<p style="text-align:justify">ঐক্যবদ্ধ ট্রেড ইউনিয়নই সাংবাদিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষকে নির্মূলের মানসিকতার জন্য ঐক্য বিনষ্ট হয়। এ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের রক্ষায় প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ ট্রেড ইউনিয়ন।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">বিগত সরকারের আমলে অনেক পত্রিকা ও টেলিভিশন বন্ধ করার প্রসঙ্গে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল তার ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না? কথা ছিল সাত দিনের মধ্যে আগের আমলের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নিউজ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তা এখনও নিষ্পত্তি হলো না কেন?’</p> <p style="text-align:justify">স্বাধীন এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দরকার জানিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, মফস্বলে যখন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে রিপোর্টার হিসেবে তখন আপনাকে শুধু সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি? আপনাকে বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক ও সার্কুলেশনের জন্য পত্রিকা বিক্রির বিষয়টিও দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসাথে সাংবাদিক, বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক এবং সার্কুলেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু কোনটার জন্য আপনাকে বেতন দিচ্ছে না। একটি কার্ড দিলেই হয়। এরকম অন্যায় হচ্ছে এবং ব্যাপকভাবেই হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরও বলেন, হাতে গোনা কয়েকটি টেলিভিশন, কাগজ যারা নিয়মিত বেতন দেয়। কিন্তু সেই বেতন-ভাতায় হয়তো বৈষম্য আছে।ওয়েজবোর্ডের যে সুযোগ সুবিধা ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা কার্যত পান না। যারা পান তাও খুব ব্যতিক্রম। ওয়েজবোর্ডের লাভটা শুধু মালিকরাই পান, তাদের বিজ্ঞাপন রেটটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। মাঠের সাংবাদিকরা কখনো সুফল পান না। প্রস্তাব এসেছে, এমন একটা ব্যবস্থা করা দরকার যাতে নূন্যতম বেতন কাঠামো কার্যকর হয়। সবাই যাতে নূন্যতম বেতন-ভাতা পায়।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, অনিয়ম দূর করলে মূল ধারার প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে। ১২ বছর ধরে যে পত্রিকা বন্ধ রাখা হয়েছে বা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি সেই প্রতিষ্ঠানতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাকে দেওয়া হয়নি। এটিতো অন্যায়। এই রাজনৈতিক হয়রানি ও অন্যায় দূর করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, জিমি আমির, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেগম কামরুন্নেসা হাসানসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।</p>