<p>উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ঘিরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে। পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা জনপ্রশাসন সচিবের কার্যালয়ে সামনে জড়ো হয়েছেন। </p> <p>রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে সমবেত হতে শুরু করেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বা কমিশনের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। </p> <p>এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে। ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি পাবেন না।</p> <p>পরীক্ষায় একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পেলে তিনি উপসচিবের তালিকায় ১ নম্বরে আসবেন। এর মাধ্যমে আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের যে কেউ ৭০ নম্বর পেলে প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন। এ ছাড়া উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ সুপারিশ করা হচ্ছে। বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়।</p> <p>বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতেই নিজেদের করণীয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠক করেছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। </p> <p>তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। এটি পরিবর্তন করা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করার শামিল। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।</p> <p>অন্যদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, উপসচিবের মতো যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একই সুবিধা থাকতে হবে। এটি করা হলে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। প্রশাসনে সব ক্যাডারে সমতা ফিরবে। তবে উল্লিখিত বিষয়ে নাম প্রকাশ করে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাই মুখ খুলতে রাজি হননি।</p> <p> </p>