<p>জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মদ কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে।</p> <p>বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আমন্ত্রণ পেলেও সর্বদলীয় বৈঠেকে অংশগ্রহণের বিষয়ে ইতিবাচক নন দলের নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির মনোভাব জানার পর তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলও বৈঠকে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  </p> <p>ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছ থেকে ঘোষণার খসড়াপত্র পেয়েছি। তিনি আমাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করেছেন।’ </p> <p>তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এত বেশি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ যে এক দিনের নোটিশে এটা করা সম্ভব নয়। আমরা (দলে) এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং আরো আলোচনা করব। অন্যান্য দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সংবিধান বিশেষজ্ঞ যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। কারণ সংবিধানের ব্যাপারেও বহু কথা আছে, যেগুলো আমাদের দেখতে হবে।’</p> <p>দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের দেওয়া খসড়া ঘোষণাপত্রের বেশ কিছু বিষয়ে বিএনপি একমত নয়। বিএনপি এ বিষয়ে দলীয় আলোচনা করেছে। তা ছাড়া বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দায়সারাভাবে গত ১৫ বছরের গুম, খুন ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে মনে করছে দলটি।</p> <p>এ ছাড়া বাহাত্তর সালের সংবিধান বাতিল বা সংশোধনের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে খসড়া ঘোষণাপত্রে। দলটির নেতারা মনে করছেন, এর মানে বাহাত্তর সালের সংবিধান বাতিল করার লক্ষ্য নিয়েই এই ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। </p> <p>এর আগে গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। মূলত বিএনপির বিরোধিতার কারণেই ঘোষণাপত্র দেওয়ার ওই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় বৈষম্যবিরোধীরা।</p> <p>বিএনপির মিত্র দল গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁরা বৈঠকে যাবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।</p>