<p style="text-align: justify;">সরকারের ভুলনীতির কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অব্যাহত লোকসান ২০২৫ সাল নাগাদ ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার পরও এই বিপুল পরিমাণ লোকসান হবে বিপিডিপির। </p> <p style="text-align: justify;">আজ রবিবার (২৩ জুন) মহাখালীতে ব্রাক ইন সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক আলোচনা সভায় সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align: justify;">অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেটা উচ্চাভিলাসী। ওই সময় ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত রিজার্ভ ধরেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হলেই যথেষ্ট। সক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুতের কারণে জ্বালানি সংকট এবং বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ থাকার পরও লোডশেডিং হচ্ছে। আবার বিদ্যুতকেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। এর ফলে বিপিডিবির লোকসান বাড়ছে। সেই সঙ্গে ভোক্তার বিদ্যুতের দামও বাড়ছে।</p> <p style="text-align: justify;">সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার করা না গেলেও কেন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে? তিনি বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে, তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ছয় বছরে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংস রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হলেই হয়। সক্ষমতা বাড়লেও এখনও দেশে হচ্ছে লোডশেডিং। গরমে গড়ে ১১শ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ময়মনসিংহ, খুলনায় এবং সিলেটে লোডশেড করা হয়। বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। সরকার এই খাত নিয়ে কি করবে তাও অন্ধকারে সবাই। </p> <p style="text-align: justify;">গোলাম মোয়াজ্জেম আরো বলেন, ব্যয়বহুল সত্ত্বেও সরকার জ্বালানি আমদানি বাড়িয়ে যাচ্ছে। উচ্চমূল্যের জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে আরো বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থায় উত্তোরণের জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে।</p>