<p style="text-align: justify;">ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান বন্ধুদের নিয়মিত উপদেশ দিতেন তিনি। সহপাঠী, পরিচিতজনসহ সবাইকে তিনি সৎপথে জীবন যাপন করা, ঘুষ গ্রহণ থেকে বিরত থাকাসহ নানান ধরনের উপদেশ দিতেন।</p> <p style="text-align: justify;">জানা যায়, আলোচিত মতিউর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৩ ব্যাচের ফিন্যান্সের ছাত্র। তার ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপ-৮৩ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপে তিনি প্রতিদিন ভোরে কোরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মীয় উপদেশ দিতেন তিনি। সৎপথে চলা, সৎকর্ম করা, ঘুষ গ্রহণ থেকে বিরত থাকাসহ নানা ধরনের উপদেশ বাণী পোস্ট করতেন তিনি। </p> <p style="text-align: justify;">ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১৫ লাখ টাকার ‘ছাগল কেনার বায়না করেন। এরপর ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মূলত এরপর থেকেই মতিউরের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত (ওএসডি) করা হয়। তা ছাড়া সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।</p>