রাতে সাংবাদিকদের নিয়ে নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাতে সাংবাদিকদের নিয়ে নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্ট
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম— ফেসবুকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি সাংবাদিক পরিবারের সহায়তার একটি ছবি শেয়ার দিয়ে কিছু মন্তব্য করেন পোস্টে।

আরো পড়ুন
ইজতেমাকে সামনে রেখে যে নির্দেশনা দিল মার্কিন দূতাবাস

ইজতেমা সামনে রেখে যে নির্দেশনা দিল মার্কিন দূতাবাস

 

নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‌‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিটি মুহূর্তে গণমানুষের কাছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রামাণ্য দলিল তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন আমাদের নির্ভীক সাংবাদিকরা। দায়িত্বের টানে সব ঝুঁকি উপেক্ষা করে ফ্রন্টলাইনে ছিল তাঁদের সাহসী উপস্থিতি।

নির্ভয়ে সত্য প্রকাশের তাড়নায় দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁরাও।’

আরো পড়ুন
হাতকড়া না পরিয়েই নেওয়া হচ্ছিল সাবেক মন্ত্রীকে, ছাত্রদের প্রতিবাদ

হাতকড়া না পরিয়েই নেওয়া হচ্ছিল সাবেক মন্ত্রীকে, ছাত্রদের প্রতিবাদ

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাংবাদিকদের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে আগামীতেও।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আলোচিত-১০ (২৫ ফেব্রুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

বন ও পরিবেশ রক্ষায় গবেষণা কার্যক্রম বাড়াবে সরকার : সৈয়দা রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বন ও পরিবেশ রক্ষায় গবেষণা কার্যক্রম বাড়াবে সরকার : সৈয়দা রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে গবেষণা ও উন্নত প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। 

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বনজসম্পদ রক্ষা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় আধুনিক গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। টেকসই বন ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি প্রাকৃতিক বনে সামাজিক বনায়নের প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করার নির্দেশ দেন। 

বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, বাঁশ, বেত, ভেষজ উদ্ভিদসহ অকাষ্ঠল বনজ সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক একেএম শওকত আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, বাংলাদেশ ফরেস্ট একাডেমির পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামসহ বিএফআরআই-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে উপদেষ্টা বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি দেশের রাবার শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

মন্তব্য

চলচ্চিত্র-নাটক-ওটিটিতে ধূমপানের দৃশ্য নিষিদ্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চলচ্চিত্র-নাটক-ওটিটিতে ধূমপানের দৃশ্য নিষিদ্ধের দাবি

বর্তমান প্রজন্মের বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ওটিটি প্ল্যাটফরম। সুযোগসন্ধানী তামাক কম্পানিগুলো তরুণসমাজকে ধূমপানের নেশায় নেশাগ্রস্ত করার জন্য চলচ্চিত্র, নাটক ও ওটিটি কনটেন্টে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের দ্বারা অতিমাত্রায় ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করছে। যা বাংলাদেশ বিদ্যমান আইন ও নীতির পরিপন্থী এবং শিশু, কিশোর-তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ জন্য চলচ্চিত্র, নাটক ও ওটিটিতে ধূমপানের দশ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা জরুরি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং মানস- মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা আয়োজিত ‘তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় চলচ্চিত্র, নাটক এবং ওটিটি প্ল্যাটফরমে প্রদর্শিত কনটেন্টে ধূমপানের দৃশ্য নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। 

সভায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জনগণের কল্যাণে ও জনগণকে বিনোদন দেওয়ার জন্য সিনেমা তৈরি করা হয। এসব সিনেমায় ধূমপানসহ নেতিবাচক বিষয় থাকা উচিত নয়। সেন্সর বোর্ড থেকে চলচ্চিত্রের চারটি স্তরে রেটিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।

ফিল্ম আর্কাইভের গবেষণায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি যুক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ধূমপানবিরোধী জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্রে নেতিবাচকতা পরিহার সম্ভব হবে জানান তিনি।

মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্য ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণলায়ের সার্চ কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম খান, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন রোর্ডের উপপরিচালক মোঃ মঈনউদ্দিন, বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের কর্ণধার ইমরান হোসেন কিরমানী, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা, টিসিআরসির প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা জামান লিজা প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মানসের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার মো. আবু রায়হান।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানসের প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাত। তিনি বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফরমে প্রচারিত ৬০টি নাটক-সিনেমার মধ্যে ৪৬টিতেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ধূমপানের দৃশ্য ছিলে নায়কের চরিত্র ৩৩টি, নায়িকার চরিত্রে ১৯, ভিলেনের চরিত্রে ১২ এবং অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রে ২১ বার ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। গবেষণায় ৫টি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফরমকে বাছাই করে ৬০টি নাটক, সিনেমা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ৬টি নাটকে এবং ৪০টি সিনেমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করা হয়েছে।

নেটফ্লিক্স এ প্রচারিত সিনেমায় সবচাইতে বেশি তামাক ও মাদক ব্যবহারের দৃশ্য পাওয়া যায়।

সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, শিশু, কিশোর-তরুণদের ধূমপানের নেশায় আসক্ত করছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কতিপয় মানুষ। কাহিনীর প্রয়োজনে ধূমপানের দৃশ্য দেখানো যাবে বলা হলেও রাষ্ট্রের স্বার্থ ও জনগণের জন্য কল্যাণ পরিপন্থী সব কিছু বর্জন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চেীধুরী বলেন, সারা বিশ্বে তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। ধূমপায়ী এবং পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীরাও ক্ষতির শিকার হয়। তামাক কম্পানির প্রলোভনে কিশোর-তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ছে এবং তারা ভয়ঙ্কর মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তরুণ সমাজের সুরক্ষায় বিনোদন মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং ওটিটি’র জন্য পৃথক গাইডলাইন প্রণয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, চলচ্চিত্রে আরো বেশি দায়িত্বশীলতা ও সৃজনশীলতা প্রয়োজন। সৃজনশীলতার নামে যেন ক্ষতিকর কিছু দেখানো না হয়। চলচ্চিত্রে ধূমপানের দৃশ্য যেন না থাকে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হতে হবে। ধূমপানের দৃশ্য প্রর্দশন করা হয়েছে এমন সিনেমা যেনো অনুমোদন না দেওয়া হয়।

মন্তব্য

পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের

দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকে থাকা পদোন্নতি বাস্তবায়নের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিসিএস (স্বাস্থ‍্য) ক‍্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম। নতুবা আগামী ২৫ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. মির্জা মো. আসাদুজ্জামান রতন বলেন, পদোন্নতির যোগ‍্যতার সব শর্ত পূরণ এবং ডিজি/মিনিস্ট্রিতে সব ফাইল বার বার আপডেটের পরও বছরের পর বছর পদোন্নতি আটকে রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন, এমবিবিএস, বিডিএস-এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অক্ষুন্ন রাখা এবং ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে পদন্নোতি যোগ্য সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্রুত সুপারনিউমারি পদন্নোতির দিতে হবে। 

ডা. রতন আরো বলেন, দ্রুততর সময়ে পদোন্নতি না দিলে আগামী ৮ মার্চ (শনিবার) থেকে তিনদিন ২ ঘণ্টা (সকাল ১০টা থেকে ১২টা) করে  কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও যদি দাবি পালন না করা হয় তাহলে আগামী ১১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন‍্য পূর্ণ কর্মবিরতি (জরুরি সেবা চালু থাকবে) পালন করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ বশির আহমেদ খান বলেন, বিভিন্ন বৈষম্যের ফলে চিকিৎসকদের প্রমোশনের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেধার অপচয় হচ্ছে এবং দক্ষতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

ফলশ্রুতিতে চরম বিষন্নতার শিকার হচ্ছি আমরা। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে যথাযথ সম্মানের অভাবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যোগ্য প্রার্থীরা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা বিভিন্ন কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন তাদের দ্রুত পদোন্নতি দিতে হবে। এ কর্মসূচি সারা দেশের সব হাসপাতালের চিকিৎসকরাও পালন করবে বলে জানান তিনি।
 

চিকিৎসকরা বলেন, আমরা ডাক্তার সমাজ কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোনো কর্মসূচি দিতে চাইনি। এখনো চাচ্ছি না।
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের টালবাহানার কারণে আমরা এই কর্মবিরতির ঘোষণা দিতে বাধ‍্য হয়েছি। এ জন‍্য দেশের স্বাস্থ‍্যব‍্যবস্থায় যদি কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এর দায় মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ