<p>আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম এ এ খান বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।</p> <p>সাক্ষাৎকালে করিম এ এ খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।</p> <p>এ সময় তিনি বলেন, তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন।</p> <p>তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।</p> <p>বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরও বক্তব্য দেন।</p> <p>প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার নিমিত্তে জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা।</p> <p>করিম খান বলেন, ‘এ তিন দফা যথার্থ।’</p> <p>অধ্যাপক ইউনূস করিম খানের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ বিপ্লবে কমপক্ষে ৭০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।</p> <p>করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগভিত্তিক আদালতে অভিযোগ করতে পারে। তবে তিনি বলেন, আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার জন্য যথাযথ নিয়মাবলিঅনুসরণ করতে হয়।</p>