<p>কালের কণ্ঠের ‘সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ পুরস্কার পেলেন কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ও অনুসন্ধান সেলের প্রধান হায়দার আলী। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে।</p> <p>কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের হাত থেকে সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পুরস্কার গ্রহণ করেন হায়দার আলী।</p> <p>২০০৯ সালে কালের কণ্ঠের নির্মাণ পর্যায়েই পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত হন হায়দার আলী। স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে তিনি সিনিয়র রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, উপসম্পাদক হয়ে বর্তমানে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি পত্রিকার অনুসন্ধানী সেলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।</p> <p>২০১০ সাল থেকে তার লেখনীতে বহু সাহসী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তার শক্তিশালী লেখনী বহু অজানা রহস্যের জট খুলে দিয়েছে। উন্মোচিত হয়েছে বড় সন্ত্রাসী ও অপরাজনীতির মুখোশ।</p> <p>অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ইউনেসকো পুরস্কারসহ বহু আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দাসত্বময় জীবনের ওপর একটি আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তিনি মালয়েশীয় প্রেস ইনস্টিটিউটের বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। পেশাগত কাজে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ২০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন।</p> <p>তার আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো— ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ‘বিদেশি বিনিয়োগে জাহাঙ্গীরের থাবা।’</p> <p>নিজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো নিয়ে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় হায়দার আলীর বিশেষ গ্রন্থ ‘আমার অনুসন্ধান’। এই গ্রন্থে জুলুমবাজ, অর্থলোভী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আমলা, ব্যাংক লুটেরা, প্রতারক, সন্ত্রাসী, গডফাদার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, এমনকি এমপি-মন্ত্রীদের অপকর্ম উন্মোচনকারী দুঃসাহসিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো স্থান পেয়েছে।</p>