<p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ও উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি কয়েকটি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার, বিটিআরসি ও এনটিএমসির যৌথ প্রচেষ্টায় জোর দেওয়ার আহ্বান সংগঠনটির।</p> <p>এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশি ও বিদেশি নানা উৎস থেকে যাচাইহীন ও উসকানিমূলক কনটেন্ট প্রচার হয়েছে। দেশের মধ্যে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি বড় ভূমিকা রেখেছে।</p> <p>প্রতিবেশী দেশগুলোর সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীসহ কিছু বিদেশি উৎস থেকে পাওয়া তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল উসকানি দেওয়া এবং নাগরিকদের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘আলহামদুলিল্লাহ’, স্বামীর রায় শুনে তাহমিনা জামান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733044737-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘আলহামদুলিল্লাহ’, স্বামীর রায় শুনে তাহমিনা জামান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/01/1452647" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দেশের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধনের এই সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কনটেন্ট প্রচার বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।</p> <p>এসব সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি-</p> <p><strong>সচেতনতামূলক প্রচার :</strong> স্কুল, কলেজ ও মিডিয়া সংস্থাগুলোর উচিত জনগণকে মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করতে শেখানো। এ ছাড়া তথ্য যাচাই এবং উৎস ক্রস-চেক করতে লোকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।</p> <p><strong>নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্র : </strong>সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সময়মতো ও সঠিক প্রচার নিশ্চিত করা। এ ছাড়া ফ্যাক্ট চেকিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রতিরোধে স্বাধীন ও সরকার সমর্থিত সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা।</p> <p><strong>দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা :</strong> ভুল তথ্য শনাক্ত ও প্রতিহত করার জন্য একক ইউনিট মোতায়েন করা। একই সঙ্গে নাগরিকদের সন্দেহজনক কন্টেন্ট সহজে রিপোর্ট করার সুযোগ দেওয়া।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিসিএসে বাদ পড়ছে ‘ক্যাডার’ শব্দ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733041495-2819e292b44e171ab17f0cd0ccdf12c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিসিএসে বাদ পড়ছে ‘ক্যাডার’ শব্দ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/01/1452635" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>মিডিয়ার দায়িত্বশীলতা :</strong> গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর ভালোভাবে তথ্য পর্যালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ নিশ্চিত করা। নিয়মিত অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভুল তথ্য চিহ্নিত করার পদ্ধতি প্রচার করা।</p> <p><strong>সর্ব সাধারণের অংশগ্রহণ : </strong>গুজব মোকাবিলায় কমিউনিটি নেতাদের ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা। পরিবারে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণে শিক্ষিত করা।</p> <p><strong>প্রযুক্তিগত নজরদারি : </strong>ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা শনাক্ত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা। মিথ্যা তথ্য শনাক্ত এবং প্রতিরোধ করার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।</p> <p><strong>আইনগত সংস্কার :</strong> ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনগুলোকে আরো কার্যকর করতে নীতিমালা প্রবর্তন করা।</p> <p><strong>যৌথ প্রচেষ্টা</strong></p> <p>ভুল তথ্য মোকাবিলায় সরকার, বিটিআরসি ও এনটিএমসির মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী  এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত পদক্ষেপেরে ওপর জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।</p>