<p>যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ কম্পানি স্মিথ কোজেনারেশনের একটি সালিসি মামলায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে গতকাল শুক্রবার সে পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে।</p> <p>আজ শনিবার সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী পরোয়ানা স্থগিতের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে জানিয়েছেন। মুশফিকুল ফজল ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করে আলোচনায় ছিলেন। </p> <p>ফেসবুকে মুশফিকুল ফজল আনসারী লিখেছেন, ‌‘১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিল সরকার।’</p> <p><img alt="গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত " height="150" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Islamic Life/foreign.JPG" style="float:left" width="420" />তিনি আরো লিখেছেন, ‘এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট কোর্ট অনেকটা এখতিয়ারবহির্ভূত একটি রায় প্রদান করেন, যা আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। যদিও বিষয়টির সাময়িক অবসান ঘটেছে তবে লুটেরা সরকারের দায় রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিতে পারে না। বাংলাদেশ সরকারের সেই সময়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং বিষয়টি বর্তমান সরকারের নজরে না এনে ধামাচাপাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’</p> <p>এর আগে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানিয়ে একটি প্রতিবেদন করে আমেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ল–৩৬০। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট বিচারক কার্ল জে নিকোলস স্মিথ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে ওই দুজন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।</p>