বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন

এই সরকারের স্থানীয় নির্বাচন করার দায়িত্ব নয় : সেলিমা রহমান

 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব চলাকালে দেশে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। গণহত্যা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন সমজা নির্মাণ করতে হবে, যে সমাজে মানুষ হত্যা তো দুরের কথা, যেন জীব হত্যা-পাখি হত্যা, কোন হত্যাই যে সংঘটিত না হয়।

ড. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, ‘কবিতা ও সহিত্য সমাজের দর্পন। একজন ব্যক্তি যেমন আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের ছবি দেখতে পায়, তেমনি কবিতা পড়লে সমাজের ছবি দেখতে পায়। যে কবিতায় মানুষ ও সমাজ নাই, যে কবিতায় জনগণের সুখ-দুঃখের কথা প্রতিফলিত না হয়, সেটা সত্যিকারের কাব্য নয়। এখন যারা কবিতা চর্চা করছেন, তাদের কবিতায় মানুষের কথা প্রতিফলিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’

সভাপতির বক্তব্যে কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘মহান একুশের পথ বেঁয়েই সকল আন্দোলন হয়েছে।

আরো পড়ুন

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় জনগণ : আব্দুস সালাম

 

তিনি আরো বলেন, ‘এখনো ষড়যন্ত্র আছে, মিডিয়ার মধ্যে আছে, দেশে ও দেশের বাইরে আছে। সংষম, সহিষ্ণুতা ও দেশপ্রেম দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র মেকাবেলা করতে হবে।’

এরআগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘‘ভাষার কারণে বাঙালিরা সব থেকে বেশি নির্যাতিত হয়েছে ‘সেন আমলে’। আর বাংলাকে প্রথম রাষ্ট্রীয় ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন আমাদের শাসকদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ। তিনি দরবারে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর একুশে ফেব্রুয়ারি বিজয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি অর্জন করেছি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা নিদারুন ভাবে পরাজিত ও উপেক্ষিত। স্কুল কলেজ-আদালত কোথাও বাংলা ভাষার চর্চা হয় না। উর্দুকে তাড়িয়ে হিন্দিকে গলায় জড়িয়ে নিয়েছি। এ দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’’
 
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী রওনাক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মো. কামরুজ্জামান ও কবি আবু সালেহ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মাসুমুর রহমান খলিলী, শাহনাজ বেগম পলি ও মো. মোমিন হোসেনসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী বলেন, ডা. মজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারাদেশের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় সর্বপ্রথম নির্ধারিত সময়ের আগেই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রাপথের অবর্ণনীয় কষ্ট হাসিমুখে মেনে তিনি নিজ হাতে শহীদদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। দুর্দিনে শহীদ পরিবারের পাশে থাকার জন্য ডা. মজিবুর রহমানের অঙ্গীকার কুমিল্লাবাসীকে উদ্বেলিত করেছে।

আরো পড়ুন

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

 

অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন নিনমাসে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য এবং ডব্লিউএমআইম ভারতের সম্মানিত ফেলো।

অধ্যাপক বারী ২০১৭ সালে বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে মালিক ও সম্পাদকদের প্রভাব থেকেও সাংবাদিকদের মুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধান এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।