<p>দুই দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধানের বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনসহ মানবাধিকার খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। গত জুলাই থেকে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাবদিহির প্রশ্নে সরব ছিল জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের একটি দল অভিযোগ তদন্ত করছে। </p> <p>জানা গেছে, পরবর্তী পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর ঢাকায় কার্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এটি স্থাপনের জন্য স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সম্মতি প্রয়োজন। এ ছাড়া এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হলে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ ও দাতাগোষ্ঠীর অন্যায্য হস্তক্ষেপেরও আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ ওই কার্যালয় তখন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে আরো নিবিড় দৃষ্টি রাখবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ওই কার্যালয় পরামর্শ দেবে।<br />  <br /> জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশ সফরকালে অন্যদের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। সফরকালে হাইকমিশনারের বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। হাইকমিশনার তুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি ভাষণ দেবেন। সেখানে তিনি সাম্প্রতিক প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দেখা করবেন।</p> <p>হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ঢাকায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। হাইকমিশনার তাঁর মিশন শেষে আগামীকাল বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।</p>