ঢাকা, রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬

একযোগে প্রফাইল পিকচার পরিবর্তন করছেন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একযোগে প্রফাইল পিকচার পরিবর্তন করছেন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা
সংগৃহীত ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন ক্যাডার থেকে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করার প্রতিবাদে একযোগে ফেসবুকে প্রফাইল পিকচার পরিবর্তন করছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে প্রশাসন ক্যাডার বাদে বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়।

আরো পড়ুন
জামায়াতের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের দাবিটি ভুয়া

জামায়াতের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের দাবিটি ভুয়া

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১০ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত, একজনকে ওএসডি করা হয়েছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধি-বিধান বহির্ভূত একই ধরনের কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে, প্রশাসন ক্যাডার থেকে এ ধরনের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে তারা এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে সীমাহীন বৈষম্য রয়েছে।

রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন ও প্রফেশনালিজম নিশ্চিতে সিভিল সার্ভিস সংস্কারের মাধ্যমে এ বৈষম্যগুলো নিরসন করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়, বরং শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রশাসন ক্যাডার অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করছে। তাই সরকার ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মন্তব্য

রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টি, হতে পারে রবিবারও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টি, হতে পারে রবিবারও
ছবি : ফোকাস বাংলা

শীতের আমেজ না কাটতেই রাজধানীতে শনিবার হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। রাজধানী ছাড়াও রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ হয়ে ওঠে মেঘাচ্ছন্ন। এরপর দুপুরে হঠাৎ করেই শুরু হয় বৃষ্টি।

সরেজমিনে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফার্মগেট, আগারগাঁও, মিরপুর, বিজয় সরণী, গ্রীনরোড. পান্থপথ, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি, মালিবাগ, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, শান্তিনগর, মতিঝিল ও উত্তরাসহ রাজধানীর প্রায় সর্বত্র বৃষ্টির দেখা মেলে। এর মধ্যে কোথাও হালকা আবার কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, লিংক রোড এবং গুলশানে দেখা মিলেছে শিলাবৃষ্টির। বৃষ্টির কারণে মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও বসুন্ধরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের সংবাদও পাওয়া গেছে।

 

আরো পড়ুন
‘ছাত্র-জনতা ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করবে’

‘ছাত্র-জনতা ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করবে’

 

সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি প্রাক বর্ষার বৃষ্টিপাত। বিচ্ছিন্নভাবে এই বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবারও এমন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ৮ বিভাগেই বৃষ্টি হতে পারে।

তবে রংপুর ও চট্টগ্রামে তুলনামূলক কম বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদিতে এই বৃষ্টিপাাতের প্রবণতা বেশি। ধীরে ধীরে তা সিলেট ও হবিগঞ্জের দিকে এগোচ্ছে।  বৃষ্টিপাতে দিনের তাপমাত্রা স্থানভেদে কিছুটা কমেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে রবিবার এই তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।
বিশেষ করে ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। 

আরো পড়ুন
‘বিএনপিকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে’

‘বিএনপিকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে’

 

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি। 

আবহাওয়াবিদরা জানান, ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালি এই চার এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জানানো হয়েছে। রবিবার এই সংকেত কমে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত হতে পারে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চায় না ৭১ শতাংশ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চায় না ৭১ শতাংশ মানুষ
সংগৃহীত ছবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রতীকের ব্যবহার হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ৭১ শতাংশ মানুষ।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অনুরোধে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানুয়ারিতে এ জরিপটি পরিচালনা করে। যেখানে দেশের ৬৪ জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের ৪৬ হাজার ৮০টি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রতীকের ব্যবহার হওয়া উচিত নয়, অন্যদিকে ২৪ শতাংশ মনে করেন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকা উচিত।

দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের পক্ষে প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। 

জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত।

এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ মনে করেন প্রার্থীদের এসএসসি পাস করা উচিত, ৩০ শতাংশ মনে করেন এইচএসসি এবং ২৫ শতাংশ মনে করেন ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক হওয়া উচিত।

বর্তমানে স্থানীয় সরকার পরিচালনার জন্য পাঁচটি আইন এবং ১০০টিরও বেশি বিজ্ঞপ্তি ও সরকারি আদেশ রয়েছে। এ বিষয়ে ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, স্থানীয় সরকার পরিচালনার জন্য একটি একক ও সমন্বিত আইন থাকা উচিত।

প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল সংকট মোকাবেলায় একটি সমন্বিত সেবা কাঠামো থাকা উচিত।

দেশে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের প্রেক্ষাপটে ৮৫ শতাংশ মানুষ উপজেলা পর্যায়ে একজন নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন।

এছাড়া ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ দেওয়ানি ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপনের সুপারিশ করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বাহরাইনে নবনিযু্ক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার এনডিসি ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত ম. রইস হাসান সরোয়ার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে সব ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের স্বরণ করেন। যাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। 

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলেও আমরা ১৯৫৬ সালে বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পাই। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

 

তিনি আরো বলেন, রজত জয়ন্তীতে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য- Make languages count for sustainable development। তা যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। বাংলা ভাষাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। ভাষা সর্ম্পকে আমাদের আরো জানতে হবে এবং তরুন প্রজন্মকে অন্যান্য ভাষা শেখার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখার প্রতি আরো জোর দিতে হবে।

’ 

তিনি প্রবাসীদের বাহরাইনের সব নিয়মকানুন যথাযথভাবে পালন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের পরামর্শ দেন। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি সকলকে একযোগে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ স্কুল-এর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে তারা সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। রাষ্ট্রদূত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপহার বিতরণ করেন।

মন্তব্য

খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তুলছি : অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তুলছি : অর্থ উপদেষ্টা
ছবি: কালের কণ্ঠ

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি দায়িত্ব নিয়েছি। বাংলাদেশ অর্থনীতি কোন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল তা যারা এর ভেতরে গিয়েছি তারা ছাড়া বাইরে থেকে বোঝা যাবে না। আমরা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তুলছি। 

আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিএ ভবনের আইসিএবি মিলায়তনে বণিক বার্তার আয়োজনে ‘গর্ভনরের স্মৃতিকথা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে আমি শুধুমাত্র গভর্নরের সমযকাল নয়; আমার জীবনের নানা স্মৃতি নিয়েই কথা বলেছি। ২০১৯ এ প্রথম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছিল। এবারে তাতে আরো কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে।

তিনি বর্তমান দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি দায়িত্ব নিয়েছি।

বাংলাদেশ অর্থনীতি কোন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল তা যারা এর ভেতরে গিয়েছি তারা ছাড়া বাইরে থেকে বোঝা যাবে না। আমরা খাদের কিনারে দাড়িয়ে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তুলছি। 

অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা বাঙালিরা বিদেশিদের কাছে নিজেরা নিজেদের সমালোচনা করি। কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাকে টেনে নামানোর প্রবণতা আছে আমাদের।

বিদেশিদের কাছে নিজেদের কথা বলবেন কিন্তু একটু রয়ে সয়ে করবেন। নিজেদের প্রতি সম্মানটুকু রাখবেন। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি সেখানে সহযোগিতা করবেন। এটাই আশা করি। 

শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, বইটির প্রথম সংস্করণ আমরা ২০১৯ সালে প্রকাশ করেছি।

এ বছর তারই বর্ধিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে অনেক কিছুই আমাদোর অজানা আছে। বাংলাদেশকে বোঝার জন্য যারা বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেছেন, পাবলিক সার্ভিসে কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা জানার প্রয়োজন রয়েছে। এ বইটি সে বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আর তিতুমীর বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে জানা না থাকলে গভর্নর হওয়া যায় না। ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশের রাজনীতি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা ছিল যা গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব পালনে কাজে লেগেছে।  পৃথিবীর যেসব গভর্নররা বই প্রকাশ করেছে তারা আসলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো কীভাবে সামাল দিয়েছেন সে বিষয়ে আলাপ করেছেন। প্রত্যেক গভর্ণরের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মুখে তাদের অবস্থান দাড় করানো। আমাদের দেশে একজন গভর্নর কীভাবে রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলেন সেখানে একটা বড় ফাটল রয়েছে। ড. সালাহউদ্দিন বর্তমানে অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছে। আশা করি তিনি কীভাবে ফিসক্যাল ও মনিটরিংয়ের বিভাগের হারমোনাইজেশনের এবং কীভাবে খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতিকে দাঁড় করানো যায় সে বিষয়ে উদাহরণ তৈরি করে যাবেন। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বইটির উল্লেখযোগ্য দুটি দিক হলো, এই বইটিতে উঠে এসেছে তিনি কোথা থেকে কোথায় কোথায় এসেছেন। তিনি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছেছেন। এ উঠে আসার গল্পের মধ্যে কোনো সংকোচ নেই। আরেকটি দিক হলো, তিনি কর্মজীবনে অবশ্যই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু বইটিতে যাদের কথা উল্লেখ করেছেন সবার ভালো দিকটিই তুলে ধরেছেন। এছাড়া আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তিনি বইটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের কথা বলেছেন এবং বইটি উৎসর্গ করেছেন খেটে খাওয়া মানুষষদের।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিদের গ্রাম দেখা কতটা জরুরি তার লেখায় তা উঠে এসেছে। তিনি তার কর্মজীবনে উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়েছেন যা তাকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের বোঝার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। আমি মনে করি, সরকারি চাকিরিতে প্রান্তিক পর্যায়ে পরিদর্শনের এ বিষয়টি আবার চালু করা উচিত।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহাবুব উল্লাহ বলেন, ড. সালাহউদ্দিনের রাজনীতি ও লেখাপড়ার সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল। বইটিতি তিনি তার জীবনের যে বর্ণনা তুলে ধরেছেন সেখান থেকে আমরা একটা শিক্ষাই পাই। সেটি হলো যেকোনো পর্যায়ে থেকে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে শিক্ষা। আমরা যদি শিক্ষাকে সর্বজনমুখী করতে পারি তাহলে দেখা যাবে সমাজের বৈষম্য অনেকাংশে কমে এসেছে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্তব্য রাখেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফুল ইসলাম, সাবেক ব্যাংকার ও লেখক ফারুক মঈনউদ্দিন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ