অর্থ উপদেষ্টা জানালেন

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার কি মহার্ঘ ভাতা থেকে সরে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? 

আরো পড়ুন
দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

 

তিনি বলেন, কে দিয়েছে ঘোষণা আমি জানি না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবো দেবো কি দেবো না, কত (দেবো), তারপর ঘোষণা দেবো।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিন বছরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তিন বছরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ!
সংগৃহীত ছবি

২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে। এর মধ্যে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ। অর্থ বরাদ্দের অভাবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব রহমান।

 

তিনি জানান, ব্যয় না বাড়িয়ে এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

আরো পড়ুন

দরপতনেও বাজার মূলধন বাড়ল ৪ হাজার কোটি টাকা

দরপতনেও বাজার মূলধন বাড়ল ৪ হাজার কোটি টাকা

 

জানা গেছে, তিস্তা সেচ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প পাস হয়।

এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। 

প্রকল্প কমান্ড এলাকার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি সেচ ক্যানেল নির্মাণে বিশেষ এ প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। তবে শুরুর পর থেকে কাজ চলছে ধীরগতিতে।

অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু পর্যাপ্ত বারাদ্দ না পাওয়ায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন

ঘন কুয়াশা : রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি

ঘন কুয়াশা : রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি

 

এদিকে, তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্প এলাকায় সেচ দেওয়া এবং নদীর প্রবাহমাত্রা ঠিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে স্বাভাবিক প্রবাহমাত্রা থাকা প্রয়োজন ২০ হাজার কিউসেক পানি। শুধু সেচ প্রকল্প চালাতেই প্রবাহমাত্রা থাকা প্রয়োজন প্রায় ১৪ হাজার কিউসেক এবং নদীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৬ হাজার কিউসেক পানি।

আরো পড়ুন

জিপিএস ট্র্যাকারে বাবার ‘প্রেমিকা’কে খুঁজে হত্যা করল কিশোর!

জিপিএস ট্র্যাকারে বাবার ‘প্রেমিকা’কে খুঁজে হত্যা করল কিশোর!

 

কিন্তু শুকনো মৌসুমে তিস্তায় প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায় না।

শুষ্ক মৌসুমে বোরো আবাদের সময় ব্যারাজ পয়েন্টে কয়েক বছর ধরে পাওয়া যায় মাত্র ৩-৪ হাজার কিউসেক পানি। যে সামান্য পানি তিস্তায় পাওয়া যায় তার সবটুকুই সেচ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের সেচ খালের মাধ্যমে কৃষিজমিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

মন্তব্য

আলোচিত মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আলোচিত মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব
ছবি: শফিকুল আলমের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

এবার ‍সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সেই মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন। 

ওই পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, “আলোচিত ও সমালোচিত বারবেরি মাফলারটি তার আসল দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হবে। যেকোনো সহৃদয় ব্যক্তি ‘অভয়ারণ্য - বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’ এই টাকা দিয়ে মাফলারটি কিনতে পারবেন।

” পরিচয় গোপন রেখে কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক মাফলারটি কিনতে পারবেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব। এ জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থককে অবশ্য গুণতে হবে ৮৬ হাজার ৬০০ ডলার। মাফলারটি দুইবার ধোয়ার পর ক্রেতাকে মাফলারটি দেওয়া হবে বলেও জানান প্রেস সচিব। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রেস সচিবের মাফলারের দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকা এমন দাবিতে কিছু পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কেউ কেউ দাবি করেন, সরকারে যুক্ত হয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই মাফলার কিনেছেন তিনি। 

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট নিজের প্রোফাইলে শেয়ারও করেন প্রেস সচিব। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, আমার ব্যবহৃত মাফলারটির জন্য কেউ ৬০০ টাকা দিলেও আমি খুব খুশি হবো। এটা দিয়ে বঙ্গবাজার থেকে দুটি নতুন মাফলার কিনতে পারব।

 

এদিকে ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি শেখ হাসিনার পতনের অনেক আগেই এই মাফলার সহ তাঁর ছবি রয়েছে। গত বছরের ৩ এপ্রিল মাফলার গলায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে!! আমি বুয়েটিয়ান না!! রাজনীতি করতে আমার কোনো বাধা নেই!!’ 

মন্তব্য

রমজানের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

শেয়ার
রমজানের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

এবারের রমজানের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৪৪৬ হিজরির রমজান মাসের সাহরি ও ইফতারের এই সময়সূচি চূড়ান্ত করে।

আরো পড়ুন
ডি আর কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ৭০০ জনের মৃত্যু : জাতিসংঘ

ডি আর কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ৭০০ জনের মৃত্যু : জাতিসংঘ

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বিনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মার্চ শুরু হবে এবারের পবিত্র রমজান মাস।

তবে রমজান শুরুর সময় ২ মার্চ ধরে ঢাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আরো পড়ুন
এনামুল হক বিজয়ের দেশত‍্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এনামুল হক বিজয়ের দেশত‍্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 

সময়সূচি অনুযায়ী, ২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সাহরির শেষ সময় ভোররাত ৫টা ৪ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ২ মিনিট। তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে।

1

দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দ্বিনি দাওয়াত বিভাগের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

চিরগৌরবের ভাষার মাস শুরু আজ

সালেহ ফুয়াদ
সালেহ ফুয়াদ
শেয়ার
চিরগৌরবের ভাষার মাস শুরু আজ
সংগৃহীত ছবি

আজ শনিবার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। শুরু হলো বাঙালির চিরগৌরব, চিরপ্রেরণার ভাষার মাস। আজ থেকে ঘরে-বাইরে সবখানে শোনা যাবে একুশের গান। আবারও বাংলার দামাল ছেলেদের আত্মত্যাগের স্মৃতি তাজা হয়ে উঠবে।

আবৃত্তি হবে ভাষাশহীদদের স্মরণে লেখা অমর সব কবিতা। নতুন করে ভাষার প্রতি আরো যত্নশীল হওয়ার বোধ তৈরি হবে। ছড়িয়ে পড়বে ভাষার অধিকারের সমতার বার্তা। তৈরি হবে সব ভাষা টিকিয়ে রাখার তাগিদ।

আরো পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল কর্মীর শাস্তি মওকুফ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদলকর্মীর শাস্তি মওকুফ

 

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালির সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সৃষ্টি করেছিল অভূতপূর্ব এক অভিঘাত। স্বাধীনতার উন্মেষ-চেতনার ভিত রচিত হয়েছিল ৭৩ বছর আগের সেই আন্দোলনে। সেই জাগৃতি ও স্ফুরণের ধারাবাহিকতায় অর্জন আজকের বাংলাদেশ। ভাষাশহীদরা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহিনে চিরজাগরূক।

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরদিন স্মরণীয় তাঁরা।

ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য অপরিসীম। এ কারণে ফেব্রুয়ারি মাস এলে দেশজুড়ে শুরু হয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি মাসব্যাপী আয়োজন করে অমর একুশে বইমেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে বসে জাতীয় কবিতা উৎসব।

আরো পড়ুন
বিকেলে ইজতেমায় অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে

বিকেলে ইজতেমায় অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে

 

শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিদিন দেশব্যাপী থাকে নানা কর্মসূচি। বরাবরের মতো আজ থেকে মাসব্যাপী শুরু হচ্ছে সেসব আয়োজন।

ভাষা ঘিরে এই অভূতপূর্ব জাগরণ তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্লজ্জ বৈষম্য সৃষ্টি থেকে। ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’—৭৩ বছর আগে পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার মানুষ এই অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় দ্রুত দানা বাঁধে আন্দোলন।

আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই আদেশ অমান্য করে ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি পৌঁছলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, শফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা আরো অনেকে। এতে তীব্র আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ বাঙালির ভাষাশহীদ দিবস। একই সঙ্গে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পৃথিবীর সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদার স্বীকৃতি স্মরণ করিয়ে দিতে দিনটি বাঙালি জাতির জন্য বিশেষ আবেগের। মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দেওয়ার উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ভাষার জন্য বাংলার সূর্যসন্তানদের এই বিরল আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর।

এদিন ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন বিশ্বের দেশে দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো যেসব ভাষার মানুষ আছে, তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা বিকাশের উদ্যোগ বেগবান করার তাগিদ দেয় এই দিবস।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ