<p>২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজটে সব ধরনের সিগারেটের খুচরামূল্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়’। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিগারেটের দামবৃদ্ধির ফলে কম্পানিগুলোর বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে। সিগারেটের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি কার্যকর করারোপও জরুরি।</p> <p>আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অব প্রোগ্রামস শাহীন উল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার কায়সার হামিদ ও শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী বলেন, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ সময়কালে বিভিন্ন সত্মরের সিগারেটের দাম ৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অথচ এই সময়ের মূল্যস্ফিতির হার ৩২ শতাংশ ছিল। ফলে মূল্যস্ফিতির বিবেচনায় সিগারেট আরো সহজলভ্য হয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরজুড়ে যেহেতু গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজটে সব ধরনের সিগারেটের ন্যূনতম ঘোষিত খুচরামূল্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ করে বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও কর আহরণ সহজ করতে বাজারে বিক্রি হওয়া সিগারেটের সত্মর সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি সিগারেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ২০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সিগারেটে কর প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।</p> <p>জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য এবং তামাকবিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সর্বশেষ পাঁচ অর্থবছরের প্রতিটিতে সিগারেট বিক্রি থেকে সরকার যে রাজস্ব আহরণ করেছে, তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলোর দাবি অনুসারে কার্যকর করারোপ করা গেলে তার তুলনায় ১১ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি রাজস্ব আয় করা সম্ভব হতো।</p>