সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া নির্ধারণ
সংগৃহীত ছবি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের টিকিটমূল্য কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। 

‘ওয়ার্কার ফেয়ার’ নামে এই সুবিধা প্রায় চার মাস পর্যন্ত চলবে। তবে এই সুবিধা মিলবে শুধু নতুন কর্মী ভিসা এবং ওয়ান ওয়ে (একক যাত্রা) টিকিটের ক্ষেত্রে। এসব দেশে গমনেচ্ছু বিএমইটি কার্ডধারী কর্মীদের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত বিশেষ ভাড়া প্রযোজ্য হবে।

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা ও দাম্মামগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান যথাক্রমে ৪৮০ ডলার, ৪০০ ডলার, ৪৩০ ও ৪০০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া ৩৬০ ডলার (কর ব্যতীত) এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান ১৭৫-১৮০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া  ১৫০ (কর ব্যতীত) ডলার নির্ধারণ করেছে।

আরো পড়ুন
ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা, অংশ নেবে ১৭ দেশ

ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা, অংশ নেবে ১৭ দেশ

 

বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এই সুবিধা পেতে হলে যাত্রীকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স কার্ড বা বিএমইটি সত্যায়িত ভিসার প্রয়োজন হবে। ওমরাহ ভিসা, ফ্যামিলি ভিজিট বা রেসিডেন্স ভিসাধারী যাত্রীরা এই ভাড়া সুবিধা পাবেন না।

এর আগে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশনাগুলো দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক/কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে।

গত ২২ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আটাবের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী নতুন শ্রমিকদের বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছিল আটাব। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক যাত্রীদের জন‍্য লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আলোচিত-১০ (১৭ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান
সংগৃহীত ছবি

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে করমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

ওই ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশন নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন।

যখন দেখবেন যে ‘লাইমলাইটে’ চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রেমিট্যান্সের নামে এক ব্যক্তির এত বিপুল অর্থ আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে, আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা বললাম, তাদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে।

‘এটা করা হয়েছিল প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য এবং তারা যাতে করে বিদেশে তাদের এই আয়টা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে অবদান রাখবে। কিন্তু আইনকানুনের ব্যত্যয় করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন।

তিনি বলছেন, এটা উনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি। এই যে আপনারা প্রশ্ন করলেন কেন ‘গিনি সহগ’ উল্টো দিকে হাঁটছে, তার কারণ হচ্ছে এই।

‘হয় আমরা এগুলো দেখি নাই। অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি।

তাদের আমরা অ্যালাউ করেছি। এগুলোই আমাদের বড় প্রবলেম বলেন তিনি।

বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশে আনার ক্ষেত্রে করমুক্তির সুবিধা রয়েছে। সেইসঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আড়াই শতাংশ।

মন্তব্য

মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা
সংগৃহীত ছবি

দেশে কোনো ধরনের মাজার ভাঙচুর বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মাজার ভাঙার নামে একটা নৈরাজ্য চলছে।

মাজার ভাঙার অপরাধে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আইনের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। তবে সরকার এখন সবার উদ্দেশে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চায়, এই মাজার ভাঙার ব্যাপার আর কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।

এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি ও সরবরাহ ঠিক রাখা এবং বাজার মনিটারিংয়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

মন্তব্য

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রোডম্যাপ নিশ্চিত করতে হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রোডম্যাপ নিশ্চিত করতে হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘একটি রোডম্যাপের মাধ্যমে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ 

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল সোমবার (১৭ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অবিলম্বে প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, ভিসা সুবিধাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এবং অস্ট্রেলিয়ার কারিগরি ও উচ্চশিক্ষার (টিএএফই) মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার এই অংশীদারি বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেবে, যাতে দক্ষ জনশক্তি বিদেশে যেতে সক্ষম হয়।’

তৌহিদ হোসেন হাইকমিশনারকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ