<p>আগামী জানুয়ারি থেকেই পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আনার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন পাইপলাইনে তেল সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ৩০ লাখ টন তেল আসবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে।</p> <p>এতে বিপুল অঙ্কের পরিবহন ব্যয়ের পাশাপাশি সময়ও সাশ্রয় হবে। তেল চুরিসহ সিস্টেম লসের কবল থেকেও বহুলাংশে মুক্তি মিলবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও তেল অপচয় ঠেকানোসহ বছরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জ্বালানি তেল পরিবহনে পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বিপিসি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে বসছে না রিসিভার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731466377-c6b449291f11fcf93528b80fd12ca342.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে বসছে না রিসিভার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/11/13/1446073" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আসে নদী ও সড়কপথে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাঝেমধ্যেই তেল পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি, তেমনি তেল চুরির অভিযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে।</p> <p>এসব সংকট নিরসনেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামের প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিপিসির পদ্মা অয়েল কম্পানির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়। শুরুতে পাইপলাইন প্রকল্পটির ব্যয় দুই হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ধরা হয়। পরে সংশোধিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটির কাজ আরো দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় দেরি হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : চাকরি হারাতে পারেন ৫৪ লাখ বাংলাদেশি!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731465992-268a9939b235e0f517dda6dc6f50d702.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : চাকরি হারাতে পারেন ৫৪ লাখ বাংলাদেশি!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/13/1446071" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিপিসির চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আমিন উল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পটি আগামী জানুয়ারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হলে পরিবহন খরচ ও অপচয় অকেটাই রোধ করা সম্ভব হবে।’ ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরিভাবে তেল সরবরাহ শুরু হলে যে পরিমাণ পরিবহন ব্যয় ও অপচয় রোধ হবে, তার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে।’</p> <p>বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ মেট্রিক টন। মোট চাহিদার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ জ্বালানি তেলই ব্যবহৃত হয় ঢাকা বিভাগে। চাহিদা পূরণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার গুপ্তাখাল প্রধান ডিপো থেকে নৌপথে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল, ফতুল্লা ও চাঁদপুর ডিপোতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সড়কপথে পরিবহন ও রেল ওয়াগনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পেপটিক আলসারকে হেলাফেলা নয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731465867-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পেপটিক আলসারকে হেলাফেলা নয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/prescription/2024/11/13/1446070" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় তেল সরবরাহ পাইপলাইন প্রকল্পটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে জ্বালানি তেল সরবরাহে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। মজুদ সক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে নৌপথের ওপর তেল পরিবহনের নির্ভরশীলতা ও পরিবহনঝুঁকি এবং অপারেশনাল লস কমবে।’</p> <p>জানা গেছে, দেশের জ্বালানি তেলের ৯০ শতাংশ পরিবাহিত হয় নৌপথে। তেল বিপণন কম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রায় ২০০টি অয়েল ট্যাংকার এসব জ্বালানি তেল পরিবহন করে। নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহনে সিস্টেম লসের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ বিভাগে সমাবেশের পরিকল্পনা বিএনপির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731465131-a34c24f0753ed9bd1f16dd5c427bb214.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ বিভাগে সমাবেশের পরিকল্পনা বিএনপির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/13/1446069" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পদ্মা অয়েল কম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে ঢাকায় তেল যেতে অনেক সময় দুই দিন লেগে যেত। বিভিন্ন সময় ট্যাংকারে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অনেকটাই ঝুঁকিমুক্তভাবে তেল সরবরাহ করা যাবে।’</p>