কে কী বললেন : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কে কী বললেন : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি: কালের কণ্ঠ

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

র‍্যাব বিলুপ্তসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের বিষয়ে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ। আমরা সবাই বসব, বসার পর আমাদের যা সিদ্ধান্ত তা জানাব। আমরা জাতিসংঘের এসব প্রস্তাবের বিষয়ে স্বাগত জানিয়েছি।

জাতিসংঘ একটি ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।

—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা

আলী ইমাম মজুমদার
খাদ্য উপদেষ্টা

সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল থাকবে। আগামী রমজান ঘিরে যাতে দ্রব্যমূল্য সহনশীল থাকে সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

—জেলা প্রশাসক কার্যালয়, কক্সবাজার


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব, বিএনপি

গণতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা আসন্ন নির্বাচনে একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। আমি আগেও বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি, আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের নীতি ও অনুশীলনে বিশ্বাস করি এবং সেগুলো মেনে চলি।

অতীতেও আমরা তা-ই করেছি।’

—বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়, গুলশান।

মোহাম্মদ রফিকুল আলম
মুখপাত্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রত্যর্পণ চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কূটনৈতিক পত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।

তাদের থেকে উত্তরের আশা করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

আমরা পুরো রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি না। রাষ্ট্র সংস্কারে সময় লাগে। এটা নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব। শুধু নির্বাচন করতে যে সংস্কারটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন তা অন্তর্বর্তী সরকারের করতে হবে। তার জন্য যেটুকু যৌক্তিক সময়ের প্রয়োজন হবে, জামায়াতে ইসলামী তার জন্য প্রস্তুত।

—নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও

মজিবুর রহমান মঞ্জু
চেয়ারম্যান, এবি পার্টি

গুম, খুন, গণহত্যার বিচার না করলে খুনিরা সুযোগ পেলে আবার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠবে। গণ-অভ্যুত্থানের সব পক্ষকে তারা আবার আয়নাঘরে বন্দি করবে।

—বিজয়নগর, ঢাকা

আমানউল্লাহ আমান
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন, দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছেন। দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

—কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, আটক ১৫ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, আটক ১৫ বাংলাদেশি

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশকালে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) তাদের আটক করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) একেপিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্রিকেট দলের ছদ্মবেশে ১৫ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়। একেপিএস জানিয়েছে, ১৫ জনের দলটি ক্রিকেট পোশাক পরে এবং টুর্নামেন্টের আমন্ত্রণপত্র উপস্থাপন করে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।

তবে, তদন্তে দেখা গেছে যে চিঠিটি ভুয়া।

চিঠিতে ২১-২৩ মার্চ টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও, একেপিএস বলেছে, ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল না। এ ছাড়া সন্দেহজনকভাবে, তারা একজন ‘স্পন্সর’কে জামিনদার হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে উপস্থিত ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তার কাছে টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না এবং তিনি কেবল একটি কম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।

তদন্তে আরো দেখা গেছে, তারা পেশাদার ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিল এমন কোনো দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা খেলোয়াড়দের ছদ্মবেশে অন্য উদ্দেশে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য একটি সিন্ডিকেটের অংশ ছিল। একেপিএস তাদের সবার বিরুদ্ধে নট টু ল্যান্ড (এনটিএল) ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অভিবাসন বিধি অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একেপিএস সতর্ক করে দিয়েছে যে, যেকোনো ব্যক্তি বা সিন্ডিকেট অবৈধ কাজ বা মানবপাচারের মতো অন্যান্য উদ্দেশে ক্রীড়া ভিসার অপব্যবহারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার সরকারের বার্তা পৌঁছে দেন।

রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কাতার আগ্রহী।’

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে কাতারের পূর্ণ সমর্থনকে চমৎকার অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস দেশটির আমিরকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই কাতারের ব্যবসায়ীরা এখানে সম্ভাবনা অন্বেষণ করুক।

’ তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করবে।

রাষ্ট্রদূত বিনিয়োগ আমন্ত্রণের প্রশংসা করে বলেন, কাতারের আরো বেশি ব্যবসায়ী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশা করছেন। 

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য গঠিত ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ড. ইউনূস জানান, আগামী মাসে তিনি কাতার সফরে যাবেন, সেখানে গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি
সংগৃহীত ছবি

দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে।

 প্রতি একক এলএনজির মূল্য হবে ১৪.৪৮ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৮২ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে। প্রতি একক এলএনজির দাম হবে ১৪ দশমিক ২২ মার্কিন ডলার।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।

তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩টিতে উন্নীত হয়।

টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার সেই ২৩টিরই একটি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সিনেটর পিটার্স বলেন, ডেট্রয়েট শহরসহ মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বসবাস করেন।

তাদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ, জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দুদের ওপর আক্রমণগুলো রাজনৈতিক ছিল, ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’

প্রফেসর ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও কর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাহায্য আমাদের দরকার। আপনার সহকর্মীদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে বলুন।

আমরা একসঙ্গে ভুল তথ্য প্রচার মোকাবেলা করতে পারি।’

মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, মূল কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।

এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি ডিসেম্বরে নির্বাচন। তবে দলগুলো যদি সরকারের কাছ থেকে সংস্কারের আরো বড় প্যাকেজ চায় তবে কয়েক মাস পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচনের দিন বড় রকমের উৎসব হবে, যেমনটা আমরা অতীতে দেখেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে।’ এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

সিনেটর পিটার্স সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রশংসা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করছে।’

বৈঠকে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েও আলোচনা করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ