<p>রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী—এই তিন পক্ষের যোগসাজশেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও পিএম অফিসের একক ক্ষমতার কারণেই এসব দুর্নীতির বিস্তার হয়েছে।</p> <p>শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার এফডিসিতে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির জন্য বিগত সরকারের রাজনীতিবিদ অপেক্ষা আমলারাই বেশি দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটে ১০৭১ সালে, জানাল আওয়ামী লীগ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734182587-af6e6b693ed51557729e654e34b27ab5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটে ১০৭১ সালে, জানাল আওয়ামী লীগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/14/1457444" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ম. তামিম বলেন, ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। এস আলম ও সামিট গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি অনুসন্ধানে ফরেনসিক স্ক্রুটিনি প্রয়োজন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এই অস্বচ্ছতার পেছনে বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিল। লস দেখিয়ে উচ্চমূল্য নির্ধারণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বচ্ছ রাখা হতো। বর্তমান সরকার এসেও এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করতে পারেনি। তিন দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে আদানির সঙ্গে বিদ্যুত্ চুক্তি করা হয়। চুক্তিটি অসম। এ ক্ষেত্রে শতভাগ ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্টের পরও ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত বিদ্যুতের মূল্য দিতে হয়। চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শান্তর প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটি ম্লান করে দিলেন ফজলে রাব্বি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734180950-d8179a3221b3663d3453750d9744eb09.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শান্তর প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটি ম্লান করে দিলেন ফজলে রাব্বি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/12/14/1457437" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মাফিয়াদের আইনের আওতায় না আনলে মাফিয়াতন্ত্র দমন হবে না। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে কমিশনের লোভেই এলএনজির দিকে ঝুঁকে পড়া ছিল ভুল উদ্যোগ। জবাবদিহিকে এড়ানোর জন্য বিগত সরকার গণশুনানির পরিবর্তে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করত।’ </p> <p>সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, লুটেরাদের সুযোগ করে দিতে ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত ইনডেমনিটি আইন পাস করেছিল, যার মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়ে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ, সঞ্চালন ও মিটার কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। যাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ও চাহিদা কতটুকু তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। গত সাড়ে ১৫ বছরে কোনো দরপত্র ছাড়াই বেসরকারি খাতে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যার বেশির ভাগই কোনো কাজে আসেনি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জিম্বাবুয়েতে হ্রদের দূষিত পানি পান করে বন্য প্রাণীদের মৃত্যু" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734180904-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জিম্বাবুয়েতে হ্রদের দূষিত পানি পান করে বন্য প্রাণীদের মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/14/1457436" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ছায়া সংসদে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রফিকুল বাসার ও রিশান নসরুল্লাহ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।</p>