<p style="text-align:justify">রামপাল ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পকে পরিবেশ বিধ্বংসী দাবি করে এধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে জরুরিভিত্তিতে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানির বিকাশ এবং বিদ্যমান কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা রাখতে হবে। একইসঙ্গে মিথ্যা সমাধান বা অপ্রমাণিত প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৩’-এর চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তারা। </p> <p style="text-align:justify">জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সহ-আহ্বয়ক এমএস সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইআরডিএ) নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক মো. নূর আলম শেখ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, গ্লোবাল ল’থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রওমান স্মিতা, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইযুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমূখ।</p> <p style="text-align:justify">মূল বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, জনগণের জরুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত প্রচারাভিযান বাংলাদেশে জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ। ওই সমাবেশে উত্থাপিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি ও সুপারিশগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে পরিবেশ সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ এ সময় পরিবেশবান্ধব, ভারসাম্যপূর্ণ ও জলবায়ু সহনশীল নীতিকাঠামো এবং কৌশল বিকাশে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পারিক ফলপ্রসূ আলোচনা ও অংশীদারত্বের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘মাতারবাড়ি ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আমরা দায়ী। আমরা কেন এই জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম?’ তিনি বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। স্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ এ সময় জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে জলবায়ু তহবিলের অর্থের ব্যয়ের দুর্নীতি বন্ধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমরা জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমদেরকে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যাশনাল ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় অর্থায়নের খরচে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">সভাপতির বক্তব্যে এমএস সিদ্দিকী বলেন, ‘ট্রান্সবাউন্ডারি নদীর দেশগুলোকে নদীর সমান হিস্যার জন্য কাজ করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকার জলবায়ু সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করি।’</p>