ট্রেন চালু করতে সমঝোতার বৈঠক শেষ হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আপাতত ট্রেন চলার কোনো খবর নেই। সারাদেশে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে।
ট্রেন চালু করতে সমঝোতার বৈঠক শেষ হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আপাতত ট্রেন চলার কোনো খবর নেই। সারাদেশে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে সকল পক্ষকে নিয়ে ট্রেন চালু করতে বৈঠক হয়। কয়েক দফায় দুই ঘণ্টার বেশি বৈঠক চললেও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা যায়নি।
কর্মবিরতি থেকে সরে আসতে রানিং স্টাফদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মো. ফাহিমুল ইসলাম। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
চূড়ান্ত বৈঠকটি আজ দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
সম্পর্কিত খবর
সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল সোমবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনে সামান্য কমতে পারে। পরদিন মঙ্গলবার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুতে তাপমা কমতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দফা শেষ হয়েছে। মোনাজাত শেষে রাস্তায় ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে। আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পর একসঙ্গে লাখ লাখ মানুষ ফিরতে শুরু করলে সর্বত্র মহাজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না।
হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও নারী মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরিক হন এবং একইভাবে ফিরতে শুরু করেন। মোনাজাতের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে অধিকাংশ যানবাহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক মুসল্লি।
আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন শুক্রবার থেকেই। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও কেবলমাত্র আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ-স্টিমারে করে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখী হন।
রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও টঙ্গীর সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই ছিল পূর্ণ ছুটির আমেজ। গভীর রাত থেকে টঙ্গীমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে।
রবিবার ভোররাত থেকে যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। চারিদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সকাল ৭টার মধ্যে গোটা এলাকা জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হয়।
সিলেটের মুসল্লি আব্দুর রহমান কালের কন্ঠ কে জানান, আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু বাস ভাড়া বেশি চাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানা যাবে আজ রবিবার বিকেলে। এ ছাড়া অটোগ্যাসের দামও আজ নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো ঘোষিত ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা রবিবার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসের জন্য এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ওই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
একটা হলো, ইউরোপের শ্রমবাজারে যাওয়া সহজ নয় এবং সেখানে যে কেউ যেকোনো সময় যেতে পারে না—এটার একটা প্রচারণা করতে হবে। এই প্রচারণা সরকার গণমাধ্যমের মাধ্যমে করতে পারে। আরেকটি হলো, নিষেধাজ্ঞা ও শেষ মুহূর্তে তাদের আটকানোর একটা ব্যবস্থা করা উচিত। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষেরও তো একটি দায়িত্ব রয়েছে।
কারণ কর্মীরা যখন যান তখন তাঁদের ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় সুষ্ঠু তদন্ত করে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের যেতে না দেওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখছি, তাঁরা অনেকটা শান্ত প্রকৃতির মতো কাজ করে। অন্তত রাশিয়া বা ইউরোপের ক্ষেত্রে তাঁরা কঠিন হতে পারে।
অর্থাৎ এ সময় কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা, তাঁদের সচেতন করা এবং যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সির বিষয়ে তদন্ত করা। এ ছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যাপারে একটা বার্তা থাকবে, যারা প্রক্রিয়া করে তারা যদি সঠিক শ্রমবাজারে কর্মী না পাঠায় তাদের লাল তালিকাভুক্ত ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। এ বিষয় সরকারকে কঠিন হতে হবে। আর সাধারণ মানুষের জন্য প্রচারণাটাও নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা ও প্রচারণা দুটি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউরোপের কোন কোন দেশে কর্মী পাঠানোর চেষ্টা চলছে সে বিষয় পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন। কারণ এটি বেসরকারিভাবে করা হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি তদন্ত হওয়া দরকার। দেখতে হবে কোন জায়গা থেকে এই ভিসাগুলো আসছে বা নির্দিষ্ট কোনো শ্রমবাজারের অনুমোদন তাতে আছে কি না।
কারণ, সরাসরি তো রাশিয়া এই কর্মীদের নিচ্ছে না। এর জন্য যেই দেশে তাদের অনুমোদন থাকুক, সেগুলো পূর্ণ তদন্ত করে এই অনুমোদনগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকা উচিত।