করার আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্ক। আজ রবিবার (২৪ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বানের কথা জানানো হয়।</p> <p style="text-align: justify;">রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এবং বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক হারুণ অর-রশীদ যৌথ বিবৃতি পাঠান।</p> <p style="text-align: justify;">বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন খাতে প্রকাশ্যে বিভিন্ন নামে ও অজুহাতে চাঁদাবাজি করা হয়। স্লিপ দিয়ে লাঠি হাতে সারা দেশে এই বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলে। পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলেন, তারা এসব চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। তারা শুধু শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের জন্য প্রতিদিন যানবাহন প্রতি ৩০ টাকা হারে চাঁদা তোলেন।</p> <p style="text-align: justify;">তাহলে প্রশ্ন ওঠে, সারা দেশে এই চাঁদাবাজি করছেন কারা? এই চাঁদার ভাগ পান কারা? এসব চাঁদাবাজির দায় ও অপবাদ তো শ্রমিক নেতাদের ওপরই বর্তাচ্ছে। তবে কি শ্রমিক নেতাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত চাঁদাবাজি করছে। মূলত চাঁদাবাজিই সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা।</p> <p style="text-align: justify;">এই প্রেক্ষাপটে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো যদি বাস্তবিক উদ্দেশ্যেই শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের জন্য যানবাহন প্রতি ৩০ টাকা হারে চাঁদা সংগ্রহ করে থাকেন, তাহলে তারা এই চাঁদা রাস্তা থেকে বিশৃঙ্খলভাবে না তুলে অফিসভিত্তিক সংগ্রহ করতে পারেন। এতে চাঁদাবাজির অপবাদ থেকে তারা মুক্ত হবেন এবং সড়কেও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও যারা সড়কে চাঁদাবাজি করবেন তারা শ্রমিক নেতাদের কেউ নন বলে চিহ্নিত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।</p> <p style="text-align: justify;">সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং জনমানসে তাদের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির জন্য তারা যেন সড়ক থেকে চাঁদা সংগ্রহ না করে অফিসভিত্তিক সংগ্রহ করেন। আমরা সব সময় পরিবহন শ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করি। দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার জন্য সুশৃঙ্খল সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা অতীব জরুরি। তাই যেকোনো মূল্যে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।</p>