<p>ঈদুল ফিতরের দিন গত ১১ এপ্রিল সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছে নিরাপদ নৌ-পথ বাস্তবায়ন জোট। জোটের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, অবহেলা আর কতিপয় মানুষের বেপরোয়া আচরণের বলি এই পাঁচটি মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও অবহেলাজনিত ও বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।</p> <p>আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জোটের প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌপথ সবচেয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। আমরা চাই, গণমানুষ ও পণ্য পরিবহনের জন্য এই সাশ্রয়ী নৌপথ নিরাপদ করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হোক।</p> <p>জোটের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিতে বলা হয়েছে, লঞ্চ দুর্ঘটনা তদন্তে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে বিশেষজ্ঞ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধিও রাখতে হবে। অতীতের সকল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। মেরিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে। লঞ্চ মালিকদেরকে সকল যাত্রীর বীমা এবং যাত্রী নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঈদ, পূজা, অন্যান্য উৎসবকালীন এবং ঝড়ের সময় জেটিতে অতিরিক্ত পরিদর্শক ও পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। ১১ এপ্রিল ২০২৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে অবিলম্বে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।</p> <p>ঈদের দিন বিকেলে ঢাকা সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে দুটি লঞ্চ বাঁধা থাকা অবস্থায় ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখানে যথেষ্ট জায়গা না থাকলেও সেখান দিয়ে আরেকটি লঞ্চ বেপরোয়াভাবে পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে অপেক্ষমাণ পাঁচ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মৃত্যুবরণ করেন।</p>