ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

‘দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’ প্রেসসচিবের ফেসবুক পোস্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’ প্রেসসচিবের ফেসবুক পোস্ট
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে জুলাই এবং আগস্টের সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ জানান, তখন অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কেউ কেউ পুরনো বাংলা প্রবাদটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।’

গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্ট

শফিকুল আলম ওই পোস্টে লেখেন, ‘অনেকের আশঙ্কা ছিল যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করবে এবং হয়ত এমন একটি আপসকামী প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যেটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে দেখা গেছে।

তবে অধ্যাপক ইউনূস তার সিদ্ধান্তে দৃঢ় ছিলেন। ড. ইউনূস চেয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত। তার বিশ্বাস ছিল, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই একমাত্র সংস্থা যারা এমন সত্য উদঘাটন করতে পারে। অবশ্য, বাংলাদেশে সবাই জানত জুলাই ও আগস্টে কী ঘটেছে, কারা হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ও কর্মীদের কী ভূমিকা ছিল।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন থাকাটা জরুরি ছিল। আর সেই সত্য যদি অপ্রিয় হয়, তাতেও আপত্তি নেই! অবশেষে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।’

আরো পড়ুন
অপারেশন থিয়েটারের করুণ দশা, অস্ত্রোপচারে মোবাইলের আলো!

অপারেশন থিয়েটারের করুণ দশা, অস্ত্রোপচারে মোবাইলের আলো!

 

তিনি আরো লেখেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরার সামান্য সম্ভাবনাও এখন শেষ। যদি আওয়ামী লীগ এবং তাদের সেই বিশাল কর্মীবাহিনী, যারা জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল না, দলকে পুনর্জীবিত করতে চায়, তবে একমাত্র উপায় হলো—শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করা এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অন্য কোনো ব্যাখ্যার সুযোগ দেয়নি।’

১৯৯০ সালে সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ যখন গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন, তখন তার বয়স ছিল ৫৯ বছর উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘তিনি ছিলেন এক দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসক। এরশাদ পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সরকারও একই নীতি অনুসরণ করে। তবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ এরশাদের জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের দলে টেনে নেয়, ফলে এরশাদকে কিছু তরুণ ও বিশ্বস্ত নেতাদের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তবে সবাই জানত, এরশাদ রাজনীতিতে ফিরবেন। কারণ, তিনি দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল ভোটব্যাংক ধরে রেখেছিলেন।’

প্রেসসচিব লেখেন, ‘শেষ পর্যন্ত এরশাদ রাজনীতিতে ফিরে আসেন এবং প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির ‘কিংমেকার’ হিসেবে প্রভাবিত ছিলেন। তার দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক প্রভাবের পেছনে একটি কারণ ছিল—আন্তর্জাতিক মহলে তার শাসনামল নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাকে তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হয়নি। যদিও তার শাসনামলে কয়েকটি উচ্চপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড ঘটে, কোনো তদন্তই প্রমাণ করতে পারেনি যে তিনি এসব হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ এতটা সৌভাগ্যবান নয়! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রায় সব ঘটনাই নথিভুক্ত করেছে। তার ভোট কারচুপির কৌশল ছিল স্পষ্ট ও নির্লজ্জ। গুম, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার—সবই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে। তারপরও, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কারণে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেতেন। তার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যখনই বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ উঠেছে, পশ্চিমা দেশগুলো তাকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সমর্থন দিয়েছে, কারণ তিনি ‘ওয়ার অন টেরর’ বা  সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ‘সঠিক’ পক্ষে ছিলেন।’

তিনি আরো জানান, এমনকি তার পতনের পরও, আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র ও ভারতীয় গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চেয়েছে যে জুলাইয়ের বিদ্রোহ ছিল মূলত ইসলামপন্থিদের দ্বারা সংগঠিত, যা মূলত ‘ওয়ার অন টেরর’-এর অংশ হিসেবে একটি প্রচার কৌশল। অবশেষে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন তার সব প্রচেষ্টা ধ্বংস করে দিয়েছে। দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!' 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, শনিবার থেকে অবস্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, শনিবার থেকে অবস্থান
ছবি : কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী অ্যাখ্যা দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

নতুন এই মঞ্চ থেকে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় গণ-ইফতার ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এই মঞ্চ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসমন্বয়ক এ বি জুবায়ের, আরেক সাবেক সহসমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদের নেতৃত্বে এই মঞ্চ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

আরো পড়ুন
দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত : সারজিস

দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত : সারজিস

 

বিক্ষোভ সমাবেশে এবি জুবায়ের বলেন, ‘অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাজ ছিলো জুলায় হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে গণভোটের আয়োজনের আহ্বান করেন তিনি।’

বক্তব্য শেষে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি প্লাটফর্মের ঘোষণা দেন জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি যে দলের, মতের হোন কেন আপনি যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক চান, তাহলে আমাদের পাশে দাঁড়ান।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক : আসিফ মাহমুদ

আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক : আসিফ মাহমুদ

 

এ সময় মোসাদ্দেক বলেন, ‘জুলাইয়ে অভ্যুত্থান শেষ হওয়ার পর সেই প্লাটফর্ম বিভিন্ন হীন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

যার কারণে আমরা এমন একটি প্লাটফর্মের ঘোষণা করেছি যে প্লাটফর্ম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। আমাদের প্লাটফর্ম গণহত্যারকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্লাটফর্ম।’ 

এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে চান যে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক তাহলে আপনারা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হন।’ 

মন্তব্য

পুলিশের আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশের আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ।

এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।

প্রধান অতিথি হিসেবে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মের প্রতি ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন
সেঞ্চুরি করেও ধানমন্ডিকে জেতাতে পারলেন না সোহান

সেঞ্চুরি করেও ধানমন্ডিকে জেতাতে পারলেন না সোহান

 

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনাদের পুলিশি কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবুও আপনারা আযান ও কেরাত চর্চা করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।

প্রতিযোগিতায় আযানে প্রথম হয়েছেন র‌্যাব-৮, বরিশালের এএসআই সিরাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন এবং ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।

 

কেরাতে প্রথম হন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হন পুলিশ স্টাফ কলেজের নায়েক খান হাসিবুর রহমান এবং তৃতীয় হন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। কেরাতে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিজয়ী হন ১১ এপিবিএন, উত্তরা, ঢাকার কনস্টেবল নাদিয়া নাছরিন নূপুর।  

আরো পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

 

‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মারুফুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর এবং তৃতীয় হন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার কনস্টেবল মো. ইনামুল হাসান। 

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাইকৃত পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আযান ও কেরাতে প্রথম স্থান অধিকারীরা আযান দেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ
বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিকদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুন্দর কণ্ঠে আযান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনব্যাপী পিলখানাস্থ বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ করেন। এ সময় বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,  গত ১৯ মার্চ পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৩ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতা শেষ হয়।

আরো পড়ুন
তাড়াশে ওরশে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

তাড়াশে ওরশে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

 

সারাদেশে বিজিবির বিভিন্ন সেক্টর থেকে সর্বমোট ৩৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। আযান প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ সেক্টরের অধীনস্থ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নে (৩৯ বিজিবি)- কর্মরত ল্যান্স নায়েক মো. আব্দুল গফুর খান ১ম স্থান এবং কুষ্টিয়া সেক্টরের অধীনস্থ কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নে (৪৭ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. ইব্রাহীম কামাল ২য় স্থান অধিকার করেন।

 

অপরদিকে, কেরাত প্রতিযোগিতায় খুলনা সেক্টরের অধীনস্থ নীলডুমুর ব্যাটালিয়নে (১৭ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. আলী হোসাইন ১ম স্থান এবং রামু সেক্টরের অধীনস্থ রামু ব্যাটালিয়নে (৩০ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. ইসমাইল হোসেন ২য় স্থান অধিকার করেন।

আযান ও কেরাত উভয় প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে কুষ্টিয়া সেক্টর চ্যাম্পিয়ন এবং খুলনা সেক্টর রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। 
 

মন্তব্য

হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ : মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ : মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সংগৃহীত ছবি

বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করায় মাঝপথ থেকে দেশে ফিরছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনগামী ফ্লাইট।

শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, ‘লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটা মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছে, কারণ বর্তমানে লন্ডনে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফ্লাইট যাওয়া-আসা শুরু করব।

এক বিবৃতিতে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দরটি ‘গুরুতর বিদ্যুৎ-বিভ্রাট’-এর সম্মুখীন হয়েছে। যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আরো তথ্যের জন্য তাদের এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

হিথ্রো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, ‘অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তবে আমরা নিশ্চিত নই, বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম আবার কখন চালু হবে। কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিথ্রো।

এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়ন করে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ