ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া নির্ধারণ
সংগৃহীত ছবি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের টিকিটমূল্য কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। 

‘ওয়ার্কার ফেয়ার’ নামে এই সুবিধা প্রায় চার মাস পর্যন্ত চলবে। তবে এই সুবিধা মিলবে শুধু নতুন কর্মী ভিসা এবং ওয়ান ওয়ে (একক যাত্রা) টিকিটের ক্ষেত্রে। এসব দেশে গমনেচ্ছু বিএমইটি কার্ডধারী কর্মীদের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত বিশেষ ভাড়া প্রযোজ্য হবে।

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা ও দাম্মামগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান যথাক্রমে ৪৮০ ডলার, ৪০০ ডলার, ৪৩০ ও ৪০০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া ৩৬০ ডলার (কর ব্যতীত) এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান ১৭৫-১৮০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া  ১৫০ (কর ব্যতীত) ডলার নির্ধারণ করেছে।

আরো পড়ুন
ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা, অংশ নেবে ১৭ দেশ

ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা, অংশ নেবে ১৭ দেশ

 

বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এই সুবিধা পেতে হলে যাত্রীকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স কার্ড বা বিএমইটি সত্যায়িত ভিসার প্রয়োজন হবে। ওমরাহ ভিসা, ফ্যামিলি ভিজিট বা রেসিডেন্স ভিসাধারী যাত্রীরা এই ভাড়া সুবিধা পাবেন না।

এর আগে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশনাগুলো দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক/কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে।

গত ২২ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আটাবের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী নতুন শ্রমিকদের বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছিল আটাব। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক যাত্রীদের জন‍্য লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, আটক ১৫ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, আটক ১৫ বাংলাদেশি

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশকালে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) তাদের আটক করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) একেপিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্রিকেট দলের ছদ্মবেশে ১৫ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়। একেপিএস জানিয়েছে, ১৫ জনের দলটি ক্রিকেট পোশাক পরে এবং টুর্নামেন্টের আমন্ত্রণপত্র উপস্থাপন করে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।

তবে, তদন্তে দেখা গেছে যে চিঠিটি ভুয়া।

চিঠিতে ২১-২৩ মার্চ টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও, একেপিএস বলেছে, ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল না। এ ছাড়া সন্দেহজনকভাবে, তারা একজন ‘স্পন্সর’কে জামিনদার হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে উপস্থিত ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তার কাছে টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না এবং তিনি কেবল একটি কম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।

তদন্তে আরো দেখা গেছে, তারা পেশাদার ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিল এমন কোনো দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা খেলোয়াড়দের ছদ্মবেশে অন্য উদ্দেশে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য একটি সিন্ডিকেটের অংশ ছিল। একেপিএস তাদের সবার বিরুদ্ধে নট টু ল্যান্ড (এনটিএল) ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অভিবাসন বিধি অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একেপিএস সতর্ক করে দিয়েছে যে, যেকোনো ব্যক্তি বা সিন্ডিকেট অবৈধ কাজ বা মানবপাচারের মতো অন্যান্য উদ্দেশে ক্রীড়া ভিসার অপব্যবহারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার সরকারের বার্তা পৌঁছে দেন।

রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কাতার আগ্রহী।’

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে কাতারের পূর্ণ সমর্থনকে চমৎকার অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস দেশটির আমিরকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই কাতারের ব্যবসায়ীরা এখানে সম্ভাবনা অন্বেষণ করুক।

’ তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করবে।

রাষ্ট্রদূত বিনিয়োগ আমন্ত্রণের প্রশংসা করে বলেন, কাতারের আরো বেশি ব্যবসায়ী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশা করছেন। 

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য গঠিত ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ড. ইউনূস জানান, আগামী মাসে তিনি কাতার সফরে যাবেন, সেখানে গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি
সংগৃহীত ছবি

দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে।

 প্রতি একক এলএনজির মূল্য হবে ১৪.৪৮ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৮২ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে। প্রতি একক এলএনজির দাম হবে ১৪ দশমিক ২২ মার্কিন ডলার।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।

তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩টিতে উন্নীত হয়।

টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার সেই ২৩টিরই একটি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সিনেটর পিটার্স বলেন, ডেট্রয়েট শহরসহ মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বসবাস করেন।

তাদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ, জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দুদের ওপর আক্রমণগুলো রাজনৈতিক ছিল, ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’

প্রফেসর ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও কর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাহায্য আমাদের দরকার। আপনার সহকর্মীদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে বলুন।

আমরা একসঙ্গে ভুল তথ্য প্রচার মোকাবেলা করতে পারি।’

মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, মূল কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।

এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি ডিসেম্বরে নির্বাচন। তবে দলগুলো যদি সরকারের কাছ থেকে সংস্কারের আরো বড় প্যাকেজ চায় তবে কয়েক মাস পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচনের দিন বড় রকমের উৎসব হবে, যেমনটা আমরা অতীতে দেখেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে।’ এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

সিনেটর পিটার্স সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রশংসা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করছে।’

বৈঠকে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েও আলোচনা করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ