ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন

  • কার্যক্রম শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের মেয়াদ হবে ৬ মাস। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে এই কমিশন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিশনের সহ-সভাপতি করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ৬ মাস।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান
সংগৃহীত ছবি

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে করমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

ওই ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশন নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন।

যখন দেখবেন যে ‘লাইমলাইটে’ চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রেমিট্যান্সের নামে এক ব্যক্তির এত বিপুল অর্থ আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে, আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা বললাম, তাদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে।

‘এটা করা হয়েছিল প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য এবং তারা যাতে করে বিদেশে তাদের এই আয়টা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে অবদান রাখবে। কিন্তু আইনকানুনের ব্যত্যয় করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন।

তিনি বলছেন, এটা উনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি। এই যে আপনারা প্রশ্ন করলেন কেন ‘গিনি সহগ’ উল্টো দিকে হাঁটছে, তার কারণ হচ্ছে এই।

‘হয় আমরা এগুলো দেখি নাই। অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি।

তাদের আমরা অ্যালাউ করেছি। এগুলোই আমাদের বড় প্রবলেম বলেন তিনি।

বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশে আনার ক্ষেত্রে করমুক্তির সুবিধা রয়েছে। সেইসঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আড়াই শতাংশ।

মন্তব্য

মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা
সংগৃহীত ছবি

দেশে কোনো ধরনের মাজার ভাঙচুর বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মাজার ভাঙার নামে একটা নৈরাজ্য চলছে।

মাজার ভাঙার অপরাধে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আইনের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। তবে সরকার এখন সবার উদ্দেশে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চায়, এই মাজার ভাঙার ব্যাপার আর কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।

এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি ও সরবরাহ ঠিক রাখা এবং বাজার মনিটারিংয়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

মন্তব্য

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রোডম্যাপ নিশ্চিত করতে হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রোডম্যাপ নিশ্চিত করতে হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘একটি রোডম্যাপের মাধ্যমে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ 

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল সোমবার (১৭ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অবিলম্বে প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, ভিসা সুবিধাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এবং অস্ট্রেলিয়ার কারিগরি ও উচ্চশিক্ষার (টিএএফই) মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার এই অংশীদারি বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেবে, যাতে দক্ষ জনশক্তি বিদেশে যেতে সক্ষম হয়।’

তৌহিদ হোসেন হাইকমিশনারকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মন্তব্য

আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা
সংগৃহীত ছবি

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। 

সোমবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ওয়াসা নয়। তবে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের জন্য ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল সরবরাহ করে থাকে। 

আরো বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সরকারের আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।

ঢাকা ওয়াসা আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগপত্র দেয় না।

আলোচ্য প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার এমডি, ডিএমডি, সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস ও এপিএস, ছাত্র সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে যে তালিকা দেখানো হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানায় ঢাকা ওয়াসা।

তালিকার সঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখিত নামের ও ঢাকা ওয়াসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই জনবল নিয়োগ/সরবরাহ কাজটি সম্পূর্ণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পন্ন করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ