<p>বিশেষ নিরাপত্তা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের জন্য করা আইন বাতিল করা হয়েছে।</p> <p>সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।</p> <p>এর মাধ্যমে ‘জাতির পিতা পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ বাতিল হলো।</p> <p>এর আগে গত ২৯ অগাস্ট ‘বৈষম্যমূলক নীতি’ বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।</p> <p>এর ফলে বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার সুবিধাটি আর থাকছে না।</p> <p>ওই দিন বৈঠকের পর বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, “আমাদের এই সরকারটা হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আউটকাম। নিরাপত্তা সংস্থা এরকম বিশেষ নিরাপত্তার দরকার আছে বলে মনে করে না। আর এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এটা রহিত করা হয়েছে।”</p> <p>নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ সালে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা বিল-২০০৯’ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ওই আইনের আওতায় জাতির পিতার পরিবারের জীবিত সদস্যদের জন্য আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।</p> <p>এ ছাড়া এই পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয় আইনে। ওই আইন অনুসারে ২০১৫ সালের মে মাসে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়।</p> <p>এর আগে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ছাড়ার আগে ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিল-২০০১ সংসদ পাস হয়েছিল। তবে বিএনপি নেতৃত্বে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে অষ্টম সংসদে সেটি বাতিল করে দেয়।</p>